Breaking News

নালিতাবাড়ীতে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ইউপি সদস্যর হাতে লাশ হলেন দোকানি।

 সনাতন নিউজ২৪. <> ঢাকা বাংলাদেশঃ-শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের হামলায় আহত এক দোকানি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলাটি আজ রোববার হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়েছে।

নিহত ওই দোকানির নাম মো. সুজন মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার কেরেঙ্গাপাড়া গ্রামের আসকর আলীর ছেলে।

পুলিশ, নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল জলিল প্রায় দুই বছর আগে শারীরিক প্রতিবন্ধী আবদুল হালিমকে ভাতার কার্ড দিতে চার হাজার টাকা নেন। এরপর কয়েক দফায় প্রতিবন্ধী ভাতা তোলেন হালিম। কিন্তু স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কোনোটিই না থাকায় হালিমের অনলাইন নিবন্ধনে জটিলতা হয়। এর ফলে তাঁর প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা বন্ধ হয়ে যায়। ইউপি সদস্য ভাতার টাকা তুলতে হালিমকে সাহায্য করার নামে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। হালিম তাঁকে চার হাজার টাকা দেন। বিষয়টি এলাকার অন্যদের মতো সুজনও জানতেন।


প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ১০ নভেম্বর ওই এলাকার বাসিন্দা সুজন মিয়ার দোকানে বসেছিলেন ইউপি সদস্য আবদুল জলিল। একজন প্রতিবন্ধীর প্রতি জলিলের এমন আচরণের প্রতিবাদ জানান সুজন। এতে ক্ষিপ্ত হন জলিল। তিনি ভাইসহ স্বজনদের নিয়ে সুজনের ওপর হামলা করেন। এ সময় সুজনকে রক্ষা করতে গিয়ে তাঁর মা ফরিদা ইয়াসমিন, ছোট ভাই গ্রাম পুলিশ সুমন মিয়া, সুমনের স্ত্রী উর্মি বেগম, ছোট ভাই রাজু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। সুজনের দোকানটিও ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহত সুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে নেওয়া হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওই রাতেই সুজনকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


১৪ নভেম্বর সুজনের ছোট ভাই সুমন মিয়া বাদী হয়ে ইউপি সদস্য আবদুল জলিলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার সুজন বাড়িতে ফেরেন। পরের দিন তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।


সুজনকে হত্যাচেষ্টার মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। মামলার পর থেকেই ইউপি সদস্যসহ স্বজনেরা পলাতক। নিহত সুজনের ছোট ভাই সুমন বলেন, ‘আমার ভাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে জীবন হারাল। আমরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সঠিক বিচার দাবি করছি।’


জানতে চাইলে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বলেন, এই মামলায় গ্রেপ্তার তিনজন কারাগারে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যসহ বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত। 


শেরার করুণ.....

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷