পাঁচ মাসের অন্তসত্তা ধর্ষিতা হতদরিদ্র হিন্দু ছাত্রী বহু হুমকী থামকী ভয় ভিতি উপেক্ষা করে অবশেষে উজিরপুর থানায় মামলা
সনাতন নিউজ২৪. <> ঢাকা - বাংলাদেশ
পাঁচ মাসের অন্তসত্তা ধর্ষিতা হতদরিদ্র হিন্দু ছাত্রী বহু হুমকী থামকী ভয় ভিতি উপেক্ষা করে অবশেষে উজিরপুর থানায় মামলা দায়ের করতে স্বক্ষম হয়েছে। গতকাল ১৩ অক্টোবর রাতে মামলাটি এজাহার হিসাবে গন্য করে থানা পুলিশ
আজ ১৪ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ওসিসিতে প্রেরন করেছে৷ মামলার এজাহার সুত্রে জানাগেছে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার উজিরপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন মাদার্শী গ্রামের বাসিন্দা হতদরিদ্র দিনমজুর সঞ্জয় কুমার মন্ডলের এস এস সি পাসকরা কন্যাকে গত ইদুল ফিতরের দিন (২৫ মে) রাতে তার বাবা মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রতিবেশি মোঃ বাবুল হাওলাদারের বখাটে ও নেশাখোর ছেলে মোঃ স্বপন হাওলাদার (২০) ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে বৈদ্যুতিক লাইট নিভিযে দিয়ে জোর পুর্বক হত্যার হুমকী দিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষন করে। এ সময় তার আরো সহযোগীরাও বাহিরে ছিলো। মানসম্মান ও হত্যার ভয়ে ওই ছাত্রী কাউকে কিছু না বললেও আস্তে ধীরে সে গর্ভবতি হয়ে পরে। দিন গড়াতে থাকলেও বিষয়টি ছাত্রী কখনোই বুঝে উঠতে পারে নাই। হঠাৎ করে সে গত ১০ অক্টোবর অসুস্থ্য হয়ে পরলে তার শারিরিক পরিবর্তন সহ নানা অসঙ্গতি তার মায়ের কাছে ধরা পরলে ছাত্রী তার মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে আসল ঘটনা খুলে বলে। এরপরে ঘটনাটি জানাজানি হলে তার পিতা সঞ্জয় কুমার মন্ডল স্থানীয় লোকজন পৌর সভার ১নং ওয়ারডের কাউন্সিলর অসীম ঘড়ামি, নারী কাউন্সিলর সুরাইয়া আক্তার বীনা সহ ধর্ষক মোঃ স্বপন হাওলাদারের পিতা মোঃ বাবুল হাওলাদারকে অবহিত করে। ঘটনাটি কেহই আমলে না নিয়ে উল্টো ধর্ষিতা ছাত্রীর পরিবারকে সকলে তিরস্কার করে দেশ ছেরে চলে যাওয়ার হুমকী দেয়। সেই সাথে ঘটনা জানাজানি হলে ধর্ষক স্বপন হাওলাদার ও তার পিতা মোঃ বাবুল হাওলাদার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এর দুই দিন পরে ১২ অক্টোবর রাতে উজিরপুর উপজেলা মাইনরিটি রাইটস ফোরামের সাধারন সম্পাদক, সাংবাদিক ও মানবাধীকার কর্মি কল্যান কুমার চন্দ বিষয়টি জানতে পেরে ওই রাতেই ধর্ষিতার বাড়ি গিয়ে তার পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং গতকাল তাদেরকে থানায় এনে মামলা দায়েরের কাজে সহযোগীতা করেন, এছারা তাকে আরো সহযোগীতা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট ও হিউম্যান রাইটস ফর এভরি ওয়ান এর জেনারেল সেক্রেটারী মানবাধীকার কর্মী প্রিয়ঞ্জন রায়,,হিউম্যান রাইটস ফর এভরি ওয়ানের সহ সভাপতি শ্রী সুখময় চৌধুরী বাবু, ও এ্যাডভোকেট শ্রী প্রভাষ তন্ত্রী।
মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পরে আজ সকালে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রবিউল পিও ভিজিট করেন এবং আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। এছারা আসামীকে গ্রেফতারের জন্য Rab 8 এর একটি দলও প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ মাহাবুবুর রহমান বলেছেন অাসামীকে গ্রেফতারের জন্য সর্বোচ্চ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে এবং ধর্ষিতার ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে পুলিশের সার্বক্ষনিক সহযোগীতা থাকবে।
তবে ধর্ষিতা ছাত্রীর পিতা সঞ্জয় কুমার মন্ডল অভিযোগ করে বলেছেন তাকে মামলা মকর্দমা না করে একটি মহল মেয়ে নিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে৷ এ কারনে তিনি কিছুটা আতংকের মধ্যে রয়েছেন৷
শেরার করুণ .....
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷