শেরপুরের বিশালপুরে রানীরহাট পুকুর পাড়ে বসবাসকারি ১০টি সাঁওতাল পরিবারকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে
শেরপুরের বিশালপুরে রানীরহাট পুকুর পাড়ে বসবাসকারি ১০টি সাঁওতাল পরিবারকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে। শেরপুর উপজেলার দক্ষিন-পশ্চিম সীমান্তের ৬নং বিশালপুর ইউনিয়নের রানীরহাট বাজারের পাশে বেওড়াপাড়া মৌজার একটি পুকুর পাড়ে প্রায় শত বছর যাবত বংশগত বসবাস করছেন সাঁওতাল আদিবাসী সম্প্রদায়।
সাঁওতালদের দাবী তৎকালীন রাজা-জমিদারের আমল থেকে তাদের পূর্ব পুরুষ গণ ওই পুকুর পাড়ে সামান্য কিছু জমিতে ঘরবাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। ওই সকল সাঁওতাল পরিবার গুলো অন্যের জমিতে কৃষিকাজ করে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ করেন।
গত মঙ্গলবার (১০মার্চ) সকাল ৭টায় রানীরহাট বাজারে অবস্থিত একটি হাফেজিয়া কওমী মাদরাসার প্রভাবশালী পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান(৪৪) ও তার ভাই মো.মকবুল হোসেন(৪০) সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬জন সন্ত্রাসী মিলে সাঁওতালদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেয়। এরপর সেখানে তারা জোর পূর্বক ঢেউটিনের দোকানঘর ও বাড়িঘর নির্মান কাজ শুরু করেন। এসময় তাদের অনৈতিক ঘরবাড়ি নির্মান কাজে বাঁধা দিলে ওই সকল চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাঁওতালদের হত্যা সহ খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। সাঁওতাল পরিবারের লোকেরা তখন প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়।
অভিযোগকারী বাসু হাঁসদা (৩৬) তার স্ত্রী শান্তমনি হাঁসদা, (৩৪) বিলাশ সরেন (২৮), কাঞ্চন বালা (৪৮), রাবন হাঁসদা (৪৪), বিবিমিনি হাঁসদা (৩৬), মানু হাঁসদা (৪০) ও মন্টু সরেন (৩০) সহ প্রায় ১০টি পরিবারের লোকজন জীবনের ভয়ে এদিক-সেদিক পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা সেখানে সাঁওতালদের মাটির দেয়ালের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে উচ্ছেদ করেন। এঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে এবং শেরপুর থানায় অভিযোগ দেন সাঁওতালরা। তারা জানায়, মাদরাসার পরিচালক ও তার ভাই ছাড়াও ইতিপূর্বে কচুয়াপাড়া গ্রামের বাবলু,শাহীন, আব্দুল,মিন্টু ও জাকারিয়া মিলে তাদের গ্রামে দিনদুপুরে হামলা করে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছিল। শেরপুর থানার এসআই পুতুল মোহন্ত জানায়, সাঁওতালদের পক্ষ থেকে একাধিক লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র: বজ্রকন্ঠ
সাঁওতালদের দাবী তৎকালীন রাজা-জমিদারের আমল থেকে তাদের পূর্ব পুরুষ গণ ওই পুকুর পাড়ে সামান্য কিছু জমিতে ঘরবাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। ওই সকল সাঁওতাল পরিবার গুলো অন্যের জমিতে কৃষিকাজ করে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ করেন।
গত মঙ্গলবার (১০মার্চ) সকাল ৭টায় রানীরহাট বাজারে অবস্থিত একটি হাফেজিয়া কওমী মাদরাসার প্রভাবশালী পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান(৪৪) ও তার ভাই মো.মকবুল হোসেন(৪০) সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬জন সন্ত্রাসী মিলে সাঁওতালদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেয়। এরপর সেখানে তারা জোর পূর্বক ঢেউটিনের দোকানঘর ও বাড়িঘর নির্মান কাজ শুরু করেন। এসময় তাদের অনৈতিক ঘরবাড়ি নির্মান কাজে বাঁধা দিলে ওই সকল চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাঁওতালদের হত্যা সহ খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। সাঁওতাল পরিবারের লোকেরা তখন প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়।
অভিযোগকারী বাসু হাঁসদা (৩৬) তার স্ত্রী শান্তমনি হাঁসদা, (৩৪) বিলাশ সরেন (২৮), কাঞ্চন বালা (৪৮), রাবন হাঁসদা (৪৪), বিবিমিনি হাঁসদা (৩৬), মানু হাঁসদা (৪০) ও মন্টু সরেন (৩০) সহ প্রায় ১০টি পরিবারের লোকজন জীবনের ভয়ে এদিক-সেদিক পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা সেখানে সাঁওতালদের মাটির দেয়ালের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে উচ্ছেদ করেন। এঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে এবং শেরপুর থানায় অভিযোগ দেন সাঁওতালরা। তারা জানায়, মাদরাসার পরিচালক ও তার ভাই ছাড়াও ইতিপূর্বে কচুয়াপাড়া গ্রামের বাবলু,শাহীন, আব্দুল,মিন্টু ও জাকারিয়া মিলে তাদের গ্রামে দিনদুপুরে হামলা করে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছিল। শেরপুর থানার এসআই পুতুল মোহন্ত জানায়, সাঁওতালদের পক্ষ থেকে একাধিক লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র: বজ্রকন্ঠ
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷