ডা. মনীষা চক্রবর্তীর বাবা, ঠাকুর দাদা এবং ঠাকুর মায়ের নাম রাজাকারের তালিকায়!
ডা. মনীষা চক্রবর্তীর বাবা, ঠাকুর দাদা এবং ঠাকুর মায়ের নাম রাজাকারের তালিকায়!
প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। রোববার প্রকাশিত ওই তালিকায় বরিশালের গেজেটেড এক মুক্তিযোদ্ধার নাম এসেছে রাজাকারের তালিকায়। ওই মুক্তিযোদ্ধার নাম অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তী। যার ক্রমিক নম্বর ১১২, পৃষ্ঠা নম্বর ৪১১৩। তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও পেয়ে থাকেন। তপন কুমার চক্রবর্তীর কন্যা ডা. মনীষা চক্রবর্তী বিগত বরিশাল সিটি করপেোরেশন নির্বাচনে বাসদের মেয়র প্রার্থী ছিলেন।
এ নিয়ে ডা. মনিষা তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার রাজনীতির কারণে তার পরিবারকে খেসারত দিতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তীর নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে ডা. মনীষা চক্রবর্তী লেখেন, মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করার পুরস্কার পেলাম আজ। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগকে। সদ্য প্রকাশিত রাজাকারদের গেজেটে আমার বাবা এবং ঠাকুরমার নাম প্রকাশিত হয়েছে। আমার বাবা অ্যাড. তপন কুমার চক্রবর্তী একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, ক্রমিক নং ১১২ পৃষ্ঠা ৪১১৩। তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও পেয়ে থাকেন! আজ রাজাকারের তালিকায় তিনি ৬৩ নাম্বার রাজাকার।
আমার ঠাকুরদা অ্যাড. সুধির কুমার চক্রবর্ত্তীকে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তিনিও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। তার সহধর্মিণী আমার ঠাকুরমা উষা রানী চক্রবর্ত্তীকে রাজাকারের তালিকায় ৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য আমার রাজনীতি করার খেসারত দিতে হচ্ছে আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগ সরকারকে।
আমার দল বাসদ আমাকে শিখিয়েছে অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করাকে। মিছিল থেকে গ্রেফতার করে থানায় নির্যাতন করে ওরা বলেছিল যে আন্দোলন যেন না করি, নির্বাচনে যেন অংশ না নিই। রাজী না হওয়ায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অজামিনযোগ্য মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ করেছে। আমরা জেল খেটেছি, নির্যাতন সহ্য করেছি কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি। ভয় দেখিয়ে বা বিপদে ফেলে আমাদের কিছু করা যাবে না। অভুক্ত, অর্ধভুক্ত গরীব খেটে খাওয়া মানুষ আছে আমাদের দলের সাথে। আছে অনেক শুভাকাঙ্খী। অতীতের মতো আজ এবং আগামীতে আপনাদের পাশে পাবো সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এমজি কবির ভুলু এ ব্যাপারে বলেন, তপন কুমার চক্রবর্তীর বাবাকে রাজাকাররা ধরে নিয়ে হত্যা করেছে, এটি সত্য। মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত চৌধুরী বলেন, সরকার যে তালিকা করেছে তাতে আমাদের দ্বিমত আছে। আমরা যে তালিকা দিয়েছি সেই তালিকার সাথে এর মিল নেই। এটি সংশোধন করা দরকার। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ দুলাল এক কথায় বলেছেন, তালিকায় ভুল করে তাদের নাম এসেছে।
এ নিয়ে ডা. মনিষা তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার রাজনীতির কারণে তার পরিবারকে খেসারত দিতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তীর নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে ডা. মনীষা চক্রবর্তী লেখেন, মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করার পুরস্কার পেলাম আজ। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগকে। সদ্য প্রকাশিত রাজাকারদের গেজেটে আমার বাবা এবং ঠাকুরমার নাম প্রকাশিত হয়েছে। আমার বাবা অ্যাড. তপন কুমার চক্রবর্তী একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, ক্রমিক নং ১১২ পৃষ্ঠা ৪১১৩। তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও পেয়ে থাকেন! আজ রাজাকারের তালিকায় তিনি ৬৩ নাম্বার রাজাকার।
আমার ঠাকুরদা অ্যাড. সুধির কুমার চক্রবর্ত্তীকে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তিনিও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। তার সহধর্মিণী আমার ঠাকুরমা উষা রানী চক্রবর্ত্তীকে রাজাকারের তালিকায় ৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য আমার রাজনীতি করার খেসারত দিতে হচ্ছে আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগ সরকারকে।
আমার দল বাসদ আমাকে শিখিয়েছে অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করাকে। মিছিল থেকে গ্রেফতার করে থানায় নির্যাতন করে ওরা বলেছিল যে আন্দোলন যেন না করি, নির্বাচনে যেন অংশ না নিই। রাজী না হওয়ায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অজামিনযোগ্য মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ করেছে। আমরা জেল খেটেছি, নির্যাতন সহ্য করেছি কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি। ভয় দেখিয়ে বা বিপদে ফেলে আমাদের কিছু করা যাবে না। অভুক্ত, অর্ধভুক্ত গরীব খেটে খাওয়া মানুষ আছে আমাদের দলের সাথে। আছে অনেক শুভাকাঙ্খী। অতীতের মতো আজ এবং আগামীতে আপনাদের পাশে পাবো সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এমজি কবির ভুলু এ ব্যাপারে বলেন, তপন কুমার চক্রবর্তীর বাবাকে রাজাকাররা ধরে নিয়ে হত্যা করেছে, এটি সত্য। মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত চৌধুরী বলেন, সরকার যে তালিকা করেছে তাতে আমাদের দ্বিমত আছে। আমরা যে তালিকা দিয়েছি সেই তালিকার সাথে এর মিল নেই। এটি সংশোধন করা দরকার। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ দুলাল এক কথায় বলেছেন, তালিকায় ভুল করে তাদের নাম এসেছে।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷