বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট সম্পর্কে কিছু তথ্য সকলের অবগতির জন্য উপস্থাপন করা হলো
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট সম্পর্কে সকলের অবগতির জন্য কিছু তথ্য এখানে উপস্থাপন করা হলো।দেশের ছোট-বড় ২৩টি হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের জোট হচ্ছে হিন্দু মহাজোট। এই ২৩টি সংগঠনের সাথে বিভিন্ন জেলার অনেকেই জড়িত রয়েছেন।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট ।
দেশের ৬০টি জেলায় হিন্দু মহাজোটের পাশাপাশি এর অঙ্গ সংগঠন যুব মহাজোট ও ছাত্র মহাজোট কাজ করছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদে পরমেশ্বরের নির্দেশ-
“সংগচ্ছধ্বং সংবদধ্বং সং বো মনাংসি জানতাম্।
দেবা ভাগং যথা পূর্বে সং জানানা উপাসতে ॥
সমানো মন্ত্রঃ সমিতিঃ সমানী সমানাং মন সহ চিত্তমেষাম্।
সমানাং মন্ত্রমভিমন্ত্রয়ে বঃ সমানেন বো হবিষা জুহোসি ॥”
(ঋগ্বেদ ১০/১৯১/২-৩)
অর্থাৎ- ‘তোমরা সকলে একসঙ্গে চল, এক মন্ত্র উচ্চারণ কর, সমিতি গঠন করে ঐক্যবদ্ধ থাক, কখনো বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ সকলের মন্ত্র, সংকল্প ও মন এক করার লক্ষ্যেই জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সৃষ্টি।
বহু বিভক্তির কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে, ঢুকেছে নানা অপ-সংস্কৃতি।
হিন্দু জাগরণের প্রত্যয় নিয়ে, বৈদিক দর্শন ও সনাতন হিন্দু ধর্মের শাশ্বত বাণী ও দিক নির্দেশনাগুলোকে হৃদয়ের মাঝে প্রথিত করে, বাংলাদেশের হিন্দু সমাজে বিরাজিত সম্প্রদায়গত, উপাসনাগত, পদ্ধতিগত এবং ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠানগত সকল মত ও পথের সকলকে এক স্রোতধারায় আনার দৃঢ়প্রত্যয়ে গঠিত হয়েছে বাংলাদেশে জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
এটি কারো পক্ষের বা বিপক্ষের কোন সংগঠন নয়। এটি সকল বিভেদ ভুলে, আত্মিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের হিন্দু সমাজের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের সংগঠন।
জাতীয় হিন্দু মহাজোট প্রতিষ্ঠার পর আমেরিকা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন, ওয়ার্ল্ড হিন্দু কংগ্রেসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে অংশগ্রহণ করেছে।সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশ সফরকালে হিন্দু মহাজোট নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের গঠনতন্ত্র ও সংবিধানে বর্ণিত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হচ্ছে:-
(ক) বাংলাদেশের রাষ্ট্র সীমানার ভিতরে বসবাসরত সকল সনাতন ধর্মী (হিন্দু) লোকদের জন্য একটি ধর্মীয় সংগঠনের উন্মেষ।
(খ) সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকের জান-মাল ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষাকল্পে বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রে বর্ণিত অধিকারের আলোকে নিশ্চয়তা বিধান করা ও
(গ) সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকের গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা। আর হিন্দুদের কৃষ্টি, ধর্মীয় স্বাধীনতা, হিন্দুত্ব ও ঐতিহ্য রক্ষা করা হচ্ছে এই সংগঠনের মূলনীতি।
যে ৭ দফা দাবি নিয়ে সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে সেগুলো হচ্ছে-
১. হিন্দু পারিবারিক আইন ও বিবাহ আইন পরিবর্তন ও সংযোজন করা চলবে না ।
২. জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৩. হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সংখ্যালঘু বিষয়ক কমিশন গঠন করতে হবে।
৪. সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে।
৫. শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি আইন বাতিল করে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী ফেরত দিতে হবে।
৬. সরকারি চাকুরিতে ২০% কোটার ব্যবস্থা করতে হবে ।
৭. দুর্গাপূজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে হবে।
সকলের কাছে প্রত্যাশা- হিন্দুত্ববোধ ও হিন্দুদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রক্ষায় সকলেই সহায়ক হবেন। পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হউন, নিরাময় হউন, প্রশান্তি লাভ করুন, কেউ যেন দুঃখ ভোগ না করেন। ওঁ শান্তি, শান্তি, শান্তি।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট ।
দেশের ৬০টি জেলায় হিন্দু মহাজোটের পাশাপাশি এর অঙ্গ সংগঠন যুব মহাজোট ও ছাত্র মহাজোট কাজ করছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদে পরমেশ্বরের নির্দেশ-
“সংগচ্ছধ্বং সংবদধ্বং সং বো মনাংসি জানতাম্।
দেবা ভাগং যথা পূর্বে সং জানানা উপাসতে ॥
সমানো মন্ত্রঃ সমিতিঃ সমানী সমানাং মন সহ চিত্তমেষাম্।
সমানাং মন্ত্রমভিমন্ত্রয়ে বঃ সমানেন বো হবিষা জুহোসি ॥”
(ঋগ্বেদ ১০/১৯১/২-৩)
অর্থাৎ- ‘তোমরা সকলে একসঙ্গে চল, এক মন্ত্র উচ্চারণ কর, সমিতি গঠন করে ঐক্যবদ্ধ থাক, কখনো বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ সকলের মন্ত্র, সংকল্প ও মন এক করার লক্ষ্যেই জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সৃষ্টি।
বহু বিভক্তির কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে, ঢুকেছে নানা অপ-সংস্কৃতি।
হিন্দু জাগরণের প্রত্যয় নিয়ে, বৈদিক দর্শন ও সনাতন হিন্দু ধর্মের শাশ্বত বাণী ও দিক নির্দেশনাগুলোকে হৃদয়ের মাঝে প্রথিত করে, বাংলাদেশের হিন্দু সমাজে বিরাজিত সম্প্রদায়গত, উপাসনাগত, পদ্ধতিগত এবং ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠানগত সকল মত ও পথের সকলকে এক স্রোতধারায় আনার দৃঢ়প্রত্যয়ে গঠিত হয়েছে বাংলাদেশে জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
এটি কারো পক্ষের বা বিপক্ষের কোন সংগঠন নয়। এটি সকল বিভেদ ভুলে, আত্মিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের হিন্দু সমাজের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের সংগঠন।
জাতীয় হিন্দু মহাজোট প্রতিষ্ঠার পর আমেরিকা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন, ওয়ার্ল্ড হিন্দু কংগ্রেসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে অংশগ্রহণ করেছে।সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশ সফরকালে হিন্দু মহাজোট নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের গঠনতন্ত্র ও সংবিধানে বর্ণিত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হচ্ছে:-
(ক) বাংলাদেশের রাষ্ট্র সীমানার ভিতরে বসবাসরত সকল সনাতন ধর্মী (হিন্দু) লোকদের জন্য একটি ধর্মীয় সংগঠনের উন্মেষ।
(খ) সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকের জান-মাল ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষাকল্পে বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রে বর্ণিত অধিকারের আলোকে নিশ্চয়তা বিধান করা ও
(গ) সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকের গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা। আর হিন্দুদের কৃষ্টি, ধর্মীয় স্বাধীনতা, হিন্দুত্ব ও ঐতিহ্য রক্ষা করা হচ্ছে এই সংগঠনের মূলনীতি।
যে ৭ দফা দাবি নিয়ে সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে সেগুলো হচ্ছে-
১. হিন্দু পারিবারিক আইন ও বিবাহ আইন পরিবর্তন ও সংযোজন করা চলবে না ।
২. জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৩. হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সংখ্যালঘু বিষয়ক কমিশন গঠন করতে হবে।
৪. সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে।
৫. শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি আইন বাতিল করে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী ফেরত দিতে হবে।
৬. সরকারি চাকুরিতে ২০% কোটার ব্যবস্থা করতে হবে ।
৭. দুর্গাপূজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে হবে।
সকলের কাছে প্রত্যাশা- হিন্দুত্ববোধ ও হিন্দুদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রক্ষায় সকলেই সহায়ক হবেন। পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হউন, নিরাময় হউন, প্রশান্তি লাভ করুন, কেউ যেন দুঃখ ভোগ না করেন। ওঁ শান্তি, শান্তি, শান্তি।
দেশের ছোট-বড় ২৩টি হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের জোট হচ্ছে হিন্দু মহাজোট। please give me any 2/3 organization name....this is false news please give correct news
উত্তরমুছুনগোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক পৃথিবীর নেতা। আমরা ভারতীয়রা তাকে আমাদের নেতা বলেমনেকরি।
উত্তরমুছুনভালো গঠন
উত্তরমুছুনএটাই দাবি, তিনি যেন আমাদের সহমত মেনে নেন, তবেই সংখ্যালঘুরা নিপীড়ন আর নির্যাতন মানুষের হাত থেকে বাঁচার সম্ভব,নইলে তারা নরকবাস আর নির্যাতিত হতেই থাকবে।
উত্তরমুছুনগোবিন্দ দাদা ভালো মনের মানুষ এবং তিনি সর্বক্ষণ হিন্দুদের স্বার্থে কথা বলেন যা অন্য কোন সংগঠনের নেতারা পারে না।
উত্তরমুছুনজয় শ্রীরাম জয় হোক বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের।
উত্তরমুছুনবাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এটি এমন একটি সংগঠন যার ভিতরে কোন রাজনৈতিক স্পর্শ নেই শুধু হিন্দুত্ববাদ হিন্দুদের অধিকার স্বার্থে
উত্তরমুছুনSEEKING YOUR KIND COOPERATION REGRADING INJUSTICE OF THE STANDARD CHARTERED BANK. P+8801711424740.
উত্তরমুছুন