Breaking News

বগুড়ায় কালীমন্দীর ভাংচুর জায়গা ফেরৎ ও মন্দির স্থাপন, ক্ষতি পুরন সহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী

সনাতন নিউজ২৪. <> ঢাকা বাংলাদেশ 

বগুড়া জেলার সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের রজাকপুর গ্রামে প্রায় দের শত বৎসরের কালীস্থান, (দেবস্তান) কালীমন্দির ভাঙচুর, চরকপুজার স্থান ভাঙচুর করেছে প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এ ,সি (ল্য্যান্ড ) । ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ ডিসেম্বর  সকাল ১০ ঘটিকায় ।  মন্দির কমিটির নিকট কোন লিখিত বা মৌখিক  নোঠিশ প্রেরন না করে এই ধরনের হিংস্রতার আশ্রয় নিয়েছে প্রশাসন । জানা গেছে অপরপক্ষে প্রসাশন যারা মন্দিরের জায়গা দখল অথবা ভাংচুর করতে বাধা দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। মামলা নং ২৫ তারিখ ১৩।১২।২০২০ ধারাঃ ৪৪৭/১৮৬/৪১৭ দণ্ডবিধিঃ


সেই সাথে ওই জায়গায় ৫২টা পুরাতন বড় মোটা গাছ কর্তন করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সদর)আজিজুর রহমান, সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আমির হামজা,ও নুনগোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলিম উদ্দিন তারা উভয়েই যোগসাজশ করে ২০ লক্ষ আত্নসাৎ করেছে ৷ 

তারা এতেই ক্ষান্ত হয়ে থাকেনি মন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদ করার কারনে স্থানীয় ১১ জন মুসলিম এর বিরুদ্ধে মামলা করেছে উপজেলা সহকারী ভুমি কর্মকর্তা  মোঃ ফজলুল হক । পাশাপাশী ওই সময়ে মন্দির ভাঙচুর ও গাছ কাটার প্রতিবাদিদের ইউএনওর নির্দেশে প্রচন্ড হয়রানীও করেছে পুলিশ ৷এ সবের প্রতিবাদে বগুড়া শহরে জেলা পুজা উদযাপন পরিষদ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে ৷ 


ওই মানবন্ধনে এলাকার প্রায় তিন শতাধীক নারী পুরুষ অংশ গ্রহন করেন ৷ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ মাইনরেটি ওয়াচের জেলা কমিটি ৷এ সময়ে ছিলেন বিকাশ চন্দ্র কর্মকার,শ্রী সবুজ রায়,শ্রী ধীরেন্দ্রনাথ রায়,শ্রী সুশান্ত কর্মকার,শ্রী বিধান রায় ৷রজাকপুর কালী মন্দির কমিটির সভাপতি ডাঃ সুশিল কুমার বলেন,প্রায় শতাধীক বছরের বেশী হয়েছে ওই স্থানে কালী পুজা সেই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৬৪ শতাংশ জায়গার উপর চরকপুজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ৷ওই জায়গাটির সি এস,এম আর আর এ কালীস্থান উল্লেখও আছে এবং পার্শে প্রচুর পরিমানে সরকারী খাস খতিয়ান ভুক্ত জায়গা জমি থাকার পরেও আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যোগ সাঁজশে এখানে আবাসন প্রকল্প করার নামে এই জায়গায় মন্দির ভাঙচুর সহ গাছ কেটে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেছে ৷ওই গ্রামের ৭০ বছর বয়সের শ্রী সূর্যকান্ত বলেন,আমি দাদুর কাছে শুনেছি এই স্থানে মন্দির,কালী পুজা ও চরক পুজা হত ৷ গ্রামের ৮০ বছর বয়সী মোঃ মোফাজ্জল হোসেন বললেন, এই জায়গায় চরকপুজা ও কালীপুজা সহ বিশাল মেলা হতে দেখেছি ৷নিত্য গোপাল বললেন শত বছরেরও বেশী সময় ধরে এই স্থানে কালী পুজা ও চরকপুজা সহ আশপাশের দশটি গ্রামের লোক জনের মিল বন্ধন হত এখানে কিন্তু কোন রকম নোটিশ ছাড়া সরকারী ছুটির দিনে এলাকায় হিন্দু শুন্য করার অসৎ উদ্দেশ্যে গাছ কর্তন মন্দির ভাঙচুর করে একটি ত্রাসের রাজ্য কায়েম করেছে ৷আমরা সবাই বাংলাদেশ মাইনরেটি ওয়াচের প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে ন্যায় বিচার চাই ৷মন্দির কমিটির সম্পাদক শ্রী সুভাষ দেবনাথ বললেন আমরা সব সময় নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি কারন যে কোন মুহুর্তে ইউএনও বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করার কারনে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে আমাদের ৷ আমরা বাংলাদেশ মাইনরেটি ওয়াচের প্রেসিডেন্টের কাছে ন্যায় বিচার এবং মন্দির নির্মান সহ জায়গা উদ্ধার করে দিলে সারাজিবন কৃতজ্ঞ থাকব ৷জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিলিপ দেব বলেন " আমরা এই  ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রশাসনের নিকট ক্ষতিপুরন সহ মন্দির পুননির্মান এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করছি " ৷জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সম্পাদক শ্রী নিরাঞ্জন সিং বলেন এই ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷নুনগোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যন মোঃ আলিম উদ্দিন প্রতিনিধিকে বলেন,আমি ওই জায়গায় কোন মন্দির দেখি নাই ৷বরং ওই জায়গাতে সংরক্ষিত নারী সদস্য রহিমা খাতুন ও ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল বারী মন্ডল কিছু লোকের দাবীর প্রেক্ষিতে খেলার মাঠের প্রস্তাব করেছিলেন আমার কাছে ৷এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন,হাঁ ওখানে ৪০ বছর আগে থেকে ওই জায়গায় পাঁথরে হিন্দু ধর্মীয় লোকজন পুজা অর্চনা করে আসতে দেখেছি ৷বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ৷ এ সময় শ্রী শুশিল চন্দ্র, শ্রী পুলক দেবনাথ, শ্রীমতি কামনা রানী,শ্রীমতি শ্যামলী রানী,শ্রীমতি আরতি রানী সহ প্রায় শতাধীক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন ৷ 


বাংলাদেশ মাইনরেটি ওয়াচ এধরনের ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং অবিলম্ভে উক্ত দেবত্তর জায়গাটি হিন্দুদের ব্যবহায্যে ফেরৎ ও মন্দির স্থাপন এবং ক্ষতি পুরন সহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে ৷  সেই সাথে ওই জায়গায় ৫২টা পুরাতন বড় মোটা কর্তন গাছ করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সদর)আজিজুর রহমান, সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আমির হামজা,ও নুনগোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলিম উদ্দিন তারা উভয়েই যোগসাজশ করে ২০ লক্ষ আত্নসাৎ করেছে ৷ তারা এতেই ক্ষান্ত হয়ে থাকেনি মন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদ করার কারনে স্থানীয় ১১ জন মুসলিম এর বিরোদ্ধে মামলা করেছে উপজেলা সহকারী ভুমি কর্মকর্তা ৷পাশাপাশী ওই সময়ে মন্দির ভাঙচুর ও গাছ কাটার প্রতিবাদিদের ইউএনওর নির্দেশে প্রচন্ড হয়রানীও করেছে পুলিশ ৷এ সবের প্রতিবাদে বগুড়া শহরে জেলা পুজা উদযাপন পরিষদ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে ৷ ওই মানবন্ধনে এলাকার প্রায় তিন শতাধীক নারী পুরুষ অংশ গ্রহন করেন ৷ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ মাইনরেটি ওয়াচের জেলা কমিটি ৷এ সময়ে ছিলেন বিকাশ চন্দ্র কর্মকার,শ্রী সবুজ রায়,শ্রী ধীরেন্দ্রনাথ রায়,শ্রী সুশান্ত কর্মকার,শ্রী বিধান রায় ৷রজাকপুর কালী মন্দির কমিটির সভাপতি ডাঃ সুশিল কুমার বলেন,প্রায় শতাধীক বছরের বেশী হয়েছে ওই স্থানে কালী পুজা সেই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৬৪ শতাংশ জায়গার উপর চরকপুজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ৷ওই জায়গাটির সি এস,এম আর আর এ কালীস্থান উল্লেখও আছে এবং পার্শে প্রচুর পরিমানে সরকারী খাস খতিয়ান ভুক্ত জায়গা জমি থাকার পরেও ৷আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যোগ সাঁজশে এখানে আবাসন প্রকল্প করার নামে এই জায়গায় মন্দির ভাঙচুর সহ গাছ কেটে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেছে ৷ওই গ্রামের ৭০ বছর বয়সের শ্রী সূর্যকান্ত বলেন,আমি দাদুর কাছে শুনেছি এই স্থানে মন্দির,কালী পুজা ও চরক পুজা হত ৷ গ্রামের ৮০ বছর বয়সী মোঃ মোফাজ্জল হোসেন বললেন, এই জায়গায় চরকপুজা ও কালীপুজা সহ বিশাল মেলা হতে দেখেছি ৷নিত্য গোপাল বললেন শত বছরেরও বেশী সময় ধরে এই স্থানে কালী পুজা ও চরকপুজা সহ আশপাশের দশটি গ্রামের লোক জনের মিল বন্ধন হত এখানে কিন্তু কোন রকম নোটিশ ছাড়া সরকারী ছুটির দিনে এলাকায় হিন্দু শুন্য করার অসৎ উদ্দেশ্যে গাছ কর্তন মন্দির ভাঙচুর করে একটি ত্রাসের রাজ্য কায়েম করেছে ৷আমরা সবাই বাংলাদেশ মাইনরেটি ওয়াচের প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে ন্যায় বিচার চাই ৷মন্দির কমিটির সম্পাদক শ্রী সুভাষ দেবনাথ বললেন আমরা সব সময় নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি কারন যে কোন মুহুর্তে ইউএনও বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করার কারনে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে আমাদের ৷ আমরা বাংলাদেশ মাইনরেটি ওয়াচের প্রেসিডেন্টের কাছে ন্যায় বিচার এবং মন্দির নির্মান সহ জায়গা উদ্ধার করে দিলে সারাজিবন কৃতজ্ঞ থাকব ৷জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিলিপ দেব বলেন আমরা এই  ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রশাসনের নিকট ক্ষতিপুরন সহ মন্দির পুননির্মান এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করছি ৷জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সম্পাদক শ্রী নিরাঞ্জন সিং বলেন এই ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷নুনগোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যন মোঃ আলিম উদ্দিন প্রতিনিধিকে বলেন,আমি ওই জায়গায় কোন মন্দির দেখি নাই ৷বরং ওই জায়গাতে সংরক্ষিত নারী সদস্য রহিমা খাতুন ও ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল বারী মন্ডল কিছু লোকের দাবীর প্রেক্ষিতে খেলার মাঠের প্রস্তাব করেছিলেন আমার কাছে ৷এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন,হাঁ ওখানে ৪০ বছর আগে থেকে ওই জায়গায় পাঁথরে হিন্দু ধর্মীয় লোকজন পুজা অর্চনা করে আসতে দেখেছি ৷বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ৷ এ সময় শ্রী শুশিল চন্দ্র, শ্রী পুলক দেবনাথ, শ্রীমতি কামনা রানী,শ্রীমতি শ্যামলী রানী,শ্রীমতি আরতি রানী সহ প্রায় শতাধীক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন ৷ 

বাংলাদেশ মাইনরেটি ওয়াচ এ ধরনের ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং অবিলম্ভে উক্ত দেবত্তর জায়গাটি হিন্দুদের ব্যবহায্যে ফেরৎ ও মন্দির স্থাপন এবং ক্ষতি পুরন সহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে ৷



বগুড়ায় কালীমন্দীর ভাংচুর জায়গা ফেরৎ ও মন্দির স্থাপন, ক্ষতি পুরন সহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী


কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷