ঝাউডাঙ্গার মেধাবী হিন্দু ছাত্রী পাপিয়া ঘোষ অপহরণের প্রায় এক মাসেও উদ্ধার হয়নিছাত্রী পাপিয়া ঘোষ অপহরণের প্রায় এক মাসেও উদ্ধার হয়নি
বিশেষ সংবাদ.
অপহরণের ২৬দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ প্রশাসন উদ্ধার করতে পারেনি ঝাউডাঙ্গার মেধাবী ছাত্রী পাপিয়া ঘোষকে (২৪)। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বান্ধবীর বাসা থেকে বাড়িতে ফেরার সময় ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার ১০নং সেক্টরের ১৭নং রোডের ২০নং বাড়ি সামনে থেকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা প্রাইভেট কারযোগে তাকে অপহরণ করে। এ ঘটনার পর পাপিয়ার কোন সন্ধান না পেয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভাই স¤্রাট ঘোষ তার মামাতো ভাই সঞ্জয় ঘোষকে সাথে নিয়ে ঢাকা উত্তরা পমিশ্চম থানায় বিষয়টি জানান এবং দুর্বৃত্তদের কবল থেকে বোনকে উদ্ধার করার জন্য একটি মামলা (নং-১৬) দায়ের করেন।
অপহরণের শিকার পাপিয়া ঘোষ ঢাকা বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশান ডিজাইনিং বিভাগের (বিইউএফটি) মাস্টার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ও সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের পরিতোষ কুমার ঘোষ ও মাতা তাপষী রানীর মেয়ে।
মামলার বাদী ভাই স¤্রাট ঘোষ জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে পাপিয়া তার বান্ধবী একই ক্লাসের সিরাজুন মনিরা (২৬) ও অংকিতা সাহা নিপার (২৪) সাথে ক্লাসের এস্যাইমেন্ট নিয়ে কাজ করার জন্য উত্তরা পশ্চিম থানার ১০নং সেক্টরের ১৭নং রোডের ২০নং বাড়িতে (লিফটের-৩) যায়। তিনি বলেন, যাওয়ার সময় পাপিয়ার রুমমেট তামান্নাকে ফিরতে দেরি হবে বলে ফোনে জানিয়ে দেয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাজ শেষে নিজ রুমে ফেরার কথা থাকলেও বাসায় না ফেরার বিষয়টি রুমমেট তামান্নার কাছে জানতে পারেন। এঘটনার পর সম্ভব্য সবস্থানে অনেক খোঁজ করেও তাকে না পেয়ে অবশেষে উত্তরা থানার ১০নং সেক্টরের ১৭নং রোডের বাসিন্দাদের মাধ্যমে জানতে পারেন ৫ ফেব্রুয়ারি বান্ধবীর বাসা থেকে ফেরার জন্য বাসার নীচে অবস্থান করাকালে পাপিয়াকে একটি প্রাইভেট কারযোগে দুর্বৃত্তরা জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। যা উক্ত এলাকার সিসি টিভি ফুটেজে অজ্ঞাত একটি প্রাইভেট কার কিছুসময় অবস্থান করে দ্রুত এলকা ছেড়ে চলে যায়। এঘটনা জানতে পেরে তিনি ও তার মামাতো ভাই সঞ্জয় ঘোষকে সাথে নিয়ে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
সঞ্জয় ঘোষ বলেন, মামলা দায়ের করার পর প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ পাপিয়াকে উদ্ধার বা তার কোন সন্ধান দিতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করে জানান, পুলিশ পাপিয়া ঘোষের সন্ধানে আজ পর্যন্ত কোন কার্যকর ভূমিকাই গ্রহণ করেননি যা তাদের কাছে খুবই উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, অপহরণের পর থেকে পাপিয়ার ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ঢাকা বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশান ডিজাইনিং বিভাগের মাস্টার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী পাপিয়া ঘোষের অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ২৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রগতিশীল সংগঠন সমুহের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। একই সাথে তারা পরবর্তী কর্মসুচী ঘোষনা করে অবিলম্বে পাপিয়া ঘোষকে উদ্ধার করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে জানতে ঢাকা (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন চন্দ্র সাহার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। মনিরুল ইসলাম
অপহরণের ২৬দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ প্রশাসন উদ্ধার করতে পারেনি ঝাউডাঙ্গার মেধাবী ছাত্রী পাপিয়া ঘোষকে (২৪)। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বান্ধবীর বাসা থেকে বাড়িতে ফেরার সময় ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার ১০নং সেক্টরের ১৭নং রোডের ২০নং বাড়ি সামনে থেকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা প্রাইভেট কারযোগে তাকে অপহরণ করে। এ ঘটনার পর পাপিয়ার কোন সন্ধান না পেয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভাই স¤্রাট ঘোষ তার মামাতো ভাই সঞ্জয় ঘোষকে সাথে নিয়ে ঢাকা উত্তরা পমিশ্চম থানায় বিষয়টি জানান এবং দুর্বৃত্তদের কবল থেকে বোনকে উদ্ধার করার জন্য একটি মামলা (নং-১৬) দায়ের করেন।
অপহরণের শিকার পাপিয়া ঘোষ ঢাকা বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশান ডিজাইনিং বিভাগের (বিইউএফটি) মাস্টার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ও সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের পরিতোষ কুমার ঘোষ ও মাতা তাপষী রানীর মেয়ে।
মামলার বাদী ভাই স¤্রাট ঘোষ জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে পাপিয়া তার বান্ধবী একই ক্লাসের সিরাজুন মনিরা (২৬) ও অংকিতা সাহা নিপার (২৪) সাথে ক্লাসের এস্যাইমেন্ট নিয়ে কাজ করার জন্য উত্তরা পশ্চিম থানার ১০নং সেক্টরের ১৭নং রোডের ২০নং বাড়িতে (লিফটের-৩) যায়। তিনি বলেন, যাওয়ার সময় পাপিয়ার রুমমেট তামান্নাকে ফিরতে দেরি হবে বলে ফোনে জানিয়ে দেয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাজ শেষে নিজ রুমে ফেরার কথা থাকলেও বাসায় না ফেরার বিষয়টি রুমমেট তামান্নার কাছে জানতে পারেন। এঘটনার পর সম্ভব্য সবস্থানে অনেক খোঁজ করেও তাকে না পেয়ে অবশেষে উত্তরা থানার ১০নং সেক্টরের ১৭নং রোডের বাসিন্দাদের মাধ্যমে জানতে পারেন ৫ ফেব্রুয়ারি বান্ধবীর বাসা থেকে ফেরার জন্য বাসার নীচে অবস্থান করাকালে পাপিয়াকে একটি প্রাইভেট কারযোগে দুর্বৃত্তরা জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। যা উক্ত এলাকার সিসি টিভি ফুটেজে অজ্ঞাত একটি প্রাইভেট কার কিছুসময় অবস্থান করে দ্রুত এলকা ছেড়ে চলে যায়। এঘটনা জানতে পেরে তিনি ও তার মামাতো ভাই সঞ্জয় ঘোষকে সাথে নিয়ে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
সঞ্জয় ঘোষ বলেন, মামলা দায়ের করার পর প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ পাপিয়াকে উদ্ধার বা তার কোন সন্ধান দিতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করে জানান, পুলিশ পাপিয়া ঘোষের সন্ধানে আজ পর্যন্ত কোন কার্যকর ভূমিকাই গ্রহণ করেননি যা তাদের কাছে খুবই উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, অপহরণের পর থেকে পাপিয়ার ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ঢাকা বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশান ডিজাইনিং বিভাগের মাস্টার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী পাপিয়া ঘোষের অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ২৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রগতিশীল সংগঠন সমুহের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। একই সাথে তারা পরবর্তী কর্মসুচী ঘোষনা করে অবিলম্বে পাপিয়া ঘোষকে উদ্ধার করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে জানতে ঢাকা (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন চন্দ্র সাহার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। মনিরুল ইসলাম
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷