[হেফাজতে ইসলাম সমর্থকরা হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামের ৪০টির মতো বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক যুবককে আটকের পর আজ বুধবার স্থানীয় হেফাজতে ইসলাম সমর্থকরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা চালায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দ্য ডেইলি স্টারকে জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'হিন্দু অধ্যুষিত এই গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িই টিনের বেড়ার। হামলায় ৩৫টা বাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং আরও ৪০টির মতো বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'আমরা হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের আশ্বস্ত করেছি, তাদের নিরাপত্তা ও সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করছি। হামলাকারীদের ও হামলার ইন্ধনদাতাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।’
এর আগে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নিয়ে মঙ্গলবার ফেসবুকে কটূক্তিমূলক একটি পোস্ট দেন গ্রামের এক যুবক। রাতেই স্থানীয়রা তাকে স্থানীয় বাজারে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন এবং হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতারা এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
‘এ অবস্থার মধ্যেই আজ সকালে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েকশ হেফাজত সমর্থক বাসিন্দা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ হন। তারপর তারা ওই যুবকের বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে’, বলেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷