মন্দিরে ভাঙচুর, মামলায় পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির।
সনাতন নিউজ২৪. <> ঢাকা বাংলাদেশ
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের করক জেলায় হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি গুলজ়ার আহমেদ। ৫ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি। বিচারপতি আহমেদ সংখ্যালঘু অধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশ, প্রধান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যসচিবকে এ বিষয়ে ৪ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার করক জেলার টেরি গ্রামে প্রায় ১৫০০ উন্মত্ত জনতা শ্রী পরমহংসজি মহারাজের সমাধি এবং কৃষ্ণদ্বার মন্দিরে হামলা চালায়। হামলাকারীদের একাংশের দাবি, মন্দির কর্তৃপক্ষ মন্দির সংলগ্ন জমির কিছুটা দখল করে রেখেছিল। সেই নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে হিন্দুদের আইনজীবী রোহিত কুমার জানিয়েছেন, মন্দির কর্তৃপক্ষ মোটেও জমি জবরদখল করেননি।
পাকিস্তানের হিন্দু কাউন্সিলের প্যাট্রন ইন চিফ রমেশ কুমারের সঙ্গে করাচিতে প্রধান বিচারপতির বৈঠকের পরে শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। রমেশ জানিয়েছেন, বিচারবিভাগের উপরে তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। বিচারপতি আহমেদের হস্তক্ষেপের পরেই তৎপর হয় পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পাকিস্তানের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী নুরুল হক কাদরি জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশেই পরিকল্পনামাফিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার টুইটে কাদরি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা সুরক্ষিত করা ধর্মীয়, সাংবিধানিক, নৈতিক এবং জাতীয় দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই ইসলামাবাদে নতুন মন্দির নির্মাণের জন্য পাক সরকারের তরফে জমি দেওয়া হয়েছে
বুধবারের এই হামলার পরে করাচির রাস্তায় মিছিল করেন বহু হিন্দু ধর্মাবলম্বী। মিছিল থেকে দাবি তোলা হয়, টেরি গ্রামের মন্দিরটি পুনর্নির্মাণের।
১৯১৯ সালে নির্মিত এই মন্দিরটিতে এর আগে ১৯৯৭ সালেও হামলা চালানো হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পরে ২০১৫ সালে মন্দিরের পুনর্নির্মাণ করা হয়। সেই সময়েও জমি নিয়ে একপ্রস্ত ঝামেলা হয়েছিল হিন্দুদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷