Breaking News

নীলফামারীতে ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে জোরপূর্বক ধর্ষন ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত,করণ বিয়ের চেষ্টায়

সনাতন নিউজ২৪.  
নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলাধীন মীরগঞ্জ নিজপাড়ার মৃত হেরম্ভ রায়ের বিধবা মেয়ে জোসনা রানী(২৬)কে ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করায় সুকৌশলে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে লাগাতার ধর্ষন করে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ের চাপ দেন একই উপজেলার মোঃ রহিম ।।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায় বিগত চার বছর পূর্বে দুই সন্তান রেখে অসুখজনিত কারণে মারা যায় জোসনা রানী স্বামী সুবাশ চন্দ্র রায়,সন্তানদের তার শশুর নিজের কাছে রেখে দিয়ে জোসনাকে নিজ বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ায় জোসনা ভাইয়ের কাছে আশ্রয় গ্রহন করে ।জোসনা রানী অল্প বয়সে বিধবা হয়ে বাপের বাড়িতে অবস্তান  করায় স্থানীয় চেয়ারম্যান জীবিকা নির্বাহে তাগিদে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাস্তার মাটিকাটা কাজ কর্মসূচিতে নিয়োগ দেয়।
নিয়োগ পেয়ে অনান্য মহিলার মতো জোসনা রানীকে ইজিবাইক অটোর মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় রাস্তার মাটিকাটা কাজে,অটোতে প্রতিনিয়ত যাওয়ায় আসার সুবাদে এক মাস পূর্বে একই উপজেলার কিসমতপুর হাজীপাড়া মোঃ রহিম সাথে পরিচিত হয় কিন্তুু মোঃ রহিম নিজের ধর্মীয় পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সে হিন্দু বলিয়া পরিচয় দিয়ে তার নাম শ্যামল বলে জোসনা রানীকে জানায়।।
মোঃ রহিমকে শ্যামল বলে জানিয়া প্রতিনিয়ত তার অটোতে যাওয়া আসা করায় মোঃ রহিম প্রেমের প্রস্তাব দিলে জোসনা রানী সন্তানের ভবিষ্যৎতের কথা চিন্তা করে তা বরাবর প্রত্যাখ্যান করে।।
গত ২২ জুলাই জোসনাকে শ্যামল(মোঃ রহিম) জানান তার সন্তানদের শশুর বাড়িতে থেকে ফিরিয়ে আনতে হলে কবিরাজের বাড়িতে যেতে হবে এই মর্মে জোসনাও কবিরাজের বাড়িতে যেতে রাজী হয় এবং রাত ৯টার দিকে কবিরাজের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে শ্যামল (মোঃ রহিম) কবিরাজের বাড়িতে না গিয়ে কিসমতপুর হাজীপাড়া তার বাড়িতে নিয়ে যায় তার বাবা মোঃ আমিনুর রহমান ও মা মোছাঃ রহিমা বেগমের সাথে পরিচয় করিয়া দেয়।
জোসনা রানী তখন জানতে পারেন শ্যামল হিন্দু নয় মুসলিম তার নাম মোঃ রহিম।
কবিরাজের বাড়িতে না গিয়ে কেন তার বাড়িতে নিয়ে এসেছে জোসনা তা জানতে চাইলে মোঃ রহিম জানান তার বাবা মাও কবিরাজের বাড়িতে যাবেন।
পর দিন মোঃ রহিম তার বাবা মা ও জোসনাকে নিয়ে তার নানার বাড়িতে যায় এবং সেখানে জোসনাকে নিজের বৌ বলে পরিচয় দেয়,জোসনা রানী এর প্রতিবাদ করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাকে ধর্মান্তিত হয়ে বিয়ে করার জন্য চাপ দিয়ে দুই দিন ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষন করে।।
ধর্মান্তিত হয়ে কোন মুহুর্ত্তে বিয়ে করার রাজী না হওয়ায় জোসনা রানীকে মোঃ রহিম  ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করিলে কৌশলে জোসনা রানী তার ভাই করুনা কান্তকে মোবাইলে অবগত করে।এবং করুনা কান্ত তার দুলাভাই ও বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ নীলফামারী প্রতিনিধি দিলীপ কুমার রায়কে নিয়ে দ্রুত বুড়িরহাট নীলফামারী গিয়ে জোসনা রানীকে উদ্ধার করে।।
২৬শে জুলাই এই বিষয়ে মোঃ রহিম ও তার বাবা দায়ের বিরুদ্ধে জলঢাকা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলা দায়ের করেন জোসনা রানী।।
এই বিষয়ে জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মামলা হয়ার পর ইতিমধ্যে প্রধান আসামিকে গ্রাপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড মন্জুরের আবেদন করা হয়েছে,বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলচ্ছে।।





শেরার করুন...

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷