বরিশালের বনারীপাড়া উপজেলার ইলুহার গ্রামে সংখ্যালঘু নারীদের উপর হামলা।
বরিশালের বনারীপাড়া উপজেলার ইলুহার গ্রামে সংখ্যালঘু নারীদের উপর হামলা। অভিযোগ পাওয়ার ৫ দিনেও মামলা রেকর্ড করেনি থানা পুলিশ। ভিডিওটি সকলকে দেখার অনুরোধ রইল।
সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের কাছে জানা যায় ইলুহার বিহারী লাল পাবলিক একাডেমি সংলগ্ন কার্তিক চন্দ্র বাড়ৈর মৃত্যুর পরে তার পৈত্রিক ভিটেবাড়ি দেখাশুনা করেন তার দুই মেয়ে গৌরী রানী বাড়ৈ ও আলো রানী। তারা তাদের শশুর বাড়িতে থাকার কারনে স্থানীয় রাজাকার ভুমিদস্যু রফিক মাষ্টারের ছেলে আরিফ হাওলাদার তাদের জমি অবৈধ ভাবে জবর দখল করে ভোগ দখল করে এবং সেখানে গাছপালা লাগিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদ করার জন্য ৭ জানুয়ারী সকালে দুই বোন সেখানে গেলে আরিফ হাওলাদার দুই বোনের উপর মাদার কচা দিয়ে বেধরক পিটিয়ে তাদের শরিরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে।
এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে, বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করে এবং দেশ ছেড়ে ইন্ডিয়া চলে যেতে বলেন ৷ এমনকি আরো বলেন যে " আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় তাতেও তোদের এই দেশে থাকতে দিব না।"এই মর্মে বিভিন্ন হুমকি দেয় । বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আরিফ হাওলাদার ও তার শশুর, মৃত কার্তিক চন্দ্র বাড়ৈ এর দুই মেয়ের উপর মাদার গাছের লাঠি নিয়ে চরাও হয় ও বেধরক মারধর করে এবং একজনের হাত ভেঙ্গে ফেলে।
ওই এলাকার সাবেক মেম্বর নিরোধ বিহারী হালদার (৯৬), দুলাল চন্দ্র শীল (৭৮) অভিযোগ করে বলেছেন
এই আরিফ হাওলাদার পিতা রাজাকার রফিক মাস্টারও বেচেঁ থাকতে সে এই এলাকার হিন্দুদের উপর অত্যাচার করতো এবং হিন্দুদের সম্পত্তি জবর দখল করার কাজে ব্যাস্ত ছিলো। সে বেঁচে না থাকলেও তার বংশধর আরিফো এখন তার পথই অনুসরণ করছে। আর যার নির্মম অত্যাচারের শিকার আজ এই সংঘালঘু পরিবার। তারা এখন আতংকে রয়েছেন।
এঘটনার সাথে সাথেই আহতরা বানারীপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কিন্তু ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়নি বলেও অভিযোগ করা করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে ইলুহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন আমি ঘটনা শুনেছি। উভয় পক্ষ শালিশীর জন্য আবেদন করেছেন। আজকে বিকালে বিহারিলাল একাডেমিতে শালিশী বসা হচ্ছে।
বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পালের সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে অভিযুক্ত আরিফকেও এলাকায় পাওয়া যায়নি এবং তার দোকানটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে বরিশালের পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক এর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷