Breaking News

হাসিনা সরকার হিন্দু নির্যাতনে পদক্ষেপ না নেয়ায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, গোবিন্দ প্রামাণিক

 সনাতন নিউজ২৪. <> ঢাকা বাংলাদেশ   হাসিনা সরকার হিন্দু নির্যাতনে পদক্ষেপ না নেয়ায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ প্রামাণিক,


বজরং দলের কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচী নিয়ে জানতে নয়া দিল্লিকে কূটনৈতিক চিঠি দেবে ঢাকা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশপুতুল পোড়ানো এবং বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানো নিয়ে প্রতিবাদ কূটনৈতিক পথে প্রতিবাদ জানাবে বাংলাদেশ।

ঢাকার বিদেশ মন্ত্রকের একাধিক সূত্রে এ কথা জানায়। আর বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, ‘আমাদের ডেপুটি হাইকমিশন ঘেরাওয়ের যে কর্মসূচী হয়েছে সেটি জানতে চেয়ে দিল্লির বিদেশ মন্ত্রকে কূটনীতিক পত্র পাঠানো হবে।’

এ হামলা সম্পর্কে কলকাতা উপ হাইমিশনের কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান বি এম জামাল হোসেন বলেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচী দিয়েছিল। কয়েশ নেতাকর্মী জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। আমরা বিষয়টি বিদেশ মন্ত্রককে অবহিত করেছি।

হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে বজরং দলের এই কর্মসূচী সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ প্রামাণিক যুগশঙ্খকে জানান, ‘বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকার যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে বাংলাদেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। ’


তিনি বলেন, ‘কুমিল্লার মুরাদনগর এত বড় ঘটনা ঘটার পরও সরকার বিষয়টি অস্বীকার করার কারণে জল ঘোলা হচ্ছে। সরকারের প্রয়োজন ছিলো যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। কয়েক শত আসামির মধ্যে মাত্র কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। ভিকটিমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। তাদের প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পদ নষ্টর ও খোয়া গেছে। সেসব এখনও উদ্ধার হয় নাই। একই সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৭ জন ছাত্রকে ধর্ম অবমাননার দায়ে বহিস্কার করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিথি সরকারকে পুলিশ ডেকে নেওয়ার পর থেকে এখনো নিখোঁজ। সে কারণে আজ ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার যদি এখনো যথাযথ ব্যবস্থা না গ্রহন করে তাহলে এই বিক্ষোভ বাড়বে।


তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে অতীতে ভারতের কোন সংগঠন সমবেদনা বা প্রতিবাদ করেনি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল, হিন্দু সংহতিসহ অন্যান্য সংগঠন বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন, পুলিশের লাঠিচার্জে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন সেজন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’




শেরার করুণ...   

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷