[গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলায় রবিবার দুপুরে হঠাৎ ওঠা ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার পাঁচ উপজেলায় মোট ১২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাত পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেলেও সোমবার আরও দুই নারীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী জেলার সাত উপজেলার মধ্যে ছয় উপজেলায় মোট ৮৬৯ হেক্টর আবাদি জমি ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানায়, ঝড়ে জেলার সাত উপজেলার ৪ হাজার ৩২৬টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১৫ হাজার ৮৬০। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে ও তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবার ১০ ঘণ্টা পর শহরাঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক করা হলেও গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।
হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ঝড়ে গাছ চাপায় আহত শারমিন বেগম (২০) রবিবার মধ্যরাতে পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শারমিন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের নাজমুল হোসেনের স্ত্রী। অন্যদিকে জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী জানান, গাইবান্ধা সদরের মোল্লারচর ইউনিয়নের চিথুলিয়াদিগর গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী বাতাসী বেগম (৩২) ঝড়ে আহত হয়ে মারা গেছেন।
জেলা সদরে ঝড়ে ৫ জন, পলাশবাড়ি উপজেলায় ৩ জন, ফুলছড়ি উপজেলায় ২ জন, সুন্দরগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১ জন করে ঝড়ে নিহত হয়েছেন।
এদিকে গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, পলাশবাড়ি, সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ ও সাদুল্যাপুর উপজেলার ৮৬৯ হেক্টর আবাদী জমিতে ঝড়ের তাণ্ডব বয়ে ক্ষতি সাধণ করেছে। এরমধ্যে ভুট্টা ৮৩০ হেক্টর, বোরো ২০ হেক্টর, কলা ১৬ হেক্টর ও সূর্যমুখী ৩ হেক্টর। তবে এরমধ্যে ফসলের কতটা ক্ষতি হয়েছে তার আর্থিক মূল্য এখনো নিরুপণ করা যায়নি। অন্যদিকে জেলা ত্রাণ অফিসে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ঝড়ে ৪ হাজার ৩২৬টি ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তবে বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য জরিপ কাজ চলছে। দুই একদিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাওয়া যাবে। সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের নবনির্মিত ঘরের কয়েকটির চাল উড়ে যাওয়া ও পিলার ভেঙে পড়ায় আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন আশ্রিতরা।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷