Breaking News

[সাতক্ষীরায় পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ-সম্মেলন


 সাতক্ষীরার পৌর শহরের পারকুখরালি এলাকার বিএনপি নেতা আবু সাঈদ গং কর্তৃক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে জবর দখলের উদ্দেশ্যে মারপিট ও খুন-জখমের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পারকুখলী গ্রামের মৃত ফুল চাদ বৌদ্দ বারুই এর ছেলে বৃদ্ধ রতন বৌদ্দ বারুই এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। পারকুখরালিতে পৈত্রিক সম্পত্তির উপর দীর্ঘদিন ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে। আমরা সেখানে মাত্র কয়েকটি হিন্দু জেলে পরিবার বসবাস করি। বাকিরা মুসলিম পরিবারের লোক হলেও কোন সমস্যা ছিলনা। কিন্তু একই এলাকার মৃত হামিজ উদ্দিন সরদারের ছেলে ভূমি সন্ত্রাসী আবু সাঈদ ও আবু সালেক প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে অমাদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।

প্রায় বিশ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে ঘেরা বেড়া দিয়ে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল সাঈদ গংরা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আবু সাঈদ ও আবু সালেক অত্যান্ত হিংসা প্রকৃতির হওযয়ায় এলাকার কেউ ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাদের অত্যাচারে আমাদের চাচাত ভাইরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে। ফলে এখানে আমাদের কোনো আত্মীয়-স্বজন না থাকায় আবু সাঈদ গংরা প্রতিদিনই আমাদেরকে দেশ ত্যাগ করার জন্য হুমকি প্রদর্শন করছে। না হলে আমাদের পরিবারের সদস্যদের খুন করে গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

বৃদ্ধ রতন বারুই আরো বলেন, আমার বর্তমান বয়স ৯০ বছর। বয়সের ভারে আমি ঠিকমত চলতে পারিনা। আমার দুই ছেলের মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী আরেকজন অতিদরিদ্র। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আমার পৈত্রিক সম্পত্তির সকল কাগজপত্র আমাদের থাকলেও ওই বিএনপি ক্যাডার শুধুমাত্র গায়ের জোরে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে তা দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলেও কোনো সমাধান পাইনি। মানবিক দিক বিবেচনা করে আমাদের এই সমস্যা সমাধানে একই এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম এগিয়ে এসে আমাদের পক্ষে কথা বলায় উল্লেখিত ভূমি সন্ত্রাসী ও পর সম্পাদ লোভী আবু সাঈদ গংরা তাকেও খুন জখমের হুমকি-ধামকি প্রদান করে যাচ্ছে। তাদের হুমকি-ধামকিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বর্তমানে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তাদের ভয়ে কোন রকমে প্রাণে বেঁচে আছি।

একজন ধর্মীয় সংখ্যালঘু জেলে পরিবারের অসহায় বৃদ্ধ হিসেবে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা পূর্বক জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় পরিবারের সদস্যরা তার সাথে উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷