Breaking News

২০২০ সালের সংখ্যালঘু নির্যাতনের এই পরিসংখ্যান বেড়েছে, “হত্যা "১৪৯" জন,দাবী হিন্দু মহাজোট।।

 সনাতন নিউজ২৪. <> ঢাকা বাংলাদেশ 

 বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ তথা চলমান বছরের সারণী প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠন টির মহাসচিবএড: গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক লিখিত বক্তব্যে সারাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের চিত্র বিশদভাবে তুলে ধরেন।



১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে। আমাদের সংবিধানেও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক নীতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু গত ৪৯ বছরের ইতিহাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ, সে হোক ধর্মীয় কিংবা নৃতাত্ত্বিক; ক্রমাগত হয়রানি, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে।

অর্পিত সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া ঝুলে থাকে আইনের মারপ্যাঁচে। ‘সংখ্যালঘুবান্ধব’ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে একনাগাড়ে প্রায় ১২ বছর ক্ষমতায় আছে। এই সময়েও যে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-হয়রানি বন্ধ হয়নি, তার প্রমাণ রামু, নাসিরনগর, গোবিন্দগঞ্জ, সাঁথিয়া, দিনাজপুর এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলি।


২০২০ সালের সংখ্যালঘু নির্যাতনের এই পরিসংখ্যান বেড়েছে, “হত্যা ১৪৯জন, আহত ৭,০৩৬জন, অপহরণ ৯৪ জন, ধর্মান্তর ২৬২৩ জন, ধর্ষণ/গণধর্ষণ ৫৩ জন, বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ ৫০৫ টি, মন্দিরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ ১৬৩ টি , প্রতিমা ভাংচুর ৩৭০ টি, উচ্ছেদ ও দেশ ত্যাগে বাধ্যকরণ ২১২৫ টি পরিবার, ভূমি দখল ১০,২৩৬.৭৩ একর, মোট ঘটনা ১০৫৫টি, একক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি, পরিবার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪০,৭০৩ টি।


করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দুই মাসের বেশি সময় ধরে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছিল। সর্বস্তরের মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিল এবং এখনো আছে। অথচ একশ্রেণির দুর্বৃত্ত এই সংকটকালকেই বেছে নিয়েছে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার সুযোগ হিসেবে।


করোনা কালে বিভিন্ন সংবাদপত্র, থানায় দায়ের করা মামলা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনের সময় দেশের ২৭টি জেলায় অন্তত ৩৬টি হামলা, নির্যাতন, অপহরণ ও উপাসনালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আর এসব ঘটনার সঙ্গে চিহ্নিত সন্ত্রাসীর পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের সম্পৃক্ত থাকারও প্রমাণ মিলেছে।


লিখিত বক্তব্যে অতীতের তুলনায় সরকার সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে যথেষ্ট তৎপর। কিন্তু তারপরও সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। সেকারণে এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সহিংসতা ও নির্যাতন নিরোধ কল্পে জাতীয় সংসদে ৬০ টি সংরক্ষিত আসন পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃ প্রতিষ্ঠা ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাধীন সংখ্যালঘু কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের থেকে একজন সংসদে পূর্ণ মন্ত্রী করার দাবি জানানো হয়।


এসময় সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠন টি র সভাপতি অ্যাডঃ বিধান বিহারী গোস্বামী, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডঃদীনবন্ধু রায়, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, সহ-সভাপতি প্রদীপ সরকার, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডঃ লাকী বাছার, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ সুজয় ভট্টাচার্য, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রদীপ চন্দ্র, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সরল কুমার রায়, সহ-দফতর সম্পাদক কল্যাণ মন্ডল, হিন্দু স্বেচ্ছাসেবক মহাজোটের চয়ন বাড়ৈ, সাগরিকা মন্ডল, হিন্দু ছাত্র মহাজোট এর সভাপতি সাজেন কৃষ্ণ বল, সাধারণ সম্পাদক সজিব কুন্ডু, মৌসুমি রায় প্রমূখ

৩টি মন্তব্য:

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷