শেরপুরে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী, মায়ের বিষপান
যুক্তরা প্রভাবশালী পরিবারের হওয়ায় ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এবং মামলা না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশ কেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক মাদ্রাসা ছাত্রী। এ ঘটনায় বিষপান করে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ করেছেন ওই ছাত্রীর মা।
এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে মো. ইলিয়াস (২৫) নামে এক যুবকসহ চার জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. আল-আমীন।
ইলিয়াস ঝিনাইগাতী উপজেলার কালিনগর এলাকার বাসিন্দা।পুলিশ জানায়, ১৪ বছর বয়সী ওই মাদ্রাসা ছাত্রী তার ৩-৪ জন বান্ধবীর সঙ্গে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যটন স্পট গজনী অবকাশ কেন্দ্রে বেড়াতে যায়। সেখানে তার সঙ্গে পূর্বপরিচিত ইলিয়াসের দেখা হয়।
এক পর্যায়ে ইলিয়াস তার তিন সহযোগীর সহায়তায় ছাত্রীকে অবকাশ কেন্দ্রের পাহাড়ের একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
তবে অভিযুক্তরা প্রভাবশালী পরিবারের হওয়ায় ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এবং মামলা না করার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।
এরপরও ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়েটির মা ‘লোক- লজ্জার ভয়ে’ বাড়ির পাশে জঙ্গলে গিয়ে বিষপান করেন।
টের পেয়ে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বুধবার সকালে জানান, বিষপান করে তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ওসি আল-আমীন বুধবার দুপুরে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। তবে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।এছাড়া ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷