দিনাজপুরের কাহারোল সমাধি ভাংচুর করে অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, কাহারোল উপজেলা শাখা ও রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নবাসী।
দিনাজপুরের কাহারোল উপেজলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. রমিজ আলমের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান ও কালিমন্দিরের জায়গায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমাধি ভাংচুর করে অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, কাহারোল উপজেলা শাখা ও রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নবাসী।
সোমবার বিকাল ৫টায় কাহারোল উপজেলা বাজার এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা দাবি করেন, আদালতের আদেশ অমান্য করে রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দিরের জায়গায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে বিভিন্নজনের সমাধি ভাংচুর করেন এবং অবৈধভাবে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন কাহারোল উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনার মো. রমিজ আলম।
রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নবাসী জানায়, উপজেলার সাহাপাড়া মৌজার জেএল নং ১০৬, খতিয়ান নং এসএ-২, দাগ নং ১৯১, রকম ডাঙ্গা, পরিমান ৬.৮৮ একর জমির উপর গত ৬০ বছর যাবত দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দিরে পূজা অর্চনা এবং দাহকাজ ও যারা দাহ করতে পারেন না বা করেন না তারা সমাধি দিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রশাসনের যোগসাজশে কতিপয় ব্যক্তি শ্মশান ও কালিমন্দিরের জায়গা নিজ নামে লিজ বা পত্তন নেওয়ার জন্য পায়তারা করছেন।
ইতোমধ্যে সেই স্থানে একটি মহল লাঠিসোঠাসহ অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে দখল নিতে গেলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাঁধা দেয়। যার প্রেক্ষিতে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দির কমিটির সদস্য পরিমল চন্দ্র রায়। যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে বলে জানা যায়।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দির কমিটির পক্ষে কমিটির সদস্য পরিমল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক দিনাজপুর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাহারোল ও সহকারি ভূমি কমিশনার কাহারোল এর বিরুদ্ধে দেঃকাঃবিঃ আইনের ৩৯ অর্ডার নং ১ রুলে এভিডেভিট করে মামরা চলাকালীন অবস্থায় বর্ণিত সম্পত্তির কোন প্রকার লিজ বা পত্তন দিতে না পারেন সেজন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য দিনাজপুর কাহারোল সহকারি জজ আদালতে প্রার্থনা করা হয়। যার মোকদ্দমা নং ১০০/২০১৯।
এই মামলায় গত ১২/১২/১৯ ইং তারিখে ১-৪ নং বিবাদীকে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন। কিন্তু বিবাদীগণ আদা আদালতে হাজির হননি। পরে আদালত আগামী ২০/০১/২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত নালিশি সম্পত্তির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
কমিটির অভিযোগ, বিবাদীগণ আলাদতে হাজির হয়নি, তারপরেও আদালতের আদেশ অমান্য করে গদ ৮ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দিরের জায়গায় প্রবেশ করে কাহারোল উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনার রমিজ আলম হিন্দু সম্প্রদায়ের সমাধি ভাংচুরসহ ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। এ অবস্থায় অত্র এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা।
তবে শ্মশান ও কালিমন্দিরের জায়গাটি সরকারের বলে দাবি করেছেন কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার বিষয়ে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুল হাসান বলেন, ‘যেখানে এসিল্যান্ড গিয়েছিল সেই জমিটা সরকারের। এটা সরকারের অর্পিত সম্পত্তি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে ওই জমিতে কোন পক্ষই যেতে পারবে না কিন্তু একটা পক্ষ ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মানুষ না মরলেও সমাধি বানিয়ে জমিটা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এজন্য এসিল্যান্ড গিয়ে তাদের বানানো সমাধি ভেঙে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কাহারোল থানায় একটি চিঠিও দিয়েছি। যাতে জমির মামরা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ ওই জমিতে যেতে না পারে। বরং আমরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাইনি যারা অভিযোগ করেছে তারাই আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমিতে সমাধি বানিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
সোমবার বিকাল ৫টায় কাহারোল উপজেলা বাজার এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা দাবি করেন, আদালতের আদেশ অমান্য করে রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দিরের জায়গায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে বিভিন্নজনের সমাধি ভাংচুর করেন এবং অবৈধভাবে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন কাহারোল উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনার মো. রমিজ আলম।
রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নবাসী জানায়, উপজেলার সাহাপাড়া মৌজার জেএল নং ১০৬, খতিয়ান নং এসএ-২, দাগ নং ১৯১, রকম ডাঙ্গা, পরিমান ৬.৮৮ একর জমির উপর গত ৬০ বছর যাবত দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দিরে পূজা অর্চনা এবং দাহকাজ ও যারা দাহ করতে পারেন না বা করেন না তারা সমাধি দিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রশাসনের যোগসাজশে কতিপয় ব্যক্তি শ্মশান ও কালিমন্দিরের জায়গা নিজ নামে লিজ বা পত্তন নেওয়ার জন্য পায়তারা করছেন।
ইতোমধ্যে সেই স্থানে একটি মহল লাঠিসোঠাসহ অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে দখল নিতে গেলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাঁধা দেয়। যার প্রেক্ষিতে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দির কমিটির সদস্য পরিমল চন্দ্র রায়। যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে বলে জানা যায়।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দির কমিটির পক্ষে কমিটির সদস্য পরিমল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক দিনাজপুর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাহারোল ও সহকারি ভূমি কমিশনার কাহারোল এর বিরুদ্ধে দেঃকাঃবিঃ আইনের ৩৯ অর্ডার নং ১ রুলে এভিডেভিট করে মামরা চলাকালীন অবস্থায় বর্ণিত সম্পত্তির কোন প্রকার লিজ বা পত্তন দিতে না পারেন সেজন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য দিনাজপুর কাহারোল সহকারি জজ আদালতে প্রার্থনা করা হয়। যার মোকদ্দমা নং ১০০/২০১৯।
এই মামলায় গত ১২/১২/১৯ ইং তারিখে ১-৪ নং বিবাদীকে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন। কিন্তু বিবাদীগণ আদা আদালতে হাজির হননি। পরে আদালত আগামী ২০/০১/২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত নালিশি সম্পত্তির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
কমিটির অভিযোগ, বিবাদীগণ আলাদতে হাজির হয়নি, তারপরেও আদালতের আদেশ অমান্য করে গদ ৮ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দিরের জায়গায় প্রবেশ করে কাহারোল উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনার রমিজ আলম হিন্দু সম্প্রদায়ের সমাধি ভাংচুরসহ ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। এ অবস্থায় অত্র এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা।
তবে শ্মশান ও কালিমন্দিরের জায়গাটি সরকারের বলে দাবি করেছেন কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার বিষয়ে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুল হাসান বলেন, ‘যেখানে এসিল্যান্ড গিয়েছিল সেই জমিটা সরকারের। এটা সরকারের অর্পিত সম্পত্তি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে ওই জমিতে কোন পক্ষই যেতে পারবে না কিন্তু একটা পক্ষ ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মানুষ না মরলেও সমাধি বানিয়ে জমিটা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এজন্য এসিল্যান্ড গিয়ে তাদের বানানো সমাধি ভেঙে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কাহারোল থানায় একটি চিঠিও দিয়েছি। যাতে জমির মামরা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ ওই জমিতে যেতে না পারে। বরং আমরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাইনি যারা অভিযোগ করেছে তারাই আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমিতে সমাধি বানিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷