Breaking News

১১ জন হিন্দু জো বাইডেনের প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।-সোজাসাপ্টা

জো বাইডেনের

 সনাতন নিউজ২৪. <> ঢাকা বাংলাদেশঃ

১১ জন হিন্দু জো বাইডেনের প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।-সোজাসাপ্টা

১১ জন হিন্দু জো বাইডেনের প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। আমেরিকার জনসংখ্যা প্রায় ৩২.৮২ কোটি, যার মধ্যে কেবল অভিবাসীর সংখ্যা সাড়ে চার কোটি। আমেরিকাতে বসবাসরত অভিবাসীদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা দ্বিতীয় বৃহত্তম । আমেরিকার অভিবাসী  ভোটারদের মধ্যে ভারতীয় অভিবাসী ভোটারের সংখ্যা প্রথম।  এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন নির্বাচনের ক্ষেত্রে অভিবাসীদের ভূমিকা সহজেই অনুমান করা যায়।  

ইতিহাসে প্রথমবারের মত ১১ জন হিন্দু আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম একসঙ্গে হোয়াইট হাউজ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ঠাঁই পেতে যাচ্ছেন ২৫ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ।

যার মধ্যে ১১ জন গুরুত্বপূর্ণপদে দায়িত্ব পালন করবেন। যারা নবনির্বাচিত ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে থাকছেন তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য নীরা ট্যান্ডেন, যিনি হোয়াইট হাউজ অফিস অব ম্যানেজমেন্ট এর পরিচালক হিসেবে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বাজেট দেখভাল করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল হিসেবে বাইডেন বেছে নিয়েছেন ড. বিবেক মূর্তিকে। সহযোগী অ্যাটর্নি জেনারেল হচ্ছেন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ল’র বানিতা গুপ্ত।

হোয়াইট হাউজের অফিস অব ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজিতে স্থান পেয়েছেন আইশা শাহ। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উপ পরিচালক করা হয়েছে গৌতম রাঘবকে। ন্যাশনাল ইকোনোমিক কাউন্সিলের উপ পরিচালক করা হয়েছে ভারত রামামূর্তিকে। স্পিচরাইটিং বিভাগের পরিচালক হচ্ছেন বিনয় রেড্ডি।

প্রযুক্তি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে শপথ নেবেন তরুণ ছাবরা। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে দক্ষিণ এশিয়ায় বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সুমনা গুহ। 

সহকারী প্রেস সচিব হচ্ছেন  বেদান্ত প্যাটেল। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়ক করা হয়েছে শান্থি কালাথিকে। এছাড়াও উপ প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সারবিনা সিং নামে একজন শিখ ধর্মের অনুসারী। হোয়াইট হাউসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য যারা নির্বাচিত হয়েছেন সকলকেই জানাই শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। 

২০০০ সালে আমেরিকাতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৭৮ হাজার। এটি ২০১২ সালে বেড়েছে এবং তা বেড়ে ড়িয়েছিল ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯১ জন। এই সময় নিউইয়র্ক, উত্তর নিউ জার্সি, লন্ড আয়ারল্যান্ড মেট্রো অঞ্চলে ভারতীয়দের সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ১৩৩। 

 

এর পর থেকে  নিউ ইয়র্ক, উত্তর নিউ জার্সি, লন্ড আইল্যান্ড মেট্রো অঞ্চলে ভারতীয়দের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। 2017 সালে, এই জনসংখ্যা বেড়ে প্রায় 44 লক্ষ 2 হাজার 363 পৌঁছেছে।

আমেরিকার ভারতীয় ভোটাররা

আমেরিকায় ভারতীয়দের সংখ্যা প্রায় ৪৪ লক্ষ। সর্বাধিক রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে টেক্সাস, ফ্লোরিডা, ওহিও এবং কলোরাডো। গত সরকারে যুক্তরাষ্ট্রে ৫ জন ভারতীয়-আমেরিকান সংসদ সদস্য ছিল । 

টেক্সাস আমেরিকার দ্বিতীয় রাজ্য, যা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। এই রাজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার এশীয় বংশোদ্ভূত, যার মধ্যে একটি বিশাল সংখ্যক ভারতীয় ভোটার। 

 

টেক্সাসে, এমপি এবং গভর্নর উভয়ই পাবলিকান পার্টি থেকে। তবে এই রাজ্যটিকে ডেমোক্র্যাটদের দুর্গ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। 2016 সালে, ট্রাম্প এই রাজ্যে পিছিয়ে ছিলেন, তবে অন্যান্য রাজ্যে আরও ভাল অবস্থার কারণে তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার দিকে অগ্রসর হন।

আমেরিকার ভারতীয় ভোটার সংখ্যা 25 লক্ষ এর মধ্যে নিউ জার্সিতে ভারতীয় জনসংখ্যার সর্বাধিক ভোট শতাংশ রয়েছে। ২০১২ সালে প্রায় তিন লাখ ভারতীয় ভোটার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, টেক্সাসে প্রায় 2 লাখ 28 হাজার ভোটার রয়েছে। ভার্জিনিয়ায় ১ লক্ষেরও বেশি ভোটার রয়েছে, পেনসিলভেনিয়ায় ১ লক্ষেরও বেশি, জর্জিয়ায় প্রায় ৯৯ হাজার ভারতীয় ভোটার বাস করেন, আর মেরিল্যান্ডে ৭৯ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ভোটার রয়েছেন।

 

এশীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ের 1100 এরও বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বিডেন এবং কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় আমেরিকান নির্বাচিত কর্মকর্তা, শিল্পী, ব্যবসায় এবং সম্প্রদায়ের নেতারা। 

এই নির্বাচনে ভারতীয়-আমেরিকানদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভারতীয়-আমেরিকান ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা মার্কিন রাষ্ট্রপতির নির্বাচনে জো বিডেনকে ভোট দিয়েছিলেন।

 

ভোটারদের দৃষ্টিকোণ থেকে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক এখন অগ্রাধিকারে এবং অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য সর্বোচ্চ। ৪৯ শতাংশ আমেরিকার ভারতীয় মনে যে কমলা হ্যারিসের প্রার্থিতার কারণে তারা বিডেনের প্রার্থিতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত, আর ১৫ শতাংশই এ নিয়ে তেমন উত্সাহী ছিলেন না। হ্যারিসের মা এবং বাবাভারতীয় বংশোদ্ভূত, উভয় জামাইকান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে এসেছিলেন।


শেরার করুণ.... 

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷