Breaking News

সংখ্যালঘু রবিদাস বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর, মারধর ,লুট ও অগ্নিসংযোগ করেছে স্থানীয় ইউ পি সদস্য ও তার পেটোয়া বাহিনী

সনাতন নিউজ২৪.
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস আতংকেও থেমে নেই হিন্দু নির্যাতন!‌ প্রসঙ্গত, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার অন্তর্গত গনকপাড়া গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দু রবিদাসের বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর, মারধর ,লুট ও অগ্নিসংযোগ করেছে স্থানীয় ইউ পি সদস্য ও তার পেটোয়া বাহিনী । ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৫-০৪-২০২০ ) সন্ধা ৬ টায়!

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার গনক পাড়া গ্রামের মৃত শিউলাল রবিদাসে ছেলে শ্রী সুমল চন্দ্র রবিদাসের বসত বাড়ী দোকান ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট মারধর অগ্নি সংযোগ করে একই এলাকার মোঃ তরিকুল মেম্বার!

আরও জানা গেল যে,  প্রতিবেশী মৃত সুন্দর  রবিদাসের ছেলে শ্রী ফকির রবিদাস ও শ্রী ঝুলন রবিদাসের নিকট হতে ০৬ শতাংশ বসত বাড়ীর জমি কিনে ওই এলাকার মোঃ নুরু ইসলামের ছেলে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ তরিকুল ইসলাম ৷

ক্রেতা মোঃ তরিকুল ইসলামের কবলা দলিলে যেখানে জমি কিনে সেখানে প্লট না কেটে চালাকি করে অবৈধ ভাবে পাশের প্লটে কবলা দলিলে ম্যাপ কেটে নেয় ৷ এর রেশধরে গত  বেশকিছু দিন পূর্বে হতে মেম্বার মোঃ তরিকুল ইসলাম নানান ভাবে বাদী শ্রী সুমল গং এর সাথে তাল বাহানা করতে থাকে গন্ডগোল করার জন্য ৷ এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার সন্ধায় মোঃ তরিকুল ইসলাম ইউ , পি মেম্বার প্রায় ৫০/৬০ জন ভাড়া করা সন্ত্রাসী লোক দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র লাঠি সোঠা নিয়ে আক্রমন করে শ্রী সুমল রবিদাসের বসত বাড়িতে।

তারা আক্রমন করে প্রথমে তাদের সেলুন দোকান, এরপর বসত বাড়ীতে ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে এবং তার  গর্ভবতী ছোট ভাই বউ এর পেটে লাথি মারে বলে দাবি করেন পরিবারটি।‌ শ্রী সুমল রবিদাসের ভাই নিখিল রবিদাস জানান, ইউ , পি  মেম্বার মোঃ তরিকুল ইসলামের সন্ত্রাসী বাহীনি তাদের ঘরের কাঠের খাট, ড্রেসিং টেবিল, ঘরের বেড়া ভাঙচুর,ঘরে রক্ষিত বিভিন্ন জিনিস পএ ভাঙচুর ও নগদ  ৫০০০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা, দের ভরি সোনা,  লুট করে নিয়ে গেছে তারা ৷ আরও জানায় যে, বর্তমানে তাদের ঘরে খাবারের কোন ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই ৷ প্রতিক্ষণে ক্ষণে মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনি হুমকি ধামকি ও  দেশ ত্যাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ৷


শ্রী সুমল রবিদাস বাদি হয়ে ২১জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ৷মামলা নং ০৮ তাং ২৬/০৪/০২০ ইং  ধারা ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩৮০/৩৩৫/৩৩৬/৪২৭/৫০৬ দণ্ডবিধি।
এই মামালার আসামিরা হলেন, মোঃ তরিকুল ইসলাম, মোঃ লিটন মিয়া, মোঃ পিকু মিয়া, মোঃ নুরু মিয়া, মোঃ আব্দুর হালিম, মোঃ পিন্টু, মোঃ নাসু, স্বপন মিয়া, রন্জু মিয়া, বিপুল,পান্না মিয়া , লাবলু মিয়া, সুকুর আলী, আলীম, মোকাম, সাকিল, আশাফুল, হাল্লু , ফকিরা,ঝুলন ও  রবিন ৷

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাসেল মিয়া ঘটনাস্থলে এসে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, দুর্স্কৃতিকারীর কোন স্থান নেই এই দেশে ৷ তিনি বলেন " ঘটনাটি শুনতে পেরে আমি অফিসার পাঠাই এবং এ সংক্রান্তে আইন গত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে ও , সি তাকে জানান।

 নারচি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান আলতাফ হোসেন জানান, তার পরিষদের UP সদস্য ভাল কাজ করে নাই ৷তিনি ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন!

আমি এই জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি!

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷