Breaking News

[ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুরের বাড়ি বিক্রি নাকরায় "হিন্দু সম্প্রদায়ের" যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন


 ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুরের বসতবাড়ি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় রতন দাস (৪০) নামে সংখ্যালঘু এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক নারী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে। ৩ জনকে আসামী করা হয়েছে ১) অঞ্জনা বিবি (৪০), ২) আব্দুর রহিম (২০) , ৩) আব্দুর রাহমান। গুরুতর আহত ওই যুবককে এলাকাবাসী উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। সোমবার উপজেলার ফরদাবাদ জেলেপাড়ায় সকাল সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের মধ্যপাড়া জেলেপাড়া প্রবাসী কামাল মিয়ার স্ত্রী অঞ্জনা বেগম প্রতিবেশী রতন দাসের বসতবাড়ি কিনতে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিলেন। রতন দাস বাড়ি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সকালে অঞ্জনা বেগম ও তার ছেলে রাহিম মিয়া রতন দাসকে তার বাড়ি থেকে জোড় করে ধরে নিয়েযায়। তাদের বাড়িতে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। পরে এলাকাবাসী এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রতন দাসের মামাতো ভাই সুভাষ দাস বলেন, আমার ভাইয়ের কাছ থেকে অঞ্জনা এক শতক জমি কেনার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। আমার ভাই জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় আমার ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অঞ্জনা ও তার ছেলে রাহিম তার বাড়িতে গাছের সঙ্গে নির্যাতন করে। নির্যাতনের শিকার রতন বলেন, আমার বাড়ি বিক্রি করার জন্য কামাল মিয়ার বউ অঞ্জনা আমাকে দীর্ঘদিন যাবৎ চাপ দিয়ে আসছিল। আমি রাজি না হওয়ায় আজ আমার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছে। বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, ফরদাবাদ গ্রামে গাছের সঙ্গে বেঁধে এক যুবককে নির্যাতন করার বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ খবর পেয়ে আমি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ বাঞ্ছারামপুর থানার অফিসার ইন চার্জ রাজু আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করি , তিনি বলেন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ড বিধি আইনের ৩৪১/৩৪২/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৫০৬ ধারায় একটি ক্রিমিনাল মামলা দায়ের করা হয়েছে, মামলা নং ৩ তারিখ ১।১১।২০২১।  তবে তিনি বলেন আসামিরা পলাতক , বাড়ি ছেরে সব আসামী ঢাকায় পলায়ন করেছে । পুলিশ সুপার আনিসুর রহামানের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করলে তিনি বলেন " সকল আসামীকে আইনের আওতায় আনা হবে, শাস্তির বাবস্তা করা হবে ।   
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ এই ধরনের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘতনার তীব্র নিন্দা করছেন । অনতিবিলম্বে দুষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় শাস্তি বিধানের দাবী জানাচ্ছে । সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তা চায় , তাদের সম্পদ রক্ষা, প্রান রক্ষা, জীবনের নিরাপত্তা বিধান করা সরকারের দায়িত্ব । 


 নিরজাতিত হিন্দু সংখালঘুকে যথাযথ চিকিৎসার বাবস্তা করা হউক।

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷