[বিধান কৃষ্ণ রায়ের উপর হামলা ও হত্যা প্রচেষ্টা গাড়ী ভাংচুর, দেশ ত্যাগে হুমকীর প্রতিবাদে মানববন্ধন
নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়ায় সাবেক মেম্বার, সন্ত্রাসী মোশারফ বাহিনী কর্তৃক হিন্দুদের উপর হামলা, ঘর-বাড়ী ভাংচুর, চাঁদাবাজী সহ, হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিধান কৃষ্ণ রায়ের উপর হামলা ও হত্যা প্রচেষ্টা, গাড়ী ভাংচুর জমি দখল ও দেশ ত্যাগে হুমকীর প্রতিবাদে, মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। ২১ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, হিন্দু মহাজোটের প্রেসিডিয়ার সদস্য অভয় রায়। এতে বক্তব্য রাখেন ভিকটিম বিধান কৃষ্ণ রায়, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডঃ দীনবন্ধু রায়, মহাসচিব অ্যাডঃ গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডঃ প্রদীপ কুমার পাল, নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি অ্যাডঃ রঞ্জিত দে প্রমুখ।
বক্তাগণ সন্ত্রাসী মোশারফ ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া একটি বর্ধিষ্ণু হিন্দু গ্রাম ছিল। গত কয়েকবছর ধরে সাবেক ইউপি মেম্বার মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া তার সন্ত্রাসী বাহিনী হিন্দুদের উপর হামলা, জমি দখল, নানাভাবে হয়রানী, দেশত্যাগে বাধাকরনের হুমকীতে অতিষ্ঠ। সন্ত্রাসী মোশারফ ও তার বাহিনীর নিরব চাঁদাবাজীতে অনেকেই দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে। গত ইউপি নির্বাচনে হেরে গিয়ে তিনি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী পরাজয়ের কারন হিসেবে হিন্দুদের দায়ী করেন। তিনি প্রচার করছেন হিন্দুরা তাকে ভোট না দেওয়ার কারনেই তিনি হেরেছেন। সেজন্য নির্বাচনের ব্যায় তিনি হিন্দুদের কাছ থেকে উঠাবেন। হিন্দুদের বিভিন্ন অংকের চাঁদা দাবী করে নিয়মিত হুমকী ধামকী হামলা খুন জখমের ভয় দেখাচ্ছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ মুসলমানদের দেশ: মালাউনদের এদেশে থাকতে দেয়া হবে না। মাগাউনদের ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হবে। গত ১৪ জানুয়ারী সন্ত্রাসী মোশারফ ও তার সহযোগী বাহিনী রুপগঞ্জ উপজেলা হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিধান কৃষ্ণ রায়ের কাছে বিপুল পরিমান চাঁদা দাবী করে, চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বিধান কৃষ্ণ রায় ও তার গাড়ীতে খুনের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তার মা ও ছোট ভাইয়ের উপরও হামলা চালায়। সন্ত্রাসী মোশারফ বাহিনীর অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন অসহনীয় হয়ে পড়েছে। তার বিরুদ্ধে ৩টি মার্ডার ৩টি অস্ত্র আইনে ও ২৭টি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। এরপরও সে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। তার অত্যাচারে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় অতিষ্ঠ। তার বাহিনীর ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷