Breaking News

হিন্দুরাষ্ট্র হোক ভারত, দাবি  বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট



    •     




  ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হোক! এটাই বাংলাদেশি হিন্দুদের প্রাণের দাবি, জানালেন.! "বাংলাদেশের  " জতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ প্রামাণিক। তিনি বলেন, ভারতে রাম মন্দির নির্মাণ শুধু ভারতের নয়, বাংলাদেশের হিন্দু সমাজকেও ঐক্যবদ্ধ করবে।

"গোবিন্দ প্রামাণিক" বলেন,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট চায় রাম মন্দিরের এই শুভ সূচনার মধ্য দিয়ে হিন্দু সমাজ স্বাধীন হল, রাম রাজ্য তথা হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শুভ সূচনা হল। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট আশা করে বিশ্ব কল্যাণের দূত হিসেবে অবিলম্বে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা হবে এবং এটা বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল হিন্দুদের প্রাণের দাবি।’

তিনি বলেন,‘ রামচন্দ্র সকল ধর্মের মানুষের আদিপুরুষ, রামায়ণের নীতি আদর্শ পৃথিবীর সকল মানুষের অনুসরণীয়। পিতার প্রতি সন্তানের শ্রদ্ধা, ত্যাগ, ভ্রাতৃপ্রেম, নগরবাসীর সঙ্গে বনবাসীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, পত্নীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব বোধ, স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্যবোধ, রাজার সঙ্গে প্রজার পিতা পুত্রের সম্পর্ক, দস্যু দাণব রাক্ষসের হাত থেকে প্রজা রক্ষা, কূটনৈতিক শিষ্টাচার সব কিছুরই আদর্শ রামায়ণ, রামের জীবনী। রামরাজ্য বলতে বোঝায় প্রজা হিতৈষী রাজ্য, সুখের রাজ্য, ভয় শূন্য আনন্দের রাজ্য। মহান কিছুর উদাহরণ টানতে মানুষ রামকে রামায়ণকে স্মরণ করে। রাম ও রামায়ণ সমাজ জীবনের আষ্টেপৃষ্ঠে মিশে আছে।’

বাংলাদেশের হিন্দুরা ব্যাপক উৎসাহর মধ্য দিয়ে ভূমিপুজোর দিনটিকে উদযাপন করেছে বলে জানিয়ে "গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক" বলেন,‘ পাঁচশো বছরের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান রামচন্দ্রের জন্মভূমি মন্দিরের শুভ সুচনায় সারা বিশ্বের হিন্দুদের মত বাংলাদেশের হিন্দুরাও আনন্দে উদ্বেলিত। গত ৫ আগস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিনটিতে আমরা ঢাকায় ধর্মীয় শোভাযাত্রা করা ইচ্ছা থাকলেও করোনার কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। দেশের প্রতিটি মন্দিরেই এদিন জয় শ্রীরাম ধ্ব্নি দিয়ে বিশেষ পুজো-অর্চনা এবং মঙ্গলারতি করা হয়।

বাংলাদেশ জতীয় হিন্দু মহাজোটের আহ্বানে ওই দিন দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে সারাদেশের প্রতিটি বাড়িতে রামনাম মহামন্ত্র জপ, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি এবং সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয়।’

তিনি আরও বলেন,"বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের" পক্ষ থেকে ওই দিন ঢাকার অদুরে ডেমরা এলাকায় বন্যা দুর্গতদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সন্ধায় ঢাকার লালবাগ হরিজন পল্লীর মন্দিরে রামায়ণ পাঠ এবং রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা ও ভগবান রামচন্দ্র বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।




শেরার করুণ    

1 টি মন্তব্য:

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷