মে মাসে মাঝামাঝি দেশজুড়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পরিকল্পনায় নির্বাচন কমিশন।
সনাতন নিউজ২৪.<> ঢাকা বাংলাদেশ
আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশজুড়ে বড় পরিসরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ও নতুন সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।
দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপি রয়েছে। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে ২২ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে চার হাজারের বেশি ইউপির ভোট হয় দলীয় প্রতীকে। এবারও দলীয় প্রতীকে ভোট হবে।
বেশিরভাগ ইউপিতে কবে নাগাদ ভোট হবে জানতে চাইলে নূরুল হুদা বলেন, ‘ভোটার তালিকা চূড়ান্ত প্রকাশের বিষয়, সিডি তৈরি ও রমজান রয়েছে। ৭ এপ্রিল কিছু হবে। তবে ঈদের পরে মধ্য মে মাসে ইউপি নির্বাচন শুরু হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘এপ্রিলের ৭ তারিখে আরেকটি পৌরসভা নির্বাচন হবে। একইসঙ্গে কিছু ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে। এজন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হবে, কয়টি পৌরসভা ও ইউপিতে ভোট করা যায় তা পর্যালোচনা করা হবে। তবে রমজানে নির্বাচন হবে না। মার্চ মাসে কোনো নির্বাচন হবে না। একমাস আমাদের ছুটিতে যেতে হবে। কারণ আমাদের ভোটার লিস্ট তৈরি করা, সেটা চূড়ান্ত করা, তালিকার সিডি করে প্রার্থীদের দিতে হবে; এ সকল কাজে সময়টা চলে যাবে।’
সামনের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও সংঘাতমুক্ত হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে নূরুল হুদা বলেন, ‘কোথাও কোথাও ভোটে সংঘাত হয়। এগুলো চলে গেলে খুশি হবো, কিন্তু যাচ্ছে না। আজকেও আমরা চট্টগ্রাম, যশোরে কথা বলেছি। ১৪ তারিখ ভালোবাসা দিবসের নির্বাচনকেও ভালোবেসে ফেললাম। আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনার দিক দিয়ে যা যা দরকার আমরা সব ঠিকভাবে দেখেছি।’
অনুষ্ঠানে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷