ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নেওয়াজী ডিবির ওসি শাহ কামালসহ রেঞ্জে ১৩ পুলিশ সদস্য পুরস্কৃত
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নেওয়াজী ডিবির ওসি শাহ কামালসহ রেঞ্জে ১৩ পুলিশ সদস্য পুরস্কৃত।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এ নেওয়াজী ও ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দসহ রেঞ্জে ১৩ পুলিশ সদস্য এবং চৌকিদার শ্রেষ্টত্বের পুরস্কার লাভ করেছেন। রেঞ্জ পুলিশের মাসিক সভায় এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের অক্টোবর/২০১৯ মাসের সভায় নানা সফলতা,মাদক, অস্ত্র উদ্ধার, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, কমিউিনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন, নিয়মিত সভাকরণের জন্য এ সব পুরস্কার, নগদ অর্থ, সম্মাননা, সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি এর পুরস্কার প্রদান করেছেন।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, নেত্রকোণা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এ নেওয়াজী, শেরপুরের শ্রীবরদি থানার ওসি রুহুল আমিন তালুকদার, ময়মনসিংহের ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ, ময়মনসিংহের পুলিশ পরিদর্শক ট্রাফিক (সাবেক) কাজী আসাদুজ্জামান, রেঞ্জ অফিসের এসআই হাফিজুর রহমান টিটু, ময়মনসিংহ ডিবির এসআই আক্রাম হোসেন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার এসআই ফরহাদ আলী, রেঞ্জ অফিসের এএসআই মাসুদ রানা, শ্রীবরদি থানার এএসআই নজরুল ইসলাম। এছাড়া কর্মচারী কোঠায় শ্রেষ্ট কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে রেঞ্জ অফিসের আব্দুল মোতালেব, শ্রেষ্ট হিসাব রক্ষক নজরুল ইসলাম ও হারুন অর রশিদ এবং শ্রেষ্ট চৌকিদার হিসাবে জামালপুরের সরিষাবাড়ির ডোবাইল ইউনিয়নের কৌকিদার শ্যামল চন্দ্র রবিদাস পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এস এ নেওয়াজী মামলা তদন্ত, রহস্যজনক ও ক্লুলেস মামলার রহস্য দ্রুততম সময়ে উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার, জেলার ১৪ থানাসহ সকল ফাঁড়ি এলাকায় কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন, জনগণের সাথে পুলিশের সম্পর্ক উন্নয়নে নিয়মিত কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাকরণ, নিয়মিত থানা ও ফাঁড়ি পরিদর্শনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় রেঞ্জ শ্রেষ্ট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছে।
মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারসহ সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশের আলোচিত হত্যাকান্ড ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রীজ মোড় থেকে মাথা, হাত ও পা বিহীন ব্রীফকেস ভর্তি দেহ উদ্ধার মামলার কয়েকদিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন, হত্যাকান্ডে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রহস্য উদঘাটন, পিস্তল, গুলি, পাইপগান ও কার্তুজ উদ্ধার করায় শ্রেষ্ট গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) নির্বাচিত হয়েছেন শাহ কামাল আকন্দ।
ডিবির ওসি জানান, নেত্রকোণার পূর্বধলার হুগলা গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে বকুলকে বালিশ চাপা ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে একটি চক্র। পরে হত্যার আলামত ও লাশের পরিচয় গোপন করার পরিকল্পনা হিসাবে লাশের শরীর থেকে মাথা, হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করে ছয়টি টুকরো। টুকরোগুলো পলিথিন দিয়ে শক্ত করে মুড়িয়ে ট্রলি ব্যাগে (ব্রিফকেছ) ভড়ে। পরে শরীর ভর্তি ট্রলি ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে এবং কুড়িগ্রাম জেলা সদর ও রাজাপুরে পৃথকভাবে হাত, পা ও মাথা নিশ্চিন্তে চলে যায় খুনী চক্র। ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রীজ মোড় থেকে হাত, পা ও মাথা বিহীন বিহীন শরীর উদ্ধারের ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং ১০২, তাং ২৫/১০/১৯ দায়ের হয়। ব্রিফকেছ ভর্তি মাথা, হাত ও পা বিহীন শরীর উদ্ধারের ঘটনার নয়দিনের মাথায় ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ নিহত মোঃ বকুলকে সনাক্তকরণসহ খুনের সাথে জড়িত থাকা চার খুনীকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরো জানান, গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে একটি ব্রিফকেছ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ডিবি, কোতোয়ালীসহ পুলিশের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝিকে সাথে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। ব্রিফকেছটি অনেক ওজন এবং জঙ্গি গোষ্টির মাধ্যমে শক্তিশালী বোমা ফেলে রাখার মত সন্দেহ পোষণ করে পুলিশের উচ্চ পদস্থদের সাথে পরামর্শ করেন। পরদিন সকালে ডিএমপির বোমা নিষ্কিয়করণ দলের সহায়তায় ব্রিফকেছটি খুলে দেখতে পান হাত, পা ও মাথা বিহীন শরীর (বডি) পলিথিন দিয়ে মোড়ানো। ব্রিফকেস ভর্তি খন্ডিত শরীর পাওয়ার ঘটনায় কোতোয়ালী পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশকে ছায়া তদন্ত করতে তাৎনিক নির্দেশ দেন। ডিবি পুলিশ ছায়া তদন্তের নির্দেশ পেয়ে পাটগুদামসহ আশপাশ এলাকার সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেন।
এদিকে পরদিনই ২২ অক্টোবর কুড়িগ্রাম সদর ও রাজাপুর এলাকা থেকে খন্ডিত পা এবং অপর পা, হাত ও মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় কুড়িগ্রাম পুলিশ একটি চিরকুট উদ্ধার করে। পরে ২৫ অক্টোবর কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং ১০২, তাং ২৫/১০/১৯ দায়ের হয়। ডিবি পুলিশ তদন্তভার পেয়ে চিরকুট এবং ডিবি পুলিশের উদ্ধার করা সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে ময়মনসিংহের ডিবি পুলিশ নিহত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করে চারজনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো ফারুক মিয়া, হৃদয় মিয়া, সাবিনা আক্তার ও ভাবী মৌসুমী আক্তার। গ্রেফতারকৃত চারজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকান্ডের দায় স্কিকার করেছেন। ডিবির ওসি শাহ কামাল আরো জানান, এছাড়াও অক্টোবর মাসে একটি ম্যাগাজিন সংযুক্ত পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি এবং একটি পাইপাগন, ১০টি কার্তুজ ও ২০টি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। এ সময় আন্তঃ জেলা ডাকাতদলের এক সদষ্য ডিবির সাথে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হন। অপরদিকে ৫৯৬৫ পিস, ১৯০ গ্রাম হেরোইন, এক কেজি গাঁজা, একটি ট্রাক, চারটি দেশী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া জিডি মূলে ও চোরাই মোবাইল উদ্ধার, ৪৩টি মামলা রুজু, ৫৩টি মামলা নিষ্পত্তি, পাবলিক দরখাস্ত নিষ্পত্তি ১২টি, নিবারণ মূলক গ্রেফতার ৩৫, ভিকটিম উদ্ধার ৪জন, ১০টি ফেইসবুক হেক হওয়া আইডি উদ্ধার, ২৩টি বিকাশ প্রতারক সনাক্তকরণ ও উদ্ধার, ২টি চুরি হওয়া লেপটপ উদ্ধার এবং ৯৬টি সিডিএমএস মামলা দায়ের করা হয়।
শেরপুরের শ্রীবরদি থানায় অক্টোবর মাসে সংগঠিত ডাকাতির ৫ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করে শ্রেষ্ট ওসি নির্বাচিত হয়েছেন শ্রীবরদির রুহুল আমিন তালুকদার। তিনি বলেন, শ্রীবরদি থানার মামলা নং ১৬(১০)১৯ এর ঘটনায় মাত্র ৫ ঘন্টার মধ্যে জড়িত ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের ৪জন আদালতে স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছেন।
অপরদিকে ময়মনসিংহ ডিবির এসআই আক্রাম হোসেন ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে ব্রিফকেস ভর্তি হাত, পা ও মাথাবিহীন শরীর উদ্ধার মামলাটি ছিল স¤পূর্ণ ক্লুলেস একটি মামলা। যা নিয়ে সারাদেশে আলোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং ১০২, তাং ২৫/১০/১৯ দায়ের হয়। ডিবির ওসি সহায়তায় কুড়িগ্রাম থেকে পাওয়া একটি চিরকুট ও পাটগুদাম ব্রীজ মোড় ও আশপাশ এলাকার থেকে সংগ্রহকৃত সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করে চারজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ফারুক মিয়া, হৃদয় মিয়া, সাবিনা আক্তার ও ভাবী মৌসুমী আক্তার। গ্রেফতারকৃত চারজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকান্ডের দায় স্কিকার করেছেন। দ্রুততম সময়ে দেশব্যাপী আলোচিত এ মামলার রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করায় তিনি পুলিশ সুপার ও ডিবির ওসির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
পুরস্কার বিতরণকালে অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি ডঃ আক্কাস উদ্দিন ভ্ঞুা, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত) শাহ আবিদ হোসেন, রেঞ্জ অফিসের পুলিশ সুপার সৈয়দ হারুন অর রশিদ, শেরপুরের পুলিশ সুপার আশরাফুল আজীম, নেত্রকোণার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এ নেওয়াজী ও ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দসহ রেঞ্জে ১৩ পুলিশ সদস্য এবং চৌকিদার শ্রেষ্টত্বের পুরস্কার লাভ করেছেন। রেঞ্জ পুলিশের মাসিক সভায় এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের অক্টোবর/২০১৯ মাসের সভায় নানা সফলতা,মাদক, অস্ত্র উদ্ধার, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, কমিউিনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন, নিয়মিত সভাকরণের জন্য এ সব পুরস্কার, নগদ অর্থ, সম্মাননা, সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি এর পুরস্কার প্রদান করেছেন।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, নেত্রকোণা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এ নেওয়াজী, শেরপুরের শ্রীবরদি থানার ওসি রুহুল আমিন তালুকদার, ময়মনসিংহের ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ, ময়মনসিংহের পুলিশ পরিদর্শক ট্রাফিক (সাবেক) কাজী আসাদুজ্জামান, রেঞ্জ অফিসের এসআই হাফিজুর রহমান টিটু, ময়মনসিংহ ডিবির এসআই আক্রাম হোসেন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার এসআই ফরহাদ আলী, রেঞ্জ অফিসের এএসআই মাসুদ রানা, শ্রীবরদি থানার এএসআই নজরুল ইসলাম। এছাড়া কর্মচারী কোঠায় শ্রেষ্ট কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে রেঞ্জ অফিসের আব্দুল মোতালেব, শ্রেষ্ট হিসাব রক্ষক নজরুল ইসলাম ও হারুন অর রশিদ এবং শ্রেষ্ট চৌকিদার হিসাবে জামালপুরের সরিষাবাড়ির ডোবাইল ইউনিয়নের কৌকিদার শ্যামল চন্দ্র রবিদাস পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এস এ নেওয়াজী মামলা তদন্ত, রহস্যজনক ও ক্লুলেস মামলার রহস্য দ্রুততম সময়ে উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার, জেলার ১৪ থানাসহ সকল ফাঁড়ি এলাকায় কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন, জনগণের সাথে পুলিশের সম্পর্ক উন্নয়নে নিয়মিত কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাকরণ, নিয়মিত থানা ও ফাঁড়ি পরিদর্শনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় রেঞ্জ শ্রেষ্ট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছে।
মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারসহ সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশের আলোচিত হত্যাকান্ড ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রীজ মোড় থেকে মাথা, হাত ও পা বিহীন ব্রীফকেস ভর্তি দেহ উদ্ধার মামলার কয়েকদিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন, হত্যাকান্ডে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রহস্য উদঘাটন, পিস্তল, গুলি, পাইপগান ও কার্তুজ উদ্ধার করায় শ্রেষ্ট গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) নির্বাচিত হয়েছেন শাহ কামাল আকন্দ।
ডিবির ওসি জানান, নেত্রকোণার পূর্বধলার হুগলা গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে বকুলকে বালিশ চাপা ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে একটি চক্র। পরে হত্যার আলামত ও লাশের পরিচয় গোপন করার পরিকল্পনা হিসাবে লাশের শরীর থেকে মাথা, হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করে ছয়টি টুকরো। টুকরোগুলো পলিথিন দিয়ে শক্ত করে মুড়িয়ে ট্রলি ব্যাগে (ব্রিফকেছ) ভড়ে। পরে শরীর ভর্তি ট্রলি ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে এবং কুড়িগ্রাম জেলা সদর ও রাজাপুরে পৃথকভাবে হাত, পা ও মাথা নিশ্চিন্তে চলে যায় খুনী চক্র। ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রীজ মোড় থেকে হাত, পা ও মাথা বিহীন বিহীন শরীর উদ্ধারের ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং ১০২, তাং ২৫/১০/১৯ দায়ের হয়। ব্রিফকেছ ভর্তি মাথা, হাত ও পা বিহীন শরীর উদ্ধারের ঘটনার নয়দিনের মাথায় ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ নিহত মোঃ বকুলকে সনাক্তকরণসহ খুনের সাথে জড়িত থাকা চার খুনীকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরো জানান, গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে একটি ব্রিফকেছ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ডিবি, কোতোয়ালীসহ পুলিশের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝিকে সাথে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। ব্রিফকেছটি অনেক ওজন এবং জঙ্গি গোষ্টির মাধ্যমে শক্তিশালী বোমা ফেলে রাখার মত সন্দেহ পোষণ করে পুলিশের উচ্চ পদস্থদের সাথে পরামর্শ করেন। পরদিন সকালে ডিএমপির বোমা নিষ্কিয়করণ দলের সহায়তায় ব্রিফকেছটি খুলে দেখতে পান হাত, পা ও মাথা বিহীন শরীর (বডি) পলিথিন দিয়ে মোড়ানো। ব্রিফকেস ভর্তি খন্ডিত শরীর পাওয়ার ঘটনায় কোতোয়ালী পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশকে ছায়া তদন্ত করতে তাৎনিক নির্দেশ দেন। ডিবি পুলিশ ছায়া তদন্তের নির্দেশ পেয়ে পাটগুদামসহ আশপাশ এলাকার সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেন।
এদিকে পরদিনই ২২ অক্টোবর কুড়িগ্রাম সদর ও রাজাপুর এলাকা থেকে খন্ডিত পা এবং অপর পা, হাত ও মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় কুড়িগ্রাম পুলিশ একটি চিরকুট উদ্ধার করে। পরে ২৫ অক্টোবর কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং ১০২, তাং ২৫/১০/১৯ দায়ের হয়। ডিবি পুলিশ তদন্তভার পেয়ে চিরকুট এবং ডিবি পুলিশের উদ্ধার করা সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে ময়মনসিংহের ডিবি পুলিশ নিহত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করে চারজনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো ফারুক মিয়া, হৃদয় মিয়া, সাবিনা আক্তার ও ভাবী মৌসুমী আক্তার। গ্রেফতারকৃত চারজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকান্ডের দায় স্কিকার করেছেন। ডিবির ওসি শাহ কামাল আরো জানান, এছাড়াও অক্টোবর মাসে একটি ম্যাগাজিন সংযুক্ত পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি এবং একটি পাইপাগন, ১০টি কার্তুজ ও ২০টি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। এ সময় আন্তঃ জেলা ডাকাতদলের এক সদষ্য ডিবির সাথে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হন। অপরদিকে ৫৯৬৫ পিস, ১৯০ গ্রাম হেরোইন, এক কেজি গাঁজা, একটি ট্রাক, চারটি দেশী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া জিডি মূলে ও চোরাই মোবাইল উদ্ধার, ৪৩টি মামলা রুজু, ৫৩টি মামলা নিষ্পত্তি, পাবলিক দরখাস্ত নিষ্পত্তি ১২টি, নিবারণ মূলক গ্রেফতার ৩৫, ভিকটিম উদ্ধার ৪জন, ১০টি ফেইসবুক হেক হওয়া আইডি উদ্ধার, ২৩টি বিকাশ প্রতারক সনাক্তকরণ ও উদ্ধার, ২টি চুরি হওয়া লেপটপ উদ্ধার এবং ৯৬টি সিডিএমএস মামলা দায়ের করা হয়।
শেরপুরের শ্রীবরদি থানায় অক্টোবর মাসে সংগঠিত ডাকাতির ৫ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করে শ্রেষ্ট ওসি নির্বাচিত হয়েছেন শ্রীবরদির রুহুল আমিন তালুকদার। তিনি বলেন, শ্রীবরদি থানার মামলা নং ১৬(১০)১৯ এর ঘটনায় মাত্র ৫ ঘন্টার মধ্যে জড়িত ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের ৪জন আদালতে স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছেন।
অপরদিকে ময়মনসিংহ ডিবির এসআই আক্রাম হোসেন ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে ব্রিফকেস ভর্তি হাত, পা ও মাথাবিহীন শরীর উদ্ধার মামলাটি ছিল স¤পূর্ণ ক্লুলেস একটি মামলা। যা নিয়ে সারাদেশে আলোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং ১০২, তাং ২৫/১০/১৯ দায়ের হয়। ডিবির ওসি সহায়তায় কুড়িগ্রাম থেকে পাওয়া একটি চিরকুট ও পাটগুদাম ব্রীজ মোড় ও আশপাশ এলাকার থেকে সংগ্রহকৃত সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করে চারজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ফারুক মিয়া, হৃদয় মিয়া, সাবিনা আক্তার ও ভাবী মৌসুমী আক্তার। গ্রেফতারকৃত চারজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকান্ডের দায় স্কিকার করেছেন। দ্রুততম সময়ে দেশব্যাপী আলোচিত এ মামলার রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করায় তিনি পুলিশ সুপার ও ডিবির ওসির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
পুরস্কার বিতরণকালে অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি ডঃ আক্কাস উদ্দিন ভ্ঞুা, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত) শাহ আবিদ হোসেন, রেঞ্জ অফিসের পুলিশ সুপার সৈয়দ হারুন অর রশিদ, শেরপুরের পুলিশ সুপার আশরাফুল আজীম, নেত্রকোণার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷