বাংলাদেশের রমনা মন্দিরের কালী বিগ্রহের ছবি দেওয়া হল অমিত শাহকে
কলকাতা: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে রবিবার সভা করতে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও সিএএ’র সমর্থনে এই সভা হলেও শাহের বক্তব্যে বারবার উঠে আসে বাংলা দখলের কথা। রাজনৈতিকমহল মনে করছে, এদিন আদৌতে সিএএ সমর্থনে অমিতের সভা হলেও আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন এই মঞ্চ থেকে। উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শহিদ মিনারের মঞ্চে পৌঁছলে তাঁকে বিশাল মালা এবং ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো। একই সঙ্গে অমিত শাহের হাতে তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশের ঢাকার রমনা কালী মন্দিরের কালী বিগ্রহের ছবি। সেই ছবি দিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বরণ করে নেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, “শরণার্থীদের দুঃখ দুর্দশা জড়িত স্মৃতি রয়েছে এই কালী মন্দিরে। সেই ছবি দিয়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বরণ করে নেওয়া হল।”
প্রসঙ্গত, রমনা কালী মন্দির ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরসমূহের মধ্যে অন্যতম ছিল। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। এটি প্রায় এক হাজার বছরেরও পুরাতন বলে বিশ্বাস করা হয় কিন্তু ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল ।বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রমনা পার্কের (যার বর্তমান নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বহির্ভাগে অবস্থিত।
বর্তমানে বাংলার সংস্কৃতিতে এ মন্দিরের উল্লেখ্য ভূমিকা আছে। জনশ্রুতি রয়েছে প্রায় ৫০০ বছর আগে বদরীনাথের যোশীমঠ থেকে গোপালগিরি নামে এক উচ্চমার্গের সন্ন্যাসী প্রথমে ঢাকায় এসে সাধন-ভজনের জন্য উপযুক্ত একটি আখড়া গড়ে তোলেন। সেখানেই আরও ২০০ বছর পরে মূল রমনা কালীমন্দিরটি নির্মাণ করেন আর এক বড় সাধু হরিচরণ গিরি।
তবে পরবর্তী সময়ে এই মন্দিরের প্রধান সংস্কারকার্য ভাওয়ালের ভক্তিমতী ও দানশীলা রানি বিলাসমণি দেবীর আমলেই হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ ও ২৭ মার্চ। এই দুটো দিন রমনা কালীমন্দিরের পবিত্র ভূমি ঘিরে পাকিস্তানি সেনারা যে বিভীষিকার রাজত্ব তৈরি করেছিল তার করুণ কাহিনি ইতিহাসের পাতায় চিরদিন লেখা থাকবে। এক তীর্থভূমি রাতারাতি পরিণত হয়েছিল বধ্যভূমিতে। রমনা কালীমন্দিরের অধ্যক্ষ স্বামী পরমানন্দ গিরি সহ সেখানে উপস্থিত প্রায় ১০০ জন নারী ও পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল পাক সেনারা। শিশুরাও রেহাই পায়নি।
এই হত্যাকাণ্ডের সময় রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম দাউ দাউ করে জ্বলেছিল। রমনা কালীমন্দিরের চূড়া ছিল ১২০ ফুট, যা বহুদূর থেকে দেখা যেত। সেটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ওই বর্বর সেনারা। ২০০৬ সালে রমনা কালীমন্দির আবার নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়। পুজোর্চ্চনাও শুরু হয়।
সেই মন্দিরের কালি ঠাকুরের একটি মূর্তির ছবি অমিত শাহের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যা অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র..
কলকাতা
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শহিদ মিনারের মঞ্চে পৌঁছলে তাঁকে বিশাল মালা এবং ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো। একই সঙ্গে অমিত শাহের হাতে তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশের ঢাকার রমনা কালী মন্দিরের কালী বিগ্রহের ছবি। সেই ছবি দিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বরণ করে নেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, “শরণার্থীদের দুঃখ দুর্দশা জড়িত স্মৃতি রয়েছে এই কালী মন্দিরে। সেই ছবি দিয়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বরণ করে নেওয়া হল।”
প্রসঙ্গত, রমনা কালী মন্দির ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরসমূহের মধ্যে অন্যতম ছিল। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। এটি প্রায় এক হাজার বছরেরও পুরাতন বলে বিশ্বাস করা হয় কিন্তু ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল ।বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রমনা পার্কের (যার বর্তমান নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বহির্ভাগে অবস্থিত।
বর্তমানে বাংলার সংস্কৃতিতে এ মন্দিরের উল্লেখ্য ভূমিকা আছে। জনশ্রুতি রয়েছে প্রায় ৫০০ বছর আগে বদরীনাথের যোশীমঠ থেকে গোপালগিরি নামে এক উচ্চমার্গের সন্ন্যাসী প্রথমে ঢাকায় এসে সাধন-ভজনের জন্য উপযুক্ত একটি আখড়া গড়ে তোলেন। সেখানেই আরও ২০০ বছর পরে মূল রমনা কালীমন্দিরটি নির্মাণ করেন আর এক বড় সাধু হরিচরণ গিরি।
তবে পরবর্তী সময়ে এই মন্দিরের প্রধান সংস্কারকার্য ভাওয়ালের ভক্তিমতী ও দানশীলা রানি বিলাসমণি দেবীর আমলেই হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ ও ২৭ মার্চ। এই দুটো দিন রমনা কালীমন্দিরের পবিত্র ভূমি ঘিরে পাকিস্তানি সেনারা যে বিভীষিকার রাজত্ব তৈরি করেছিল তার করুণ কাহিনি ইতিহাসের পাতায় চিরদিন লেখা থাকবে। এক তীর্থভূমি রাতারাতি পরিণত হয়েছিল বধ্যভূমিতে। রমনা কালীমন্দিরের অধ্যক্ষ স্বামী পরমানন্দ গিরি সহ সেখানে উপস্থিত প্রায় ১০০ জন নারী ও পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল পাক সেনারা। শিশুরাও রেহাই পায়নি।
এই হত্যাকাণ্ডের সময় রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম দাউ দাউ করে জ্বলেছিল। রমনা কালীমন্দিরের চূড়া ছিল ১২০ ফুট, যা বহুদূর থেকে দেখা যেত। সেটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ওই বর্বর সেনারা। ২০০৬ সালে রমনা কালীমন্দির আবার নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়। পুজোর্চ্চনাও শুরু হয়।
সেই মন্দিরের কালি ঠাকুরের একটি মূর্তির ছবি অমিত শাহের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যা অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র..
কলকাতা
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷