ইসকনসহ বিভিন্ন মঠ-মন্দিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দাবি.!
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেসের (ইসকন) বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব রটানো হচ্ছে— এমন দাবি করে সংগঠনটির নেতারা বলছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য আমাদেরকে জড়ানো হচ্ছে। ইসকনসহ বিভিন্ন মঠ-মন্দিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইসকন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে ইসকন বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি শ্রীমৎ কৃষ্ণকীর্তন দাস ব্রহ্মচারি বলেন, ‘গত কয়েকদিন যাবৎ বাংলাদেশে ঘটে যাচ্ছে একের পর এক বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আবরার হত্যার পর সর্বশেষ ভোলার বোরহানউদ্দিনে এক হিন্দু ছেলের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে সৃষ্ট ঘটনার ধারাবাহিকতায় পুলিশ ও কিছু উত্তেজিত জনগণের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়, ঘটনাগুলোকে বিচ্ছিন্ন মনে হলেও এর পেছনে রয়েছে কুচক্রী মহলের দুরভিসন্ধি ও চক্রান্ত। দুটো ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তারা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার যে ঘৃণ্য নীল নকশা সাজাচ্ছে, তা ক্রমেই প্রকাশিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে তারা হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ককে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। তাদের এই ঘৃণ্য পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে তারা ব্যবহার করছে বাংলাদেশ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম সংগঠন ইসকনকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চক্রান্তকারীরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে জাল বিছিয়ে রয়েছে, যার প্রমাণ পাওয়া যায় কিছু গণমাধ্যমের সংবাদে, ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। কুচক্রী মহল এসব ক্ষেত্রকে কাজে লাগিয়ে ইসকনকে জড়িয়ে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে। এভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তলানিতে পৌঁছানোর উপক্রম হয়েছে। ইসকনের মতো একটি শান্তিপ্রিয় ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের নামে এমন অপপ্রচার ও গুজব নিতান্তই ন্যাক্কারজনক।’
আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত অমিত সাহাকে ইসকনের সদস্য হিসেবে গুজব ছড়ানো হয়েছে, এমন দাবি করে কৃষ্ণকীর্তন বলেন, ‘‘আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত অমিত সাহাকে ইসকনের সদস্য বলে গত ১১ অক্টোবর দুটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘আবার হত্যার মূলচক্রী অমিত সাহা উগ্রবাদী ইসকনের সদস্য’ এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট। তারা কিসের ভিত্তিতে এমন একটি ভুয়া সংবাদ প্রচার করছে, আমরা তার জবাব চাই। অমিত সাহার সঙ্গে ইসকনের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই এবং কোনোকালে ছিলও না। আমরা এ ব্যাপারে আমাদের বিবৃতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এরইমধ্যে দিয়েছি। তাই অমিত সাহা ইস্যুতে ইসকনকে জড়ানো যে চক্রান্তকারীদের দুরভিসন্ধি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভোলার বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ ও প্রশাসনের তদন্তে থলের বিড়াল বেড়িয়ে এসেছে। কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল তাও গত কয়েকদিনে জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য,এ ইস্যুকে কেন্দ্র করেও গুজব রটনাকারীরা ভোলার হামলায় সংশ্লিষ্ট বিপ্লব চন্দ্র শুভকে ইসকনের সদস্য বলে অপপ্রচার করছে। গত ২৩ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনেও এ ইস্যুতে ইসকনকে জড়ানো হয়েছে যদিও তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিপ্লব চন্দ্র শুভ ইসকনের কোনও সদস্য নয় এবং এর সঙ্গে ইসকনের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘দুটো ইস্যুতেই কোনও প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও ইসকনকে জড়ানোর এই চক্রান্ত থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে, বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টিকারীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য এক পরিকল্পিত ছক কষছেন। বিভিন্ন জনসভায়ও বিভিন্ন রকম উসকানিমূলক বক্তৃতা দিয়ে জনসাধারণকে ক্ষিপ্ত করা হচ্ছে এবং কোনও কারণ না থাকা সত্ত্বেও তারা বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি করছে।’
এসময় কিছু দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আজ জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের করাল থাবায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ধ্বংসের মুখে। তাই অচিরেই এই অপতৎপরতা বন্ধ ও অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সেই সঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে যারা ভুয়া সংবাদ প্রচার করে জনগণকে উসকানি দিচ্ছে, যারা সামাজিক গণমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে, তাদের সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ইসকনসহ বিভিন্ন মঠ-মন্দিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— ইসকন বাংলাদেশের সভাপতি শ্রী সত্য রঞ্জন বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক শ্রীপাদ চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মমচারি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রীমান জগতগুরু গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মমচারি প্রমুখ।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইসকন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে ইসকন বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি শ্রীমৎ কৃষ্ণকীর্তন দাস ব্রহ্মচারি বলেন, ‘গত কয়েকদিন যাবৎ বাংলাদেশে ঘটে যাচ্ছে একের পর এক বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আবরার হত্যার পর সর্বশেষ ভোলার বোরহানউদ্দিনে এক হিন্দু ছেলের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে সৃষ্ট ঘটনার ধারাবাহিকতায় পুলিশ ও কিছু উত্তেজিত জনগণের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়, ঘটনাগুলোকে বিচ্ছিন্ন মনে হলেও এর পেছনে রয়েছে কুচক্রী মহলের দুরভিসন্ধি ও চক্রান্ত। দুটো ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তারা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার যে ঘৃণ্য নীল নকশা সাজাচ্ছে, তা ক্রমেই প্রকাশিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে তারা হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ককে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। তাদের এই ঘৃণ্য পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে তারা ব্যবহার করছে বাংলাদেশ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম সংগঠন ইসকনকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চক্রান্তকারীরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে জাল বিছিয়ে রয়েছে, যার প্রমাণ পাওয়া যায় কিছু গণমাধ্যমের সংবাদে, ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। কুচক্রী মহল এসব ক্ষেত্রকে কাজে লাগিয়ে ইসকনকে জড়িয়ে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে। এভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তলানিতে পৌঁছানোর উপক্রম হয়েছে। ইসকনের মতো একটি শান্তিপ্রিয় ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের নামে এমন অপপ্রচার ও গুজব নিতান্তই ন্যাক্কারজনক।’
আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত অমিত সাহাকে ইসকনের সদস্য হিসেবে গুজব ছড়ানো হয়েছে, এমন দাবি করে কৃষ্ণকীর্তন বলেন, ‘‘আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত অমিত সাহাকে ইসকনের সদস্য বলে গত ১১ অক্টোবর দুটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘আবার হত্যার মূলচক্রী অমিত সাহা উগ্রবাদী ইসকনের সদস্য’ এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট। তারা কিসের ভিত্তিতে এমন একটি ভুয়া সংবাদ প্রচার করছে, আমরা তার জবাব চাই। অমিত সাহার সঙ্গে ইসকনের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই এবং কোনোকালে ছিলও না। আমরা এ ব্যাপারে আমাদের বিবৃতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এরইমধ্যে দিয়েছি। তাই অমিত সাহা ইস্যুতে ইসকনকে জড়ানো যে চক্রান্তকারীদের দুরভিসন্ধি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভোলার বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ ও প্রশাসনের তদন্তে থলের বিড়াল বেড়িয়ে এসেছে। কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল তাও গত কয়েকদিনে জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য,এ ইস্যুকে কেন্দ্র করেও গুজব রটনাকারীরা ভোলার হামলায় সংশ্লিষ্ট বিপ্লব চন্দ্র শুভকে ইসকনের সদস্য বলে অপপ্রচার করছে। গত ২৩ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনেও এ ইস্যুতে ইসকনকে জড়ানো হয়েছে যদিও তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিপ্লব চন্দ্র শুভ ইসকনের কোনও সদস্য নয় এবং এর সঙ্গে ইসকনের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘দুটো ইস্যুতেই কোনও প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও ইসকনকে জড়ানোর এই চক্রান্ত থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে, বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টিকারীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য এক পরিকল্পিত ছক কষছেন। বিভিন্ন জনসভায়ও বিভিন্ন রকম উসকানিমূলক বক্তৃতা দিয়ে জনসাধারণকে ক্ষিপ্ত করা হচ্ছে এবং কোনও কারণ না থাকা সত্ত্বেও তারা বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি করছে।’
এসময় কিছু দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আজ জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের করাল থাবায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ধ্বংসের মুখে। তাই অচিরেই এই অপতৎপরতা বন্ধ ও অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সেই সঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে যারা ভুয়া সংবাদ প্রচার করে জনগণকে উসকানি দিচ্ছে, যারা সামাজিক গণমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে, তাদের সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ইসকনসহ বিভিন্ন মঠ-মন্দিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— ইসকন বাংলাদেশের সভাপতি শ্রী সত্য রঞ্জন বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক শ্রীপাদ চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মমচারি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রীমান জগতগুরু গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মমচারি প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷