নালিতাবাড়ীতে শেষ হলো দুই দিনব্যাপি ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী সাধু লিওর খ্রিস্টধর্মপল্লীতে স্থাপিত ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানে রোম্যান ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের দুই দিনব্যাপি ২২তম তীর্থোৎসব দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১২টায় সমাপ্ত হয়েছে।
ময়মনসিংহ খ্রিস্ট ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি তীর্থোৎসবের মহা খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে প্রার্থনা করে সমাপ্তী ঘোষনা এই তীর্থোৎসবের। এসময় সমাপনী বক্তব্য রাখেন তীর্থোৎসবের প্রধান বক্তা নাটোরের রেভারেন্ট ফাদার ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও।
তীর্থ উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র এম. চিরান জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে মা মারিয়ার হাজার হাজার ভক্তরা দেশ ও বিদেশ থেকে এ তীর্থোৎসবে আসেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় পাপ স্বীকার ও পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্যদিয়ে তীর্থোৎসবের শুভ সূচনা করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খ্রিস্টযাগ ও পাপ স্বীকার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ময়মনসিংহ খ্রীস্টধর্ম প্রদেশের বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি। পরে তীর্থোৎসবের লক্ষ ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন নাটোরের রেভারেন্ট ফাদার ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও। এবারের মূলসুর ছিল ‘বিশ্বাসের যাত্রায় মিলন সমাজ গঠনে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া।’
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় মোমবাতি প্রজ্বলন করে বের করা হয় আলোক শোভাযাত্রা। এতে হাজার হাজার খ্রিস্টভক্তদের অংশ গ্রহণে ধর্মপল্লীর বাহির থেকে শুরু করে সারিবদ্ধ ভাবে মোমবাতি প্রজ্বলন করে ভক্তরা দাড়ান। পরে মোমবাতি প্রজ্বলন করে পাপ মোচন ও আশা আকাঙ্খা নিয়ে ভক্তরা দুই কিলোমিটার পাহাড়ি পথ অতিক্রম করেন। পরে ৪২ ফুট উচু ফাতেমা রানীর মূর্তির স্থলে সবাই একত্রিত হন। সেখানে রাত ১১টায় আরাধনা, নিশি জাগরণ ও নিরাময় অনুষ্ঠান মধ্য দিয়ে প্রথম দিনে কার্যক্রমের সমাপ্তি করা হয়।
শুক্রবার সকাল ৮টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ অতিক্রম অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। নাটিকার মাধ্যমে যীশুকে যেভাবে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছিলো তা দেখানো হয়। এসময় ভক্তরা কান্নায় ভেঙে পরেন। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে মহা খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে দিয়ে বেলা ১২টায় দুই দিনব্যাপি তীর্থোৎসবের সমাপ্তী করা করা হয়।
তীর্থযাত্রী ক্লডিয়া নকরেক কেয়া জানান, এখানে সবাই অসাম্প্রদিক চেতনায় নিজেকে আত্মশুদ্ধি করতে এবং পাপ স্বীকার করে তা মুচনের আশায় সবাই আসেন। মা মারিয়ার কৃপালাভের আশায় সবাই দুইদিন এখানে অবস্থান করেছি। শেষ প্রার্থনায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামণায় প্রার্থনা করা হয়েছে।
খ্রিস্টভক্ত আখি হাগিদক জানান, আমরা প্রতিবছর পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে তীর্থোৎসবে আসি। এখানে নিজেদর পাপ স্বাীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করি। এছাড়া নিজের দেশের জন্যও আমরা প্রার্থনা করেছি।
বারমারী ধর্মপল্লীর ভাইস চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিনজা জানান, বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রায় ৩০ হাজার ভক্তরা তীর্থোৎসবে বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে সমবেত হয়েছিলেন। সবার আন্তরিক সহযোগিতার মধ্যদিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দুইদিন ব্যাপী তীর্থোৎসব শেষ হয়েছে।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করেছি। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এই ২২তম তীর্থোৎসব সমাপ্ত হয়েছে।

ময়মনসিংহ খ্রিস্ট ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি তীর্থোৎসবের মহা খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে প্রার্থনা করে সমাপ্তী ঘোষনা এই তীর্থোৎসবের। এসময় সমাপনী বক্তব্য রাখেন তীর্থোৎসবের প্রধান বক্তা নাটোরের রেভারেন্ট ফাদার ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও।
তীর্থ উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র এম. চিরান জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে মা মারিয়ার হাজার হাজার ভক্তরা দেশ ও বিদেশ থেকে এ তীর্থোৎসবে আসেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় পাপ স্বীকার ও পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্যদিয়ে তীর্থোৎসবের শুভ সূচনা করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খ্রিস্টযাগ ও পাপ স্বীকার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ময়মনসিংহ খ্রীস্টধর্ম প্রদেশের বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি। পরে তীর্থোৎসবের লক্ষ ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন নাটোরের রেভারেন্ট ফাদার ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও। এবারের মূলসুর ছিল ‘বিশ্বাসের যাত্রায় মিলন সমাজ গঠনে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া।’
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় মোমবাতি প্রজ্বলন করে বের করা হয় আলোক শোভাযাত্রা। এতে হাজার হাজার খ্রিস্টভক্তদের অংশ গ্রহণে ধর্মপল্লীর বাহির থেকে শুরু করে সারিবদ্ধ ভাবে মোমবাতি প্রজ্বলন করে ভক্তরা দাড়ান। পরে মোমবাতি প্রজ্বলন করে পাপ মোচন ও আশা আকাঙ্খা নিয়ে ভক্তরা দুই কিলোমিটার পাহাড়ি পথ অতিক্রম করেন। পরে ৪২ ফুট উচু ফাতেমা রানীর মূর্তির স্থলে সবাই একত্রিত হন। সেখানে রাত ১১টায় আরাধনা, নিশি জাগরণ ও নিরাময় অনুষ্ঠান মধ্য দিয়ে প্রথম দিনে কার্যক্রমের সমাপ্তি করা হয়।
শুক্রবার সকাল ৮টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ অতিক্রম অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। নাটিকার মাধ্যমে যীশুকে যেভাবে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছিলো তা দেখানো হয়। এসময় ভক্তরা কান্নায় ভেঙে পরেন। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে মহা খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে দিয়ে বেলা ১২টায় দুই দিনব্যাপি তীর্থোৎসবের সমাপ্তী করা করা হয়।
তীর্থযাত্রী ক্লডিয়া নকরেক কেয়া জানান, এখানে সবাই অসাম্প্রদিক চেতনায় নিজেকে আত্মশুদ্ধি করতে এবং পাপ স্বীকার করে তা মুচনের আশায় সবাই আসেন। মা মারিয়ার কৃপালাভের আশায় সবাই দুইদিন এখানে অবস্থান করেছি। শেষ প্রার্থনায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামণায় প্রার্থনা করা হয়েছে।
খ্রিস্টভক্ত আখি হাগিদক জানান, আমরা প্রতিবছর পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে তীর্থোৎসবে আসি। এখানে নিজেদর পাপ স্বাীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করি। এছাড়া নিজের দেশের জন্যও আমরা প্রার্থনা করেছি।
বারমারী ধর্মপল্লীর ভাইস চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিনজা জানান, বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রায় ৩০ হাজার ভক্তরা তীর্থোৎসবে বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে সমবেত হয়েছিলেন। সবার আন্তরিক সহযোগিতার মধ্যদিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দুইদিন ব্যাপী তীর্থোৎসব শেষ হয়েছে।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করেছি। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এই ২২তম তীর্থোৎসব সমাপ্ত হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷