[আশাশুনিতে সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুর করে লুটপাট মতিয়ার মরিয়া-:-সুদয় মন্ডল পথে পথে
সনাতন নিউজ২৪.<> ঢাকা বাংলাদেশ
মঙ্গলবার „১৬ মার্চ ২০২১„
আশাশুনি উপজেলার নাটানা গ্রামের অসহায় গ্রাম ডাক্তার সুদয় কুমার মন্ডলকে সর্বশান্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আশাশুনির হাড়িভাঙা গ্রামের মৃত শরীয়তুল্লাহর ছেলে মতিয়ার রহমানগং। টাকার বিনিময়ে সুদয়ের আইনজীবীকে কব্জা করে ফেলেছে মতিয়ার রহমান। টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে ভূমিদস্যু মতিয়ারগং। সোমবার সুদয় কুমার মন্ডলের নিয়োগকৃত আইনজীবী সুদয় মন্ডলকে জানিয়ে দিয়েছেন এখন থেকে ওই আইনজীবী মতিয়ারের মামলা লড়বেন। এতে করে ওই আইনজীবীর প্রতারণার শিকার হয়েছেন সুদয় কুমার মন্ডল। সূত্র দাবি করেছে, মতিয়ারের টাকায় ওই আইনজীবী সুদয়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এদিকে মতিয়ার রহমান পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। নিজেকে বাঁচাতে সে আবারও সুদয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রাম ডাক্তার সুদয় কুমার মন্ডলকে বিতাড়িত করা পর্যন্ত তার সে ক্ষান্ত হবে না বলে বলে বেড়াচ্ছে। ছলে-বলে-কৌশলে সুদয় মন্ডলের জমি দখল করে তাকে ভিটেছাড়া করেই ছাড়বে মতিয়ারগং। এমন হুমকিতে গ্রাম ডাক্তার সুদয় কুমার মন্ডল ও তার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে সংখ্যালঘু পরিবারটি।
গ্রাম ডাক্তার সুদয় কুমার মন্ডল এমন অভিযোগ করে বলেন, মতিয়ার বাহিনীর অত্যাচারে আমি সর্বশান্ত। একের পর এক হামলা ও মামলা দিয়ে আমাকে নি:স্ব করে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। আমার বসতঘরটি ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। ¯œানের পুকুরটি দখল করে নিয়েছে। আমার বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট চালিয়েছে। বাড়ির নারী ও শিশুর উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে। আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। তিনি আরও বলেন, আদালতে জমিজমা সংক্রান্ত যে উকিল নিয়োগ করেছিলাম সেই উকিলও টাকার বিনিময়ে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। এখন বিচার চাইবো কার কাছে? কার কাছে ন্যায় বিচার পাবো?
তিনি বলেন, পৈতৃক সূত্রে ৭৩ শতক ও ক্রয় সূত্রে ১৪ শতক মোট ৮৭ শতক জমির মালিক। অথচ মতিয়ার বাহিনী তার ১৪ শতক জমি দখল করে নিয়েছে। এছাড়া সুদয় ডাক্তারের মেঝো ভাই উদয় কুমার মন্ডল মারা যাওয়ার পর বউদি নমিতা রানী মন্ডলের পুকুরসহ ৫০ শতক জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে। কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই মতিয়ার রহমান ওই পুকুর ও জমি দখল করে নিয়েছে। এছাড়া সুদয় মন্ডলের বড়ভাই হৃদয় কুমার মন্ডলের ১৮ শতক জমি ও ঘরবাড়ি-গাছপালাসহ কোন কাগজপত্র ছাড়াই দখল করে নিয়েছে।
তার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ইতোমধ্যে দেশত্যাগ করেছে রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, হৃদয় মন্ডল, উদয় মন্ডলসহ অনেক পরিবার। বর্তমানে সুদয় ডাক্তার ও তার মেঝো বউদি নমিতা মন্ডলকে দেশছাড়া করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেন গ্রাম ডাক্তার সুদয় কুমার মন্ডল।
তিনি বলেন, আমার জমিতে লাগানো গাছ-পালা কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে মতিয়ার। বাঁধা দেওয়ায় গাছ কেটে ফেলে রেখে যায়। এছাড়া আমার বাড়ির গোসলের পুকুর থেকে সে ইচ্ছেমত মাছ ধরে নিয়ে যায়। তার অত্যাচারে আমি ও আমার পরিবার অতীষ্ঠ হয়ে গেছি। বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। থানা পুলিশকেও জানিয়েছি। কিন্তু মতিয়ারের আত্মীয় পুলিশে চাকরি করার কারণে আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
প্রসঙ্গত: গত ৫ মার্চ ভোরে সুদয় ডাক্তারের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায় একই এলাকার হাড়িভাঙা গ্রামের মৃত শরীয়তুল্লাহ গাজীর পুত্র মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে তার বাহিনী। এসময় সুদয় কুমার মন্ডলের বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। বাঁধা দিতে এগিয়ে আসায় সুদয় কুমার মন্ডলের পুত্রবধূ সুধারানী মন্ডল ও তার ৬ বছরের শিশু পুত্র জিৎ মন্ডলকে জিহ্বা টেনে বের করে কপালে পেরেক মেরে রাখার হুমকি দেয় মতিয়ার বাহিনী। এসময় সুদয় কুমার মন্ডল ও তার পুত্র বাড়িতে ছিলেন না। এসময় সুধারানী মন্ডলকে পরণের কাপড় খুলে নেওয়ার জন্য টানা-হেচড়া করে। কুড়াল নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মতিয়ারের স্ত্রী তেড়ে আসে এবং বেদম মারপিট করে। বিষয়টি ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ ৩জনকে আটক করলেও অদৃশ্য কারণে পরে তাদের ছেড়ে দেয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সক্রিয় জামাত পন্থি হাড়িভাংগা গ্রামের মতিয়ার রহমান ও ফজলে করিমের নেতৃত্বে সুদয় মন্ডলের ঘরের সানসেট ভেঙে ও গাছ কেটে রাস্তায় বেরিকেট দেয় এবং অন্যান্য ঘরগুলি ভেঙে দিয়ে টায়ার জালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। সেই থেকে অদ্যাবধি সুদয় মন্ডলকে সম্পদ লুটে নেওয়ার আশায় ও দেশ থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টায় নানা প্রকার অত্যাচার একের পর এক চালিয়ে যাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷