বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় সংখ্যালঘুর উপর বর্বর হামলায় আহতরা প্রশাসনের কাছে সুবিচার চান
সনাতন নিউজ২৪.<> ঢাকা বাংলাদেশ
বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় সংখ্যালঘুর উপর বর্বর হামলায় আহতরা প্রশাসনের কাছে সুবিচার চান,
বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামে পূর্বপুরুষের জমিতে জোরপূর্বক চাষাবাদে বাধা দেওয়ায় হিন্দু পরিবারের ৬ সদস্যকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে স্থানীয় জিএম খলিল ও তার ছেলে তানভীর,ভাগ্নে সোলেমান এবং ভাইয়ের ছেলে আলামিন। সঙ্গবদ্ধ হামলাকারীদের ধারালো রামদা, লোহার রড ও হকিস্টিক আঘাতে রক্তাক্ত জখম সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের সদস্যরা হলেন গোবিন্দ শীল (৬০), ও তার স্ত্রী মঞ্জু রানি (৫০) আপন ভাই হরে কৃষ্ণ শীল (৫০) এবং তার ছেলে গৌতম চন্দ্র শীল (২৫)। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর আহতরা এখন আশংকামুক্ত বলে আমাদের প্রতিনিধি জানান। এছাড়াও আহত হয়েছেন হরে কৃষ্ণ শীলের মেয়ে মিতালী এবং গোবিন্দ শীলের ভাইয়ের ছেলে বউ পপি রানী।
সন্ত্রাসী বাহিনী উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করেই কেবল থেমে থাকেনি, জীবননাশের হুমকি এবং দেশ ছাড়ার হুমকিও দিতে থাকে হিন্দু পরিবারটিকে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আহত গোবিন্দ শীলের পাশ্ববর্তী কিছু জায়গা ক্রয় করে জি এম খলিল গং, তারই ধারাবাহিকতায় পুরো জায়গাটার মালিকানা দাবি করে সম্পূর্ণ অস্ত্র এবং পেশীশক্তির জোরে দখল করার হীন মানসে গত ৩১শে জানুয়ারি রবিবার বিকেল ৫ টায় অবৈধভাবে সেখানে চাষাবাদ করার চেষ্টাকালে গোবিন্দ শীলের পরিবার তাতে বাধা প্রদান করলে, তিনি সহ তাঁর পরিবারের সকলের উপর এই বর্বর নির্যাতন নেমে আসে।
এই ঘটনায় মামলাও দায়ের হয়েছে।আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে গোবিন্দ শীলের পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। প্রায় একসপ্তাহ আগে সংঘটিত হামলার শিকার উত্তম শীল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তিনি সকল হিন্দু সংগঠন, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, সাংবাদিক মহল এবং সচেতন নাগরিকদের সহায়তা কামনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷