হিন্দু দেশ না হওয়া সত্ত্বেও হিন্দু দেবতার নামে উৎসর্গিত এই বিমানবন্দর
সনাতন নিউজ২৪.<> ঢাকা বাংলাদেশ
উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adithyanath) সরকার বাজেট উপস্থাপন করে ঘোষণা করেছিল, অযোধ্যায় নবনির্মিত বিমানবন্দরটি ভগবান শ্রী রামের নামে নামাঙ্কিত করা হবে। তবে সেই প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি। তেমনটা হলে দেশে প্রথম হিন্দু দেবতার নামে কোনও বিমানবন্দর তৈরি হবে
#ব্যাংকক:সর্বভৌম ভারতে সব ধর্মের সহাবস্থান। এই দেশে এখনও হিন্দু দেবতার নামে কোনও বিমানবন্দর তৈরি হয়নি, যা হয়েছে অন্য দেশে। সুদূর অতীতে ঔপনিবেশিকতার হাত ধরে ভারতীয়, বিশেষ করে হিন্দু এবং বৌদ্ধ সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের নানা প্রান্তে। এই কাজে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল বহির্বিশ্বের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যনীতিও। ফলে বিশ্বের কয়েকটি প্রান্তে হিন্দু সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব নানা ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়।
উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adithyanath) সরকার বাজেট উপস্থাপন করে ঘোষণা করেছিল, অযোধ্যায় নবনির্মিত বিমানবন্দরটি ভগবান শ্রী রামের নামে নামাঙ্কিত করা হবে। তবে সেই প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি। তেমনটা হলে দেশে প্রথম হিন্দু দেবতার নামে কোনও বিমানবন্দর তৈরি হবে। ইতিমধ্যে খোঁজ মিলল এমন এক বিমানবন্দরের, যা ভারতের না হওয়া সত্ত্বেও হিন্দু দেবদেবীদের প্রতি উৎসর্গিত।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। নাম সংস্কৃতি সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর। যেটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বিমানবন্দরও বটে। এই বিমানবন্দরে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণে দণ্ডায়মান সমুদ্র মন্থনের বিরাট মূর্তি। অমৃত লাভে দেবতা ও অসুরদের মধ্যেকার লড়াই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ওই অবয়বে। সমুদ্র মন্থনে দড়ির ভূমিকা পালন করা বসুকি নাগের অবয়ব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গোটা মূর্তি বিশেষ থাই শৈলীতে তৈরি করা হয়েছে।
থাইল্যান্ড বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দেশ হলেও কোনও কালে সেখানে হিন্দু রাজাদের প্রাধান্য কায়েম ছিল। তারই প্রভাবে এখনও সে দেশে রীতিনীতি পালিত হয় হিন্দু মতে। সংস্কৃতে কথা বলেন থাইল্যান্ডের বহু মানুষ। প্রবাদপ্রতিম রাজা ভূমিবল সুবর্ণভূমি নাম রেখে এই বিমানবন্দরটি ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করেছিলেন। বিমানবন্দরের মধ্যস্থানে ভগবান বিষ্ণুর একটি বড় মূর্তি রয়েছে। অন্য দিকে হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির ঝরনা মানুষকে ভীষণ ভাবে আকর্ষণ করে।
একই ভাবে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী বালির বিমানবন্দরের অদূরে এক ভবনে ভগবান বিষ্ণুর বিশাল মূর্তি দৃশ্যমান হয়। যা প্রমাণ করে এই দেশ-সহ মালেশিয়া, মলদ্বীপ, কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডে কতটা প্রভাব বিস্তার করেছিল হিন্দু সংস্কৃতি!
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷