ফুলবাড়ীতে স্বরস্বতী দেবীর প্রতিমা ভাঙচুর ঘটনায় আটক ৪ মুসলিম ব্যাক্তি
ফুলবাড়ীতে স্বরস্বতী দেবীর প্রতিমা ভাঙচুর ঘটনায় আটক ৪ মুসলিম ব্যাক্তি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের জিতয় গ্রামে গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পূজা মন্ডপে হামলা মারপিটসহ স্বরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জিয়ত গ্রামের মৃত ইব্রাহিম আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৫), আবদুল মজিদের ছেলে আজিজুল ইসলাম (২৪), মৃত তছির উদ্দিনের ছেলে সেকেন্দার আলীর (৪৫) ও মৃত মোজাফ্ফর মন্ডলের ছেলে মানিক মণ্ডল (২৩)।
থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্বরস্বতী পূজা উপলক্ষে গত বুধবার জিয়ত গ্রামের শ্রী তাপস চন্দ্র রায়ের বাড়ীর উঠানে অস্থায়ী মন্দির নির্মাণ করে স্বরস্বতী পূজার আয়োজন করেন গ্রামবাসী। ওইদিন বিকেল থেকে ওই অস্থায়ী মন্দিরে স্বরস্বতী পূজা অর্চনা শুরু করা হয়। পূজাকে কেন্দ্র করে পূজা মন্ডপে মাইকসহ সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে গান-বাজনা বাজানো হয়। এরইমধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ওই অস্থায়ী মন্দির থেকে ৩০০ গজ দূরে থাকা গ্রামের মসজিদ থেকে গ্রামের মৃত ইব্রাহিম খলিলের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৫), আবদুল মজিদের ছেলে আজিজুল ইসলাম (২৪), মো. এন্তাজ আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৮), মৃত তছির উদ্দিনের ছেলে সেকেন্দার আলীর (৪৫), মৃত আব্দুলের ছেলে আবদুস সাত্তার (৫৫), জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ও মৃত মোজাফ্ফর মন্ডলের ছেলে মানিক মন্ডলসহ (২৩) আন্তত ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে আকস্মিকভাবে স্বরস্বতী পূজার ওই মন্দিরে হামলা চালায়।
এ সময় মন্দিরে পূজারত অবস্থায় থাকা শ্রী হীরেন্দ্র নাথের ছেলে শ্রী লোচন দাস (২৫), শ্রী ভূপেন চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী দীপুর চন্দ্র রায়, শ্রী নিরঞ্জন চন্দ্রের ছেলে শ্রী সুজন চন্দ্রসহ অবস্থানরত ব্যক্তিদের এলোপাথারী মারপিটসহ সাউন্ড সিস্টেমের তার ছেড়াছেড়ি, সাউন্ড সিস্টেমের সাথে গান বাজানোর জন্য ব্যবহৃত সেমফোনি মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা অস্থায়ী মন্দিরে স্থাপনকৃত স্বরস্বতী প্রতীমার কাপড় ধরে টানাটানি করে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে প্রতিমার মাথাসহ বাম হাতের কিছু অংশ ভেঙে যায়। এ সময় সম্ভু শীল, সবুজ রায়, লিটন রায়, শ্যামল চন্দ্রসহ অন্যরা হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে তাদেরকেও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানোসহ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্যও হুমকি দেয় হামলাকারীরা। ওই ঘটনার পর গ্রামের স্বরস্বতী পূজা করতে পারেননি হিন্দু সম্প্রদায়ের গ্রামবাসী।
মামলার বাদী শ্রী লোচন দাস বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই উচ্চ শব্দে মাইক ও সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজানোর অজুহাতে মন্দিরে হামলা চালিয়ে মারপিটসহ মাইক ও সাউন্ড সিস্টেমের তার ছিড়ে দেওয়া, মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে মন্দিরে স্থাপনকৃত স্বরস্বতী দেবীর প্রতিমার পড়নের কাপড় টানাটানি করে প্রতীকে মাটিতে ফেলে দেয় হামলাকারীরা। এতে প্রতিমার মাথা ও বাম হাতের কিছু অংশ ভেঙে যায়। যার কারণে ওই রাত থেকে পূজা-অর্চনা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন গ্রামবাসী। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন।
থানার ওসি মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, পূজা মন্ডপে হামলাসহ স্বরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর ঘটনার পরপরই ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া মোহাম্মদ আশীষ বিন হাছান স্যারে নেতৃত্বে তিনিসহ (ওসি) পুলিশদল রাতভর অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ২৫। মামলার অন্য আসামীদেরকেও গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
পূজা মন্ডপে হামলাসহ স্বরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি স্বরূপ কুমার বকসী বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, জেলা কমিটির কার্যকরী সদস্য প্রভাষক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক চিত্ত রঞ্জন দাস, সদস্যসচিব ধীমান চন্দ্র সাহা, ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয় প্রকাশ গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক জয়রাম প্রসাদ, ফুলবাড়ী শাখা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক জয় রাম প্রসাদ, সদস্যসচিব কমল কিস্কু, বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ সভাপতি অ্যাড. রবিন্দ্র ঘোষ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের জিতয় গ্রামে গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পূজা মন্ডপে হামলা মারপিটসহ স্বরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জিয়ত গ্রামের মৃত ইব্রাহিম আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৫), আবদুল মজিদের ছেলে আজিজুল ইসলাম (২৪), মৃত তছির উদ্দিনের ছেলে সেকেন্দার আলীর (৪৫) ও মৃত মোজাফ্ফর মন্ডলের ছেলে মানিক মণ্ডল (২৩)।
থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্বরস্বতী পূজা উপলক্ষে গত বুধবার জিয়ত গ্রামের শ্রী তাপস চন্দ্র রায়ের বাড়ীর উঠানে অস্থায়ী মন্দির নির্মাণ করে স্বরস্বতী পূজার আয়োজন করেন গ্রামবাসী। ওইদিন বিকেল থেকে ওই অস্থায়ী মন্দিরে স্বরস্বতী পূজা অর্চনা শুরু করা হয়। পূজাকে কেন্দ্র করে পূজা মন্ডপে মাইকসহ সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে গান-বাজনা বাজানো হয়। এরইমধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ওই অস্থায়ী মন্দির থেকে ৩০০ গজ দূরে থাকা গ্রামের মসজিদ থেকে গ্রামের মৃত ইব্রাহিম খলিলের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৫), আবদুল মজিদের ছেলে আজিজুল ইসলাম (২৪), মো. এন্তাজ আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৮), মৃত তছির উদ্দিনের ছেলে সেকেন্দার আলীর (৪৫), মৃত আব্দুলের ছেলে আবদুস সাত্তার (৫৫), জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ও মৃত মোজাফ্ফর মন্ডলের ছেলে মানিক মন্ডলসহ (২৩) আন্তত ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে আকস্মিকভাবে স্বরস্বতী পূজার ওই মন্দিরে হামলা চালায়।
এ সময় মন্দিরে পূজারত অবস্থায় থাকা শ্রী হীরেন্দ্র নাথের ছেলে শ্রী লোচন দাস (২৫), শ্রী ভূপেন চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী দীপুর চন্দ্র রায়, শ্রী নিরঞ্জন চন্দ্রের ছেলে শ্রী সুজন চন্দ্রসহ অবস্থানরত ব্যক্তিদের এলোপাথারী মারপিটসহ সাউন্ড সিস্টেমের তার ছেড়াছেড়ি, সাউন্ড সিস্টেমের সাথে গান বাজানোর জন্য ব্যবহৃত সেমফোনি মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা অস্থায়ী মন্দিরে স্থাপনকৃত স্বরস্বতী প্রতীমার কাপড় ধরে টানাটানি করে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে প্রতিমার মাথাসহ বাম হাতের কিছু অংশ ভেঙে যায়। এ সময় সম্ভু শীল, সবুজ রায়, লিটন রায়, শ্যামল চন্দ্রসহ অন্যরা হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে তাদেরকেও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানোসহ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্যও হুমকি দেয় হামলাকারীরা। ওই ঘটনার পর গ্রামের স্বরস্বতী পূজা করতে পারেননি হিন্দু সম্প্রদায়ের গ্রামবাসী।
মামলার বাদী শ্রী লোচন দাস বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই উচ্চ শব্দে মাইক ও সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজানোর অজুহাতে মন্দিরে হামলা চালিয়ে মারপিটসহ মাইক ও সাউন্ড সিস্টেমের তার ছিড়ে দেওয়া, মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে মন্দিরে স্থাপনকৃত স্বরস্বতী দেবীর প্রতিমার পড়নের কাপড় টানাটানি করে প্রতীকে মাটিতে ফেলে দেয় হামলাকারীরা। এতে প্রতিমার মাথা ও বাম হাতের কিছু অংশ ভেঙে যায়। যার কারণে ওই রাত থেকে পূজা-অর্চনা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন গ্রামবাসী। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন।
থানার ওসি মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, পূজা মন্ডপে হামলাসহ স্বরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর ঘটনার পরপরই ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া মোহাম্মদ আশীষ বিন হাছান স্যারে নেতৃত্বে তিনিসহ (ওসি) পুলিশদল রাতভর অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ২৫। মামলার অন্য আসামীদেরকেও গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
পূজা মন্ডপে হামলাসহ স্বরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি স্বরূপ কুমার বকসী বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, জেলা কমিটির কার্যকরী সদস্য প্রভাষক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক চিত্ত রঞ্জন দাস, সদস্যসচিব ধীমান চন্দ্র সাহা, ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয় প্রকাশ গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক জয়রাম প্রসাদ, ফুলবাড়ী শাখা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক জয় রাম প্রসাদ, সদস্যসচিব কমল কিস্কু, বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ সভাপতি অ্যাড. রবিন্দ্র ঘোষ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ওদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে, 😂😂
উত্তরমুছুন