বাগেরহাট চিতলমারীতে সুদখোরের চাপে হিন্দু শিক্ষিকার আত্মহত্যা
সনাতন নিউজ২৪.
বাগেরহাটের চিতলমারীতে সুদখোরের চাপে হাসিকনা বিশ্বাস (৩৩) নামের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার ৯৭ নং দক্ষিণ শিবপুর মধ্য পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। নিহতের স্বামী যুগল কান্তি ডাকুয়া স্থানীয় আজিজুল হক কিন্ডারগার্টেন এর প্রধান শিক্ষক। এ শিক্ষক দম্পতির স্বপ্নিল ডাকুয়া নামের দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক পুত্র সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর আগে তারা খড়মখালী গ্রামের গুরু দাস হালদারের জায়গা কিনে বসতবাড়ি গড়ে তোলে এবং সেখানে বসবাস করছেন।।
মৃত ওই শিক্ষিকার স্বামী যুগল কান্তি ডাকুয়া জানান,
জমি কেনার সময় তারা এখানের কিছু লোকের কাছ থেকে সুদে টাকা নেয়। সময়মত তাদের মাসিক সুদ পরিশোধ করছিলেন তারা। তবে কিছুদিন আগে স্থানীয় থ্রি স্টার এনজিও জোরপূর্বক তাদের বসতবাড়ির ২৬ শতাংশ জমি লিখে নেয়। এর পর থেকে অন্যান পাওনাদার টাকার জন্য চাপ দেয়। গত রবিবার ( ১৯ জুলাই ) রত্না মন্ডল এবং বিকাশ বালা টাকার জন্য তাদের ( স্বামী স্ত্রী একসাথে) রাস্তার উপর আটক করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি দেয়। একপর্যায়ে রত্না মন্ডল বলে, "টাকা দিতে না পারলে তোর বউকে দে" এমন কথার প্রতিবাদ করতে গেলে বিকাশ বালা তার উপর জুতা নিয়ে তেড়ে ওঠে।সোমবার সকলে রবিন সরকার টাকার জন্য তাদের বাড়িতে এসে বকাঝকা করে।
দুপুরে যুগল কান্তি বাড়িতে প্রবেশকালে অনুপ বসুকে তার লোকজনসহ নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখে। তখন সে অনুপ বসুকে ঘরে নিয়ে ঘরের বারান্দায় (ঘরের সামনের বারান্দা) বসে টাকার বিষয়ে কথাবার্তা বলে। তারা চলে গেলে তিনি ঘরে ঢুকে পেছনে বারান্দায় আড়ার সাথে তার স্ত্রী হাসিকানকে ওরনা পেচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে এবং চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আছে। আমার স্ত্রীকে ওরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।
চিতলমারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, আজ দুপুরের পর আমাদের একজন প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম ফকির ফোন করে জানান হাসিকনা বিশ্বাস গলায় রশি নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক ছিলেন। তার পাঠদানের আলাদা ক্ষমতা ছিল। তার মৃত্যু নিয়ে কোন কারসাজি থাকলে আমরাও তার বিচার চাই।
চিতলমারী থানার সাব ইনস্পেক্টর নিকুঞ্জ রায় বলেন, হাসিকনা বিশ্বাসের মৃতদেহ সুরতহাল করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
মৃত হাসিকনা বিশ্বাস চিতলমারী উপজেলার চিলুনী গ্রামের খগেন বিশ্বাসের মেয়ে। গত ১৭ বছর আগে বাগেরহাট কাঠিগোমতি গ্রামের জিতেন ডাকুয়ার ছেলে যুগল কান্তি ডাকুয়ার সাথে বিবাহ হয়। চাকুরির সুবাদে তারা চিতলমারী চলে আসে এবং খড়মখালী গ্রামে জমি কিনে নতুন বসতি গড়ে তোলেন।
শেরার করুন.....
বাগেরহাটের চিতলমারীতে সুদখোরের চাপে হাসিকনা বিশ্বাস (৩৩) নামের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার ৯৭ নং দক্ষিণ শিবপুর মধ্য পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। নিহতের স্বামী যুগল কান্তি ডাকুয়া স্থানীয় আজিজুল হক কিন্ডারগার্টেন এর প্রধান শিক্ষক। এ শিক্ষক দম্পতির স্বপ্নিল ডাকুয়া নামের দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক পুত্র সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর আগে তারা খড়মখালী গ্রামের গুরু দাস হালদারের জায়গা কিনে বসতবাড়ি গড়ে তোলে এবং সেখানে বসবাস করছেন।।
মৃত ওই শিক্ষিকার স্বামী যুগল কান্তি ডাকুয়া জানান,
জমি কেনার সময় তারা এখানের কিছু লোকের কাছ থেকে সুদে টাকা নেয়। সময়মত তাদের মাসিক সুদ পরিশোধ করছিলেন তারা। তবে কিছুদিন আগে স্থানীয় থ্রি স্টার এনজিও জোরপূর্বক তাদের বসতবাড়ির ২৬ শতাংশ জমি লিখে নেয়। এর পর থেকে অন্যান পাওনাদার টাকার জন্য চাপ দেয়। গত রবিবার ( ১৯ জুলাই ) রত্না মন্ডল এবং বিকাশ বালা টাকার জন্য তাদের ( স্বামী স্ত্রী একসাথে) রাস্তার উপর আটক করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি দেয়। একপর্যায়ে রত্না মন্ডল বলে, "টাকা দিতে না পারলে তোর বউকে দে" এমন কথার প্রতিবাদ করতে গেলে বিকাশ বালা তার উপর জুতা নিয়ে তেড়ে ওঠে।সোমবার সকলে রবিন সরকার টাকার জন্য তাদের বাড়িতে এসে বকাঝকা করে।
দুপুরে যুগল কান্তি বাড়িতে প্রবেশকালে অনুপ বসুকে তার লোকজনসহ নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখে। তখন সে অনুপ বসুকে ঘরে নিয়ে ঘরের বারান্দায় (ঘরের সামনের বারান্দা) বসে টাকার বিষয়ে কথাবার্তা বলে। তারা চলে গেলে তিনি ঘরে ঢুকে পেছনে বারান্দায় আড়ার সাথে তার স্ত্রী হাসিকানকে ওরনা পেচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে এবং চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আছে। আমার স্ত্রীকে ওরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।
চিতলমারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, আজ দুপুরের পর আমাদের একজন প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম ফকির ফোন করে জানান হাসিকনা বিশ্বাস গলায় রশি নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক ছিলেন। তার পাঠদানের আলাদা ক্ষমতা ছিল। তার মৃত্যু নিয়ে কোন কারসাজি থাকলে আমরাও তার বিচার চাই।
চিতলমারী থানার সাব ইনস্পেক্টর নিকুঞ্জ রায় বলেন, হাসিকনা বিশ্বাসের মৃতদেহ সুরতহাল করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
মৃত হাসিকনা বিশ্বাস চিতলমারী উপজেলার চিলুনী গ্রামের খগেন বিশ্বাসের মেয়ে। গত ১৭ বছর আগে বাগেরহাট কাঠিগোমতি গ্রামের জিতেন ডাকুয়ার ছেলে যুগল কান্তি ডাকুয়ার সাথে বিবাহ হয়। চাকুরির সুবাদে তারা চিতলমারী চলে আসে এবং খড়মখালী গ্রামে জমি কিনে নতুন বসতি গড়ে তোলেন।
শেরার করুন.....
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷