রংপুর কুড়িগ্রাম জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর নারী পুরুষসহ আহত ১০
সনাতন নিউজ২৪.
রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার অন্তর্গত নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন দুই পক্ষ হিন্দুদের মধ্যে সিমানা নির্ধারণ নিয়ে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক দল মুসলমান সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে এসে হামলা ও ভাঙচুর সহ নারী ও পুরুষসহ আহত করেছে । কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়ে লালমনিরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন – প্রবাবশালিরা হাসপাতাল থেকে ও বিদায় করে দিয়েছে আহতদের । বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ঘটনাটি তদন্ত করছেন ।
আহত ১০ জনের মধ্যে এক পক্ষের হিন্দু নারী ও শিশুসহ পাঁচজনকে চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছিল ।ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার ১৩।০৫।২০২০ দুপুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কুরুষাফেরুষা গ্রামে .
এই ব্যাপারে হারাধন বর্মণের ছেলে প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মণ (01763097047) বাদী হয়ে ফুলবাড়ি থানায় ৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন – মামলা নং ০৫ তারিখ ০৪।০৫।২০ ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩০৭/৫০৬ পেনাল কোড ।
যারা আক্রমণ করেছেন তারা হলো ১) আতাউর রহমান (৪০), ২) মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৮), ৩) মোঃ রবিউল ইসলাম (২৫), ৪) মোঃ রাশেদুল ইসলাম( (২২ ৫))মোঃ রুবেল ইসলাম (১৮),৬) মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবং অন্যান্যরা;
আহতরা হলেনঃ বোমভোলা চন্দ্র (৪৫) তাঁর ছেলে সুজন চন্দ্র (১৮), রত্না রানী(৩৭), মিলন চন্দ্র (১৪), তুষার চন্দ্র (১০), সুরেশ চন্দ্র (২৭) ও বীরেন্দ্রনাথ (৫৭)
আমি অ্যাডঃ রবীন্দ্র ঘোষ -বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের পক্ষে কথা বলেছি ফুলবাড়ি থানার ইন্সপেক্ঠর (তদন্ত) নবিউল হাসান (০১৭১৩৩৭৩৯২৬) , তিনি আমাকে বলেছেন ” বিগত এক মাস আগে উপজেলার কুরুষাফেরুষা গ্রামের মৃত সুরেন চন্দ্র রায়ের ছেলে বিপুল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে তার আপন ভাতিজা নিখিল চন্দ্র রায়ের জমির সীমানাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়! ওই ঘটনায় ভাতিজা নিখিল চন্দ্র রায় আহত হয়। ওই ঘটনার সালিশিকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বোমভোলার ছেলে সুজন চন্দ্র রায়ের সাথে মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান আতার সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং দুজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় ।
এই ঘটনার সুত্র ধরে বুধবার (১৩ মে) দুপুরে দুজনের মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটি হয় এবং উত্তেজনা দেখা দেয় এবং এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে! এতে দুই পক্ষের নারী ও শিশুসহ ১০ জন আহত হয়। এখানে আহত ১০ জনের ভিতর ৭ জন হিন্দু ও ৩ জন মুসলমান। তবে তারা ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল হিন্দু বাড়িতে এসে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন আমি মামলা রেকড করেছি – কিন্তু আমার দারগা সিদ্দিকুর রহামান এখনো আসামী গ্রেফতার করতে পারে নাই ” । এই মামলার দারোগা সিদ্দিকুর রহমান (০১৭১০৯৬৮৪২৫) তদন্ত করছেন – তিনি আমাকে বলেছেন ” আসামী ধরার চেষ্টা হচ্ছে”
এলাকার চেয়ারম্যান মোসসাবির আলি (মোসা) জিজ্ঞেশ করলে তিনি বি ,ডি ,এম , ডাবলু কে বলেন (মোঃ ০১৭১৬৩৯০৫০৭) ” আমি নিষেধ করার পরেও আতাউর রহমান আতা ও তার দলবল নিয়ে হিন্দু বাড়িতে এসে হামলা চালিয়েছে” যদিও অন্য পক্ষের হিন্দুরা তাদেরকে আক্রমনের জন্য ভাড়া করেছিল , এই ধরনের হামলাকে আমি সমর্থন করি না”
এই বাহিনী এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী (আওয়ামী পরিবার) তাই সংখ্যালঘু খবর পেয়ে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বন্ধন ও ফুলবাড়ী থানার এ এস আই মোয়াজ্জেম হোসেন গুরুতর আহত নারী শিশুসহ হিন্দু পরিবারের পাঁচ জনকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এবং উভয় পক্ষের স্বজনদের মাঝে উত্তেজনা পরিস্থিতি শান্ত করেন। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে! এস , পি , মহিবুল ইসলাম আমাকে জানালেন তিনি এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক মনে করে না ।
এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) রবিউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বি , ডি , এম , ডাবলু কে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে ,পুলিশের একজনও আহত হয়েছেন ।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ (বি , ডি , এম , ডাবলু) এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।
জাতিসংঘ ঘোষিত জাতীয় বা জাতিগত, ধর্মীয় এবং ভাষাগত সংখ্যালঘু সম্পর্কিত ব্যক্তিদের অধিকার সম্পর্কিত ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯২ এর ৪৭/১৩৫ জেনারেল ঘোষণা সরকার মানতে বাধ্য।
রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার অন্তর্গত নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন দুই পক্ষ হিন্দুদের মধ্যে সিমানা নির্ধারণ নিয়ে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক দল মুসলমান সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে এসে হামলা ও ভাঙচুর সহ নারী ও পুরুষসহ আহত করেছে । কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়ে লালমনিরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন – প্রবাবশালিরা হাসপাতাল থেকে ও বিদায় করে দিয়েছে আহতদের । বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ঘটনাটি তদন্ত করছেন ।
আহত ১০ জনের মধ্যে এক পক্ষের হিন্দু নারী ও শিশুসহ পাঁচজনকে চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছিল ।ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার ১৩।০৫।২০২০ দুপুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কুরুষাফেরুষা গ্রামে .
এই ব্যাপারে হারাধন বর্মণের ছেলে প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মণ (01763097047) বাদী হয়ে ফুলবাড়ি থানায় ৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন – মামলা নং ০৫ তারিখ ০৪।০৫।২০ ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩০৭/৫০৬ পেনাল কোড ।
যারা আক্রমণ করেছেন তারা হলো ১) আতাউর রহমান (৪০), ২) মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৮), ৩) মোঃ রবিউল ইসলাম (২৫), ৪) মোঃ রাশেদুল ইসলাম( (২২ ৫))মোঃ রুবেল ইসলাম (১৮),৬) মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবং অন্যান্যরা;
আহতরা হলেনঃ বোমভোলা চন্দ্র (৪৫) তাঁর ছেলে সুজন চন্দ্র (১৮), রত্না রানী(৩৭), মিলন চন্দ্র (১৪), তুষার চন্দ্র (১০), সুরেশ চন্দ্র (২৭) ও বীরেন্দ্রনাথ (৫৭)
আমি অ্যাডঃ রবীন্দ্র ঘোষ -বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের পক্ষে কথা বলেছি ফুলবাড়ি থানার ইন্সপেক্ঠর (তদন্ত) নবিউল হাসান (০১৭১৩৩৭৩৯২৬) , তিনি আমাকে বলেছেন ” বিগত এক মাস আগে উপজেলার কুরুষাফেরুষা গ্রামের মৃত সুরেন চন্দ্র রায়ের ছেলে বিপুল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে তার আপন ভাতিজা নিখিল চন্দ্র রায়ের জমির সীমানাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়! ওই ঘটনায় ভাতিজা নিখিল চন্দ্র রায় আহত হয়। ওই ঘটনার সালিশিকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বোমভোলার ছেলে সুজন চন্দ্র রায়ের সাথে মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান আতার সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং দুজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় ।
এই ঘটনার সুত্র ধরে বুধবার (১৩ মে) দুপুরে দুজনের মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটি হয় এবং উত্তেজনা দেখা দেয় এবং এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে! এতে দুই পক্ষের নারী ও শিশুসহ ১০ জন আহত হয়। এখানে আহত ১০ জনের ভিতর ৭ জন হিন্দু ও ৩ জন মুসলমান। তবে তারা ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল হিন্দু বাড়িতে এসে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন আমি মামলা রেকড করেছি – কিন্তু আমার দারগা সিদ্দিকুর রহামান এখনো আসামী গ্রেফতার করতে পারে নাই ” । এই মামলার দারোগা সিদ্দিকুর রহমান (০১৭১০৯৬৮৪২৫) তদন্ত করছেন – তিনি আমাকে বলেছেন ” আসামী ধরার চেষ্টা হচ্ছে”
এলাকার চেয়ারম্যান মোসসাবির আলি (মোসা) জিজ্ঞেশ করলে তিনি বি ,ডি ,এম , ডাবলু কে বলেন (মোঃ ০১৭১৬৩৯০৫০৭) ” আমি নিষেধ করার পরেও আতাউর রহমান আতা ও তার দলবল নিয়ে হিন্দু বাড়িতে এসে হামলা চালিয়েছে” যদিও অন্য পক্ষের হিন্দুরা তাদেরকে আক্রমনের জন্য ভাড়া করেছিল , এই ধরনের হামলাকে আমি সমর্থন করি না”
এই বাহিনী এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী (আওয়ামী পরিবার) তাই সংখ্যালঘু খবর পেয়ে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বন্ধন ও ফুলবাড়ী থানার এ এস আই মোয়াজ্জেম হোসেন গুরুতর আহত নারী শিশুসহ হিন্দু পরিবারের পাঁচ জনকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এবং উভয় পক্ষের স্বজনদের মাঝে উত্তেজনা পরিস্থিতি শান্ত করেন। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে! এস , পি , মহিবুল ইসলাম আমাকে জানালেন তিনি এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক মনে করে না ।
এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) রবিউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বি , ডি , এম , ডাবলু কে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে ,পুলিশের একজনও আহত হয়েছেন ।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ (বি , ডি , এম , ডাবলু) এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।
জাতিসংঘ ঘোষিত জাতীয় বা জাতিগত, ধর্মীয় এবং ভাষাগত সংখ্যালঘু সম্পর্কিত ব্যক্তিদের অধিকার সম্পর্কিত ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯২ এর ৪৭/১৩৫ জেনারেল ঘোষণা সরকার মানতে বাধ্য।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷