২০১৯ সালে বাংলাদেশে ৩১ হাজারেরও বেশি হিন্দু নির্যাতনের শিকার হয়েছে
২০১৯! সালে বাংলাদেশে ৩১ হাজারেরও বেশি হিন্দু নির্যাতনের শিকার হয়েছে
১০৮ জন হিন্দু হত্যা, ৩৬০.২২ একর হিন্দু সম্মত্তি দখল৩৭৯ পরিবারকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে ১৫৩ মন্দিরে হামলা২৪৬ টি প্রতিমা ভাঙচুর
যুগশঙ্খ প্রতিবেদন, ঢাকা : বাংলাদেশে বিগত ২০১৯ সালে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ৬৮৩ টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৩১ হাজার ৫০৫ জন হিন্দু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং ৩৬০.২২ একর হিন্দু সম্পত্তি জবর দখল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বিগত বছরের হিন্দু নির্যাতনের যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পত্র পত্রিকা, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারে প্রকাশিত এবং বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের জেলা, থানা নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, রিপোর্ট পেশ করেন। তিনি বলেন, বিগত বছরে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মঠ মন্দির প্রতিমা ভাংচুর, হিন্দু বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, লুট-পাট, খুন, নারী অপহরণ, দেশ ত্যাগে বাধ্যকরণসহ নানা অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীসহ অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীরা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে হিন্দুদের ওপর হামলা লুঠপাট করেছে।
লিখিত রিপোর্টে গোবিন্দ প্রামানিক বলেন, বিগত বছরে ৩১ হাজার ৫০৫ জন হিন্দু নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং ৯,৫০৭.২২ একর ভূমি জবর দখল হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে ১০৮ জনকে, হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে ১১১ জনকে, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৮৮ জনকে, আহত করা হয়েছে ৪৮৪ জনকে, নিখোঁজ হয়েছে ২৬ জন, চাঁদা দিতে হয়েছে ১৫ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। এসব ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায় ৪৩৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
মঠ-মন্দিরে হামলা এবং হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে হামলার বিষয়ে রিপোর্টে গোবিন্দ প্রামানিক বলেন, মন্দির ও বাড়ি-ঘর লুটপাট হয়েছে ২৭৭টি, হামলা হয়েছে ৩৮৭টি, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ৯২ টি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৭৯টি, ভূমি দখল হয়েছে ৯,৫০৭ একর ২২ শতাংশ, ঘর-বাড়ি বে-দখল করা হয়েছে ২০টি, মন্দিরের ভূমি ৩১টি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ২৭টি, দখলের তৎপরতা হয়েছে ৬৬ একর ৫৮ শতাংশ, বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ ৪৩৪টি পরিবার, উচ্ছেদ তৎপরতা ৬৯০টি পরিবার, উচ্ছেদের হুমকি ১৬০টি পরিবার, দেশ ত্যাগের হুমকী ৬৪১টি পরিবার, দেশত্যাগে বাধ্যকরণ ৩৭৯টি পরিবারকে, নিরাপত্তাহীনতা ২২৬১টি পরিবার, মন্দিরে হামলা, ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ৪৪৯টি, সঙ্ঘবদ্ধ হামলা ১২৫টি, প্রতিমা ভাংচুর, ২৪৬টি, প্রতিমা চুরি ৩১টি, অপহরণ ৭৬ জনকে, অপহরনের চেষ্টা ৭ জনকে, ধর্ষণ ৪২ জনকে, ধর্ষণের চেষ্টা ৩৪টি, ধর্ষণের পর হত্যা ৬টি, গণধর্ষণ ১৮টি, জোড়পূর্বক ধর্মান্তর ও ধর্মান্তর করনের চেষ্টা ১৪৮জনকে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ৯৯টি, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার, বরখাস্ত, আসামী ১০৯ জন, অবরুদ্ধ পরিবার ১০৫ জন, মন্দির অপবিত্রকরণ ৫টি, মিথ্যা রাজাকার বানানো হিন্দু মুক্তিযোদ্ধা ৩৬ জনকে, পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় নিষিদ্ধ গোমাংস খাইয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ৫টি ঘটনায় ২২ জনকে।
রিপোর্টে বলা হয়, গত বছরের তুলনায় সর্বক্ষেত্রেই হিন্দু নির্যাতন বেড়েছে। গত বছর হত্যা হয়েছিল ৮৮জন এবার বেড়ে হয়েছে ১০৮ জন। গত বছর আহত হয়েছে ৩৪৭ এ বছর বেড়ে হয়েছে ৪৮৪ জন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত বছর হামলা হয়েছিল ৩৫টি এবছর বেড়ে হয়েছে ৭৯টি। গতবছর বসত-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়েছিল ২১৭টি পরিবার এবছর বেড়ে হয়েছে ৪৩৪টি পরিবার। গত বছর দেশত্যাগের হুমকী ছিল ২২৩ টি পরিবার এ বছর বেড়ে গিয়ে ৬৪১টি পরিবার এবং দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে ৩৭৮টি পরিবার। গতবছর নিরাপত্তাহীনতায় ছিল ১৫১০ পরিবার এবছর বেড়ে হয়েছে ২২৬১টি পরিবার। গত বছর মন্দিরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছিল ১৩১টি এবছর বেড়ে হয়েছে ১৫৩টি। বাড়িতে হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিলো ১০৮টি এবছর বেড়ে গিয়ে হয়েছে ৪৪৮টি। গত বছর ভূমি দখল ছিল ২৭৩৪.৮১ একর এ বছর বেড়ে গিয়ে হয়েছে ৯,৫০৭.২২ একর। এ বছর নুতন করে ৩৬ জন হিন্দু মুক্তিযোদ্ধার গায়ে রাজকার তকমা যুক্ত হয়েছে। যদিও সরকার দুঃখ প্রকাশ করেছে তথাপি দুষ্টচক্র এই রিপোর্ট নিয়ে চিরকাল মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করবে, এখনই সন্দেহের চোখে দেখছে।
গোবিন্দ প্রামানিক বলেন, হাসিনা সরকার দিন দিন মৌলবাদের প্রতি ঝুকছে। প্রশাসনেও হিন্দু বিদ্বেষ চরম আকারে। প্রতিনিয়ত হিন্দু ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলেও আজ পর্যন্ত হিন্দু ধর্ম কটুক্তির অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করা হয় নাই। উপরন্তু ফেসবুক হ্যাক করে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে শতাধিক হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শত শত ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে, মঠ মন্দির ধ্বংস করে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে প্রতিনিয়ত হিন্দুদের দেশত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। সরকার সকল শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক ইসলামীকরণ করেছে। হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাধ্যতমূলক ইসলাম ধর্ম পাঠ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বচন কমিশন বিভিন্ন সময় হিন্দুদের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের দিনে নির্বাচনের দিন ধার্য করে। গত বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের আপত্তি সত্বেও দুর্গাপুজার দিনে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করেছিলো। এবারও ৩০ জানুয়ারি ২০২০ সরস্বতী পুজার দিন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছে। আমরা সরস্বতী পুজার দিন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সিনিয়র সহ সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, যুগ্ম মহাসচিব মনিশঙ্কর মন্ডল, আইন সম্পাদক সুব্রত হালদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অমিও বাউল, মহিলা মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক সাগরিকা মন্ডল, উত্তরবঙ্গ সমন্বয়ক দুলাল কর্মকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি কিশোর কুমার বর্মন,
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজেটের
সভাপতি সাজেন কৃষ্ণ বল,
দপ্তর সম্পাদক তপু কুন্ডু, ডা. মনোরঞ্জন হালদার প্রমূখ।
১০৮ জন হিন্দু হত্যা, ৩৬০.২২ একর হিন্দু সম্মত্তি দখল৩৭৯ পরিবারকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে ১৫৩ মন্দিরে হামলা২৪৬ টি প্রতিমা ভাঙচুর
যুগশঙ্খ প্রতিবেদন, ঢাকা : বাংলাদেশে বিগত ২০১৯ সালে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ৬৮৩ টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৩১ হাজার ৫০৫ জন হিন্দু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং ৩৬০.২২ একর হিন্দু সম্পত্তি জবর দখল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বিগত বছরের হিন্দু নির্যাতনের যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পত্র পত্রিকা, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারে প্রকাশিত এবং বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের জেলা, থানা নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, রিপোর্ট পেশ করেন। তিনি বলেন, বিগত বছরে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মঠ মন্দির প্রতিমা ভাংচুর, হিন্দু বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, লুট-পাট, খুন, নারী অপহরণ, দেশ ত্যাগে বাধ্যকরণসহ নানা অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীসহ অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীরা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে হিন্দুদের ওপর হামলা লুঠপাট করেছে।
লিখিত রিপোর্টে গোবিন্দ প্রামানিক বলেন, বিগত বছরে ৩১ হাজার ৫০৫ জন হিন্দু নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং ৯,৫০৭.২২ একর ভূমি জবর দখল হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে ১০৮ জনকে, হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে ১১১ জনকে, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৮৮ জনকে, আহত করা হয়েছে ৪৮৪ জনকে, নিখোঁজ হয়েছে ২৬ জন, চাঁদা দিতে হয়েছে ১৫ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। এসব ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায় ৪৩৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
মঠ-মন্দিরে হামলা এবং হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে হামলার বিষয়ে রিপোর্টে গোবিন্দ প্রামানিক বলেন, মন্দির ও বাড়ি-ঘর লুটপাট হয়েছে ২৭৭টি, হামলা হয়েছে ৩৮৭টি, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ৯২ টি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৭৯টি, ভূমি দখল হয়েছে ৯,৫০৭ একর ২২ শতাংশ, ঘর-বাড়ি বে-দখল করা হয়েছে ২০টি, মন্দিরের ভূমি ৩১টি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ২৭টি, দখলের তৎপরতা হয়েছে ৬৬ একর ৫৮ শতাংশ, বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ ৪৩৪টি পরিবার, উচ্ছেদ তৎপরতা ৬৯০টি পরিবার, উচ্ছেদের হুমকি ১৬০টি পরিবার, দেশ ত্যাগের হুমকী ৬৪১টি পরিবার, দেশত্যাগে বাধ্যকরণ ৩৭৯টি পরিবারকে, নিরাপত্তাহীনতা ২২৬১টি পরিবার, মন্দিরে হামলা, ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ৪৪৯টি, সঙ্ঘবদ্ধ হামলা ১২৫টি, প্রতিমা ভাংচুর, ২৪৬টি, প্রতিমা চুরি ৩১টি, অপহরণ ৭৬ জনকে, অপহরনের চেষ্টা ৭ জনকে, ধর্ষণ ৪২ জনকে, ধর্ষণের চেষ্টা ৩৪টি, ধর্ষণের পর হত্যা ৬টি, গণধর্ষণ ১৮টি, জোড়পূর্বক ধর্মান্তর ও ধর্মান্তর করনের চেষ্টা ১৪৮জনকে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ৯৯টি, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার, বরখাস্ত, আসামী ১০৯ জন, অবরুদ্ধ পরিবার ১০৫ জন, মন্দির অপবিত্রকরণ ৫টি, মিথ্যা রাজাকার বানানো হিন্দু মুক্তিযোদ্ধা ৩৬ জনকে, পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় নিষিদ্ধ গোমাংস খাইয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ৫টি ঘটনায় ২২ জনকে।
রিপোর্টে বলা হয়, গত বছরের তুলনায় সর্বক্ষেত্রেই হিন্দু নির্যাতন বেড়েছে। গত বছর হত্যা হয়েছিল ৮৮জন এবার বেড়ে হয়েছে ১০৮ জন। গত বছর আহত হয়েছে ৩৪৭ এ বছর বেড়ে হয়েছে ৪৮৪ জন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত বছর হামলা হয়েছিল ৩৫টি এবছর বেড়ে হয়েছে ৭৯টি। গতবছর বসত-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়েছিল ২১৭টি পরিবার এবছর বেড়ে হয়েছে ৪৩৪টি পরিবার। গত বছর দেশত্যাগের হুমকী ছিল ২২৩ টি পরিবার এ বছর বেড়ে গিয়ে ৬৪১টি পরিবার এবং দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে ৩৭৮টি পরিবার। গতবছর নিরাপত্তাহীনতায় ছিল ১৫১০ পরিবার এবছর বেড়ে হয়েছে ২২৬১টি পরিবার। গত বছর মন্দিরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছিল ১৩১টি এবছর বেড়ে হয়েছে ১৫৩টি। বাড়িতে হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিলো ১০৮টি এবছর বেড়ে গিয়ে হয়েছে ৪৪৮টি। গত বছর ভূমি দখল ছিল ২৭৩৪.৮১ একর এ বছর বেড়ে গিয়ে হয়েছে ৯,৫০৭.২২ একর। এ বছর নুতন করে ৩৬ জন হিন্দু মুক্তিযোদ্ধার গায়ে রাজকার তকমা যুক্ত হয়েছে। যদিও সরকার দুঃখ প্রকাশ করেছে তথাপি দুষ্টচক্র এই রিপোর্ট নিয়ে চিরকাল মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করবে, এখনই সন্দেহের চোখে দেখছে।
গোবিন্দ প্রামানিক বলেন, হাসিনা সরকার দিন দিন মৌলবাদের প্রতি ঝুকছে। প্রশাসনেও হিন্দু বিদ্বেষ চরম আকারে। প্রতিনিয়ত হিন্দু ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলেও আজ পর্যন্ত হিন্দু ধর্ম কটুক্তির অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করা হয় নাই। উপরন্তু ফেসবুক হ্যাক করে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে শতাধিক হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শত শত ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে, মঠ মন্দির ধ্বংস করে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে প্রতিনিয়ত হিন্দুদের দেশত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। সরকার সকল শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক ইসলামীকরণ করেছে। হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাধ্যতমূলক ইসলাম ধর্ম পাঠ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বচন কমিশন বিভিন্ন সময় হিন্দুদের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের দিনে নির্বাচনের দিন ধার্য করে। গত বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের আপত্তি সত্বেও দুর্গাপুজার দিনে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করেছিলো। এবারও ৩০ জানুয়ারি ২০২০ সরস্বতী পুজার দিন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছে। আমরা সরস্বতী পুজার দিন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সিনিয়র সহ সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, যুগ্ম মহাসচিব মনিশঙ্কর মন্ডল, আইন সম্পাদক সুব্রত হালদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অমিও বাউল, মহিলা মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক সাগরিকা মন্ডল, উত্তরবঙ্গ সমন্বয়ক দুলাল কর্মকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি কিশোর কুমার বর্মন,
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজেটের
সভাপতি সাজেন কৃষ্ণ বল,
দপ্তর সম্পাদক তপু কুন্ডু, ডা. মনোরঞ্জন হালদার প্রমূখ।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷