মোবাইল বাজলেই বাবা ডাকে কান্তাশ্রী ফিরে পাওয়ার আকুতি
মোবাইল বাজলেই বাবা ডাকে কান্তাশ্রী
ব্যবসায়ী কমল কান্তিকে ফিরে পাওয়ার আকুতি
রগুনার বামনা থানার মা ব্রিকসের ম্যানেজার ছিলেন কমল কান্তি। তার ১১ মাসের মেয়ে কান্তাশ্রীরী। কমল কান্তি বাড়িতে মোবাইলে কল এলেই বাবা ডেকে ওঠে কান্তাশ্রীরী। অথচ সেই কমল কান্তি গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ। ওই দিন তিনি ব্যবসার কাজে রওনা হন ঢাকার পথে। রওনা দেয়ার আগে আদর করে ভাত মেখে খাওয়ান ১১ মাসের মেয়ে কান্তাশ্রীরীকে। তারপর আর বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। তিনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন, আদৌ বেঁচে আছেন কি না এর কিছুই জানেন না তার পরিবার। গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে মেয়ে কান্তাশ্রীরীকে কোলে নিয়ে এসব কথা বলেন কমল কান্তির স্ত্রী অনিতা রানী। তার দাবি একটাই, স্বামী কোথায় আছে তার সন্ধান যেন পান।
অনিতা রানী সাংবাদিকদের বলেন, ছোট মেয়েকে সে অনেক ভালোবাসত। কাজে বেরিয়ে যেত সকালে, সারাদিন বাইরে থাকত। একটু পরপরই ফোন করে মেয়ের সঙ্গে কথা বলত। মেয়েটাও খুব বাবা ভক্ত ছিল। দুই মাস হতে চলল, আমার স্বামী নিখোঁজ। কিন্তু মোবাইলে কল এলেই মেয়েটা মনে করে, ওর বাবা ফোন দিয়েছে। সবসময় বাবা বাবা বলে কান্না করে। রাতে বিছানায় বাবাকে খোঁজে। ওইটুকু অবুঝ শিশুর কান্না দেখে মনকে মানাতে পারি না। স্বামীকে হারানোর কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে যায়।
আনিতা রানী বলেন, কমল কান্তি গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর আর তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। এর কয়েকদিন পর মাওয়া ঘাটে পাওয়া একটি লাশ আমাদের দেখিয়ে বলে, ওইটা আমার স্বামীর লাশ। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস, ওইটা ওর লাশ হতে পারে না। তাকে গুম করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ওকে গুম করার পেছনে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাই। তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চাচ্ছি। কিন্তু কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিচারের দাবি জানাতে প্রেস ক্লাবে এসেছি। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কমল কান্তির বাবা। তিনি বলেন, শত্রুতার জের ধরে আমার ছেলেকে গুম করা হয়েছে। পরে অন্য একটা লাশ দেখিয়ে তারা বলে, ঢাকা যাওয়ার পথে মাওয়া ঘাটে ডুবে মারা গেছে কমল। ওরা যে ছবি দেখিয়েছে, সেটার সঙ্গে আমার ছেলের কোনো মিল নেই। আমার ছেলের সন্ধান চাই। মানববন্ধনে কমল কান্তিকে খুঁজে বের করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায় বলেন, একটি মহল সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কর্মকা-ে লিপ্ত হয়েছে। সনাতন সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে তারা। এ বিষয়ে সনাতন সম্প্রদায়কে সজাগ থাকতে হবে। পরিষদের সভাপতি দিপঙ্কর শিকদার দিপুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সহ-সভাপতি ড. বিপ্লব ভট্টাচার্য, অসীম দেবনাথসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ী কমল কান্তিকে ফিরে পাওয়ার আকুতি
রগুনার বামনা থানার মা ব্রিকসের ম্যানেজার ছিলেন কমল কান্তি। তার ১১ মাসের মেয়ে কান্তাশ্রীরী। কমল কান্তি বাড়িতে মোবাইলে কল এলেই বাবা ডেকে ওঠে কান্তাশ্রীরী। অথচ সেই কমল কান্তি গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ। ওই দিন তিনি ব্যবসার কাজে রওনা হন ঢাকার পথে। রওনা দেয়ার আগে আদর করে ভাত মেখে খাওয়ান ১১ মাসের মেয়ে কান্তাশ্রীরীকে। তারপর আর বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। তিনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন, আদৌ বেঁচে আছেন কি না এর কিছুই জানেন না তার পরিবার। গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে মেয়ে কান্তাশ্রীরীকে কোলে নিয়ে এসব কথা বলেন কমল কান্তির স্ত্রী অনিতা রানী। তার দাবি একটাই, স্বামী কোথায় আছে তার সন্ধান যেন পান।
অনিতা রানী সাংবাদিকদের বলেন, ছোট মেয়েকে সে অনেক ভালোবাসত। কাজে বেরিয়ে যেত সকালে, সারাদিন বাইরে থাকত। একটু পরপরই ফোন করে মেয়ের সঙ্গে কথা বলত। মেয়েটাও খুব বাবা ভক্ত ছিল। দুই মাস হতে চলল, আমার স্বামী নিখোঁজ। কিন্তু মোবাইলে কল এলেই মেয়েটা মনে করে, ওর বাবা ফোন দিয়েছে। সবসময় বাবা বাবা বলে কান্না করে। রাতে বিছানায় বাবাকে খোঁজে। ওইটুকু অবুঝ শিশুর কান্না দেখে মনকে মানাতে পারি না। স্বামীকে হারানোর কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে যায়।
আনিতা রানী বলেন, কমল কান্তি গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর আর তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। এর কয়েকদিন পর মাওয়া ঘাটে পাওয়া একটি লাশ আমাদের দেখিয়ে বলে, ওইটা আমার স্বামীর লাশ। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস, ওইটা ওর লাশ হতে পারে না। তাকে গুম করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ওকে গুম করার পেছনে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাই। তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চাচ্ছি। কিন্তু কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিচারের দাবি জানাতে প্রেস ক্লাবে এসেছি। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কমল কান্তির বাবা। তিনি বলেন, শত্রুতার জের ধরে আমার ছেলেকে গুম করা হয়েছে। পরে অন্য একটা লাশ দেখিয়ে তারা বলে, ঢাকা যাওয়ার পথে মাওয়া ঘাটে ডুবে মারা গেছে কমল। ওরা যে ছবি দেখিয়েছে, সেটার সঙ্গে আমার ছেলের কোনো মিল নেই। আমার ছেলের সন্ধান চাই। মানববন্ধনে কমল কান্তিকে খুঁজে বের করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায় বলেন, একটি মহল সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কর্মকা-ে লিপ্ত হয়েছে। সনাতন সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে তারা। এ বিষয়ে সনাতন সম্প্রদায়কে সজাগ থাকতে হবে। পরিষদের সভাপতি দিপঙ্কর শিকদার দিপুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সহ-সভাপতি ড. বিপ্লব ভট্টাচার্য, অসীম দেবনাথসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সহমত..
উত্তরমুছুন