Breaking News

অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হরিণবেড়ের লাকি রানী দাসের পরিবার।

অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হরিণবেড়ের লাকি রানী দাসের পরিবার। লাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী। তার বাবা রনু দাস একজন দরিদ্র জেলে। নিজেদের কোন বসবাসের জায়গা না থাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন হরিণবেড় পাড়ার সঞ্জিত দাসের বাড়িতে।
নানা সীমাবদ্ধতা থাকলেও মোটামুটি ভালই চলছিল লাকিদের সংসার। কিন্তু শুক্রবার দুপুরের আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে পথে বসেছে লাকীর পরিবার। ঘরে থাকা সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে লাকির এসএসসি, এইচএসসি পাশের সার্টিফিকেটসহ সম্মান ২য় বর্ষের পরীক্ষার প্রবেশপত্রও।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের এক পাশে দাঁড়িয়ে আছেন লাকি। চোখে মুখে হতাশার ছায়া। ঘরের অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে তার শিক্ষা জীবনের এখন পর্যন্ত অর্জিত সার্টিফিকেট এবং চলমান স্নাতক ২য় বর্ষের পরীক্ষার প্রবেশপত্র পুড়ে যাওয়ায় বাকরুদ্ধ তিনি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে লাকি বলেন, আমার সব সার্টিফিকেট পুড়ে ছাই হয়ে গেল। সেই সঙ্গে গেল পরীক্ষার প্রবেশপত্রও। এখন কিভাবে পরীক্ষা দেব বুঝতে পারছি না।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, লাকির বাকি পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানায়, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের নাসিরনগর ও মাধবপুর উপজেলার ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷