Breaking News

পাকিস্থানে নারী অপহরন,ধর্মান্তর,হত্যার ও মন্দির ভাংচুরের প্রতিবাদে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন

সনাতন নিউজ২৪.  <> ঢাকা বাংলাদেশ 



 গোবিন্দ প্রামাণিকঃ পাকিস্থানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের কারাক জেলায় শ্রী পরমহংসজী মহারাজ এর ঐতিহ্যবাহী মন্দির ও মন্দির সংলগ্ন ২০টি হিন্দু বাড়ীতে প্রায় ১২০০ সন্ত্রাসীর হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়া, নারী অপহরন, জোর পূর্বক ধর্মান্তর, হত্যা লুন্ঠন ও দেশত্যাগে বাধ্যকরনের প্রতিবাদে ও সকল অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

আজ ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় হিন্দু মহাজোটের সিনিয়র সহসভাপতি প্রদীপ কুমার পাল এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অ্যাডঃ গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, যুগ্ম মহাসচিব সুজন দে, অ্যাডঃ লাকি বাছাড়, নকুল মন্ডল, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ সরল কুমার রায়, হিন্দু মহিলা মহাজোটের সহ সভাপতি কাকলী নাগ, সাধারণ সম্পাদক মুক্তা বিশ্বাস, লক্ষী রাণী, অঞ্জনা চক্রবর্তী, ঢাকা মহানগর ঢাকা দক্ষিনের সভাপতি ডিকে সমির, নির্বাহী সভাপতি অখিল বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ, সহসভাপতি আদিনাথ সরকার, হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সাজেন কৃষ্ণ বল প্রমূখ।

বক্তাগণ বলেন জন্ম লগ্নে পাকিস্থানে হিন্দু ছিল ২৩%। জোড় করে ধর্মান্তর, জমি দখল, ভাংচুর, কিশোরীর অপহরণ সহ নানা নির্যাতনে নিপিড়নে এখন হিন্দু মাত্র ২%। শুধু সিন্ধু প্রদেশেই প্রতিবছর ১ হাজার হিন্দু নারীকে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। প্রতিমাসে গড়ে ২০ জন নারী জোড় পূর্বক অপহরন ও ধর্মান্তরের শিকার হন। স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার থেকে হিন্দুরা বঞ্চিত। প্রকাশ্যে হিন্দু ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা মসকরা তামাসা করায় হিন্দুরা মানষিকভাবে অসহায় বোধ করে। হিন্দুরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য তো পায়ই না উপরন্তু প্রতি পদে পদে হয়রানীর শিকার হচ্ছে হিন্দুরা। হিন্দু ব্যাবসায়ীদের অপহরন করে মুক্তিপন আদায় চলছে হরহামেশা। এ ছাড়াও চলে শরিয়তি আইনের নামে নির্যাতন। ফলে প্রতিনিয়ত দেশ ছাড়ছে হিন্দুরা।

বক্তারা বলেন, অবস্থা কতটা ভয়াবহ তা আঁচ করা যায় রাঙ্কেল কুমারী সুপ্রীম কোর্টে অপহরণ, ধর্মান্তর ও জোড় পূর্বক বিবাহের ঘটনা বর্ণনা করার সময় সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গনেই রাঙ্কেলকুমারীর দাদুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার হুমকী দেওয়া হয় তার পুরা পরিবারকে। পিতা মাতা ও ভাইকে রক্ষা করতে সে পুনরায় কোর্টে গিয়ে বলতে বাধ্য হয় সে ইসলাম গ্রহণ ও মুসলিম যুবকে বিবাহ করবে।

তারা বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হলেও পাকিস্থানে সকল ধর্মের মানুষ ধর্মাচরনের সমান অধিকার পাবেন এমন প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বাস্তবে সে প্রতিশ্রুতি পাকিস্থান রাখেনি। উল্টো তা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পদে পদে। যদিও এই মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় পাকিস্থানের প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদের ভুমিকা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই।

বক্তাগণ অবিলম্বে পাকিস্থান সরকারকে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিপিড়ন বন্ধ করার আহ্বান জানায়। এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি বিধানের আহ্বান জানায়। অন্যথায় মানবিক গুনসম্পন্ন মানুষদের সাথে নিয়ে দেশে পাকিস্থানী পন্য বয়কট ডাক দেওয়া হবে এবং পাকিস্থানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে ও আর্ন্তজাতিক বিচারালয়ে পিটিশন দাখিল করা হবে।

1 টি মন্তব্য:

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷