নালিতাবাড়ীতে গৃহকর্তা কর্তৃক গৃহকর্মী ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরী উদ্ধার, আটক ২
সনাতন নিউজ২৪.ঃ- ঢাকা - বাংলাদেশ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গৃহকর্তা হারুনুর রশিদ কর্তৃক কিশোরী গৃহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। একই সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে টানা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ভুক্তভোগী কিশোরীকে।
এলাকাবাসী, ভিকটিম ও পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলার গাছগড়া গ্রামের দিনমজুর হযরত আলী ওরফে হযরত পাগলার সাথে তার স্ত্রী লতিফা বেগমের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় বেশ কয়েক বছর আগে। পরে লতিফা ঝিয়ের কাজ করে এবং হযরত বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালায়। এমতাবস্থায় তাদের কিশোরী কন্যাকে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে উপজেলার ঘাইলারা গ্রামের হারুনুর রশিদের (৩৭) কাছে গৃহকর্মী হিসেবে পাঠায়। প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর রাতের বেলায় গৃহকর্তা হারুন পাশের কক্ষে প্রবেশ করে কিশোরী গৃহকর্মীকে নানা প্রলোভনে ধর্ষণ শুরু করে। একপর্যায়ে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে স্থানীয় দালালদের মধ্যস্থতায় আড়াই লাখ টাকায় আপোষ-রফা করে প্রায় এক মাস আগে গৃহকর্মীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ওই কিশোরী একাধিক বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে।
কিন্তু ধামাচাপা দেওয়া এ ঘটনা ধীরে ধীরে লোকমুখে প্রচার হয়ে পড়লে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এতে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে দুপুর থেকে থানা পুলিশ ভিকটিম উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চালায়। বুধবার সকাল পর্যন্ত ওসি বছির আহমেদ বাদলের নেতৃত্বে অভিযানে ভিকটিম কিশোরীকে পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার রণকুঠুরা গ্রামে তার ফুফাতো ভাই জাহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার এবং আশ্রয়দাতা জাহিদুল ও অভিযুক্তের বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য তাজুল ইসলামকে ঘাইলারাস্থ নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন মঙ্গলবার নালিতাবাড়ী ছুটে আসেন। পুলিশ জানায়, ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য শেরপুর পাঠানো হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত হারুণকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
শেরার করুণ....
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷