সিঁদুর একপ্রকার রঞ্জক পদার্থ। এটি হিন্দু ধর্মে বিবাহিতা নারীর প্রতীক।
বিবাহিতা হিন্দু নারীরা তাঁদের কপালে এবং সিঁথিতে এটি ব্যবহার করেন। এটি লাল রঙের একধরনের পাউডার বা চূর্ণ। অতি প্রাচীনকাল থেকে সিঁদুরের ব্যবহার হয়ে আসছে। হিন্দু ধর্মমতে এটি স্বামীর দীর্ঘজীবন বয়ে আনে বলে বিবাহিতা হিন্দু নারীরা সিঁদুর ব্যবহার করেন। এর লাল রং শক্তি ও ভালোবাসার প্রতীক। হিন্দু ধর্মমতে মতে, বিবাহের সর্বশেষ শাস্ত্রীয় রীতি হলো বর (স্বামী) কনের (নববধূ) কপালে সিঁদুর লেপন। বিবাহের সময় কনেকে তাঁর স্বামী প্রথমবারের মতো সিঁদুর পরিয়ে দেন। তার পর থেকে হিন্দু মেয়েরা তাঁর স্বামীর জীবিত থাকা অবধি সিঁদুর পরেন। হিন্দু নারীদের প্রতিদিন স্নান করার পর দিনে অন্তত একবার তাঁর স্বামীকে স্মরণ করে সিঁথিতে সিঁদুর পরতে হয়।
এই যে তাঁরা স্বামীকে ভালোবেসে, তাকে স্মরণ করে প্রতিদিন তাকে সিঁদুর রূপে মাথায় তুলে রাখে, এ বিষয়টিই একটি হিন্দু মেয়ের সংসারকে দীর্ঘস্থায়ী করে বলে হিন্দুরা মনে করেন। বিধবাদের সিঁদুর ব্যবহার শাস্ত্রমতে নিষিদ্ধ।
হিন্দুদের পূজানুষ্ঠানের সময় সিঁদুর ব্যবহৃত হয়। সিঁদুর খেলা পূজাসংশ্লিষ্ট একটি বাঙালি হিন্দু সংস্কার। প্রতিবছর দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর দিন দুর্গা প্রতিমাকে সিঁদুর দিয়ে রাঙিয়ে দেওয়ার পর হিন্দু নারীরা সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন।
সিঁদুর পরার কিছু বৈজ্ঞানিক দিকও রয়েছে। বৈজ্ঞানিক মতে, বিয়ের পর মহিলাদের জীবনে নানা চাপ আসে। সিঁদুরের মধ্যে থাকা পদার্থ মাথা ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই সিঁদুর মন ও শরীর উভয়ের জন্য খুবই কার্যকর।
সিঁদুর মাথার নার্ভের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মহিলারা যেখানে সিঁদুর পরেন, মাথার সেই জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ নার্ভ থাকে। মেডিটেশনেও সাহায্য করে সিঁদুর।

কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷