Breaking News

[সাতক্ষীরায় দুইটি মন্দির ভাঙচুর-বাড়িতে হামলায় আ.লীগ নেতা বহিষ্কার


 সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ফুলতলা গ্রামে দুইটি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর ও বাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বহিষ্কৃত আকবর পাড় উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ইউপি সদস্য আকবর উত্তর কদমতলা গ্রামের আজাদ আলী পাড়ের ছেলে।

এদিকে, কালিগঞ্জ সার্কেলের এএসপি মোহাইমিনুর রহমান জানান, এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানাননি তিনি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে মুন্সিগঞ্জের ফুলতলায় মন্দিরে ও বাড়িতে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি হিন্দু পরিবারের বসতঘরসহ শীতল মন্দির ও রাশ মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে। হামলার ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হয়।

স্থানীয়  ইউপি সদস্য আকবর পাড় এবং শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের ইউনিয়ন সভাপতি পল্লব কুমার বহিরাগতদের নিয়ে হামলার নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় আহত সুভাষ বাউলিয়ার করা মামলায় সরকার দলীয় এ দুই নেতাকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া দশজনের নাম উল্লেখ করে ৯০ জন অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে আসামি করা হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “গত ১৩ এপ্রিল রাতে আপনার নেতৃত্বে মুন্সিগঞ্জ উত্তর কদমতলা পল্লীর হিন্দু সম্প্রদায়ের শীতল মায়ের মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরসহ সুভাষ চন্দ্র বাউলিয়া, নগেন্দ্র নাথ বাউলিয়া বসতঘর ভাংচুর, শিশু ও নারী-পুরুষদের উপর জঘন্য হামলা করে অন্তত আটজনকে আহত করার ঘটনায় আপনি প্রাথমিকভাবে দোষী প্রতীয়মান হয়েছেন। সংগঠন বিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের জন্য আপনাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হল।

এদিকে, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি পল্লব কুমার প্রসঙ্গে এ সংগঠনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি বলেন, “পল্লব সংগঠনের সাথে জড়িত কি-না জানা নেই। থাকলে অবশ্যই তার বিরদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷