ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কাঁটাতারে বন্ধি রবিদাস সম্প্রদায়ের (১০টি) পরিবার
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে রবিদাস সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘেষে যাতায়াতের রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ায় বাড়ির ভেতর আটকা পড়েছে রবি দাস সম্প্রদায়ের ১০টি পরিবারে প্রায় শতাধিক লোক। প্রায় তিন বছর ধরে অন্য বাড়ির ওয়াল টপকে বাড়িতে যাতায়াত করছেন ওই সম্প্রদায়ের লোকজন।
জানা যায়, উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ বন্ধি সড়কের পাশে রবি দাস সম্প্রদায়ের বাড়ি। সড়ক থেকে পায়ে হাঁটার একটি রাস্তা ছিল ওই সম্প্রদায়ের বাড়িতে যাতায়াতের।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৩০/৩৫ বছর যাবত মাইজবাগ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের রবিদাস সম্প্রদায়ের লোকজন পায়ে হেটে ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ সড়কে উঠার জন্য রাস্তা ছিল। প্রায় ৩০/৩৫ বছর যাবত ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে পারলেও তিন বছর আগে রাস্তার জায়গার মালিক আব্দুস সালাম একই গ্রামের মোঃহাবিবুর রহমানের কাছে বিক্রি করে দেয়। জমি কেনার পরই হাবিবুর রহমান কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে রবি দাস সম্প্রদায়ের বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে প্রথমে ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন কিন্তু কোন সমাধান না পেয়ে গত(৭মার্চ /২১)রবি দাস সম্প্রদায়ের পক্ষে শ্রী নন্দলাল রবি দাস ঈশ্বরগন্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ১৭দিন পার হলেও বিষয়টির সমাধান মেলেনি।
শ্রী নন্দলাল রবি দাস কে বলেন, আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে মহা সড়কে উঠার একটি রাস্তা ছিল। দীর্ঘ ৩০/৩৫বছর ধরে ওই রাস্তায় আমরা বাড়িতে যাতায়াত করেছি।
ওই পথে মো. হাবিবুর রহমান কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ায় আমরা এখন প্রায় গৃহবন্দি। প্রথমে গেলাম চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে অভিযোগ করে হয়নি কোন ব্যবস্থা।পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেও আমাদের যাতায়াতের কোন ব্যবস্থা হয়নি।
পাশের পুকুর মালিক মো. শহীদ উল্লাহ বিডি২৪লাইভ কে জানান, ৪৬৪৯ দাগের মধ্যে মোট জমি প্রায় ৭৫ শতাংশ। এই জমির মধ্যে একজনে ১০ শতাংশ কিনছে এই রাস্তা দেখিয়া, শ্রী নন্দলাল রবি দাস এরা বাড়ি বান্দার জন্য ২০ শতাংশ ক্রয় করছে আ: মান্নান, ইছাক গংদের কাছ থেকে। তারা বাপ পুত রা কিনে পূর্ব থেকে পশ্চিমে আইলো সামনে। পরে বাকি যে জমি রয়েছে হাবিবুর কিনে সে অন্যায় ভাবে রাস্তা বন্ধ করছে। এই যাতায়াতের, এই রাস্তা দেখে অনেক পরিবার জমি ক্রয় করেছে। তিনি আরো বলেন এই রাস্তাটা খোলার জন্য অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু পারি নাই।এরা কিন্তু এই রকমি মানুষ এখানে শতাংশ ৩ লাখ টাকা বেছা হইতাছে এইডা মুছার রে যদি আটকাইয়া দেয়, জমি বেছে যাইবো এইডা তাদের উদ্যেশ্য। নন্দলাল সবার আগে জমি খরিদা কিন্তু দলিল করছে পরে।এলাকার লোকজনও বলবে।এরা সংখ্যালগু মানুষ একটু উপকার কইরাদেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ কে বলেন, আমি নিজেও অনেক চেষ্টা করেছি তাদের ব্যক্তিগত জায়গা দিয়ে রাস্তা দিবে না।
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান বিডি২৪লাইভ কে বলেন, এইটা আমার পৈত্রিক সম্প্রতি ১ একর ১০ শতাংশ জমি, আমার পুকুর খরিদা হলো ৬০ শতাংশ। তাদের আগে খরিদা, এদিক দিয়া কোন রাস্তাই ছিলো না। আমার পুকুর দিয়া গত ৪ বছর যাবত কাঁটাতারের বেড়া দিয়া মাছ চাষ করতাছি। তারা চতুরদিগ দিয়া এলোপাতাড়ি যাতায়াত করতো রেকর্ডে কোন রাস্তা নাই।
তারা কোন দিয়া যাবে না যাবে এইডা আমরা ৭ ভাইয়ের জমি এখানে মার্কেট খরবো এর ভিতর দিয়া তাদের রাস্তা দেওয়া যাবে না। যদি চিহ্নিত রাস্তা থাকতো, আমি যদি রেকর্ডের রাস্তা বন্ধ করতাম তাহলে আইনে দন্ডে দন্ডিত হইতাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, আবেদন পেয়েছি পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওখানে সরেজমিন পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷