বরিশাল গৌরনদী থেকে অপহৃত হিন্দু স্কুল ছাত্রীর খোঁজ মেলেনি ১৫ দিনেও।
সনাতন নিউজ২৪.<> ঢাকা বাংলাদেশ
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বছার গ্রাম থেকে অপহৃত সংখ্যালঘু কিশোরী স্কুল ছাত্রী পূজা হালদারের খোঁজ মেলেনি ১৫ দিনেও। এ ঘটনায় উৎকণ্ঠিত কিশোরীর পিতা-মাতা তাদের মেয়েকে উদ্ধারের জন্য থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এজাহার সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার মাহিলাড়া এ.এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ও বাটাজোর ইউনিয়নের বছার গ্রামের বাসিন্দা গনেশ হালদারের কিশোরী মেয়ে পূজা হালদার (১৫)কে একই গ্রামের সুনীল শিয়ালীর বখাটে ছেলে সুশান্ত শিয়ালী দীর্ঘদিন ধরে নানা কু প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করছিল। এ ঘটনা পূজা তার মা-বাবাকে জানালে তারা বখাটে সুশান্ত শিকারীর বাবা-মা ও স্বজনকে ঘটনা জানিয়ে সুশান্তকে শাসন করতে বলে আসেন।
বখাটের বাবা সুনীল শিয়ালী তার বখাটে ছেলে সুশান্তকে শাসন না করে উল্টো ছেলেকে বখাটেপনা করতে সাহস যোগান। ফলে সুশান্ত বে-পরোয়া হয়ে ওঠে। গত ২৩ জানুয়ারী ভোরে পূজা হালদার তাদের বাড়ির সামনে হাঁটতে বের হলে পূর্বথেকে সেখানে ওৎ পেতে থাকা বখাটে সুশান্ত শিকারী ও তার সহযোগী সাগর মন্ডল, অনিল শিয়ালীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জন লোক জোর পূর্বক পূজাকে একটি মাহিন্দ্রাতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় পূজা ডাক-চিৎকার দিলে তা শুনে স্বজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসার আগেই অপহরণকারীরা মাহিন্দ্রযোগে পূজাকে নিয়ে সটকে পড়ে। এ ঘটনায় পূজার মা পিঞ্জিরা হালদার বাদি হয়ে সুশান্ত শিকারী, সাগর মন্ডল, অনিল শিয়ালীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জনকে আসামী করে গত ২৯ জানুয়ারী গৌরনদী মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী ও অপহৃতা কিশোরীর মা পিঞ্জিরা হালদার জানান, ২৩ জানুয়ারী ভোরে পূজাকে অপহরণ করে নিয়ে যওয়ার পর ওই দিনই তাকে উদ্ধারের জন্য গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের দ্বারস্থ হই। থানা পুলিশ আমার মামলা না নিয়ে এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে রাখে। পূজাকে খুঁজে না পাওয়ায় ২৯ জানুয়ারী পুলিশ আমার অভিযোগকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে। গত ১৫ দিন ধরে আমি থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। এখন পর্যন্ত তারা আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমার মেয়েটি বেঁচে নাকি তাকে মেরে ফেলে লাশ গুম করেছে তাও বলতে পারছিনা। ভীষন উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটছে আমার।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারে তাদের সম্ভাব্য অবস্থানের স্পটগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানে তাদের পাওয়া যায়নি। এখন প্রযুক্তির সহয়তা নিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷