টেকনাফে আদিবাসী চাকমা তরুণীকে অপহরণের পর ধর্ষণ পরে হত্যা
সনাতন নিউজ২৪. <> ঢাকা বাংলাদেশ
১২ ডিসেম্বর ২০২০, কক্সবাজার: টেকনাফে আদিবাসী চাকমা তরুণীকে অপহরণের পর ধর্ষণ এবং পরে লাশ হয়ে ফিরতে হল আদিবাসী চাকমা তরুণী লাকিংমে চাকমাকে (১৫)। গত ৯ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন লাকিংমে চাকমা আর তার ছোট বোন বাড়িতে ছিলো। বাড়িতে বড় বোনকে রেখে ছোট বোন বাড়ির পাশে একটা কাজের জন্য চলে যায়। পরে ছোটবোন বাড়িতে এসে দেখে বড়বোন বাড়িতে নাই। আশেপাশে কোথাও গেছে ভেবে ছোটবোন আর খুঁজেনি। এরমধ্যে এলাকার একজন লোক এসে জানায় ৪-৫ জন লোক লাকিং চাকমাকে একটা সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সিএনজিতে থাকা মোঃ আতাউল্লা (২২), মোঃ ইয়াসিন (২১), মোঃ ইসা (২৩), মোঃ আবুইয়াকে (২৫) চিনতে পাওয়া যায়। লোকজন সিএনজিটিকে ধাওয়া করে ধরতে পারেননি।
পরে ভূক্তভোগীর পিতা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্য মোঃ হাফেজকে জানালে ইউপি সদস্য ভূক্তভোগীর পিতাকে উদ্ধারের আশ্বাস দেন। কিন্তু ইউপি সদস্য উদ্ধার করতে না পারায় থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। পরবর্তীতে তিনি থানায় অভিযোগ দিলে অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে। পুরিশের কাজে সন্তুষ্টি না হয়ে নিরুপায় হয়ে ভূক্তভোগীর পিতা জেলা জজ র্কোটে নারীও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে (পিবিআই) কক্সবাজারকে তদন্ত দেন। অনেক খোঁজাখুজির পর গত ৯ ডিসেম্বর তার লাশ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি ২০২০ নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছিল লাকিংমে চাকমাকে (১৫)। তিনি টেকনাফ উপজেলা অন্তর্গত বাহারছড়া ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডে শিলখালী চাকমা পাড়ায় শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণি ছাত্রী।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷