Breaking News

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের(ভি,এইচ,পি)তিন দফা হিন্দু সুরক্ষা আইন ও পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি

 সনাতন নিউজ২৪. <> ঢাকা বাংলাদেশঃ-

 ধর্মঅবমাননার কথিত দায়ে’ ছয়জন হিন্দু ছাত্রের ছাত্রত্ব  বাতিল করা করা হয়েছে। তারা হলেন- নােয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসডিএম ও ফার্মেসি বিভাগের প্রান্তিক মজুমদার ও দিপ্ত পাল, যশাের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্র মিথুন মন্ডল, ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্রী তিথি সরকার, পার্বতীপুর আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী দীপ্তি রানী রবিদাশ, ফেনীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মিথুন দে। এর মধ্যে মিথুন মন্ডল, দীপ্তি রবিদাশ, মিথুন দে গ্রেফতার হয়েছে। অন্যদিকে তিথী সরকার গত ২৮ অক্টোবর থেকে ‘নিখোঁজ’।

মিথ্যা ধর্ম অবমাননার দায়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার’ ব্যক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং ‘সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযােগকারী’ আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মন্ডল।

এসময় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত প্রফেসর ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সহদেব চন্দ্র বৈদ্য, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত নাথ জুয়েল, কোষাধ্যক্ষ সাধন চন্দ্র দাশ, অফিস সম্পাদক বাদল কৃষ্ণ সাহা, সুবির কান্তি সাহা, শূক্লা রায়, উজ্জ্বল জয়ধর শ্রাবণ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তিন দাবি তুলে ধরে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাবু কপিল কৃষ্ণ জানান, ফেসবুকে প্রচারকৃত ‘মিথ্যা ধর্ম অবমাননার’ দায়ে সকল ‘মিথ্যা মামলা’য় গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং হামলা ও অগ্নিসংযােগকারী আসামিদের গ্রেফতার করতে হবে। নির্যাতিত সকল পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযােগে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পুনর্নির্মাণ করতে হবে এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।

তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামীতে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কর্তৃক আয়ােজিত গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশের সঙ্গে একাত্মতা ঘােষণা করা হয়। ইতিমধ্যে ১৩ নভেম্বর ৩০টিরও বেশি দেশে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷