[ ইউসুফ মোল্লার বাড়ির সামনে মৃত সুনীল দাসের দেহ নিয়ে পাওয়ানা টাকা/জমির দাবিতে স্বজনদের অভিনব প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ
কিন্তু ইউসুফ মোল্লা টাকা নিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন! এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে করতেই তিনি ২৩/৭/২০২১/শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে স্ত্রী এবং স্বজনদের অভিযোগ। সুনীল দাসের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার এবং স্বজনদের শোকের পাশাপাশি তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে তাঁর মরদেহ ইউসুফ মুসল্লির বাড়ির সামনে নিয়ে যান তারা এবং সেখানেই লাশ রেখে অবস্থান করছেন তারা।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আলীপুর মৎস্য বন্দর এলাকায়। মৃত সুনীল দাসের স্ত্রী মাধুরী দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন , ‘আমার স্বামী একজন লন্ড্রি ব্যবসায়ী। ইউসুফ মুসল্লি দীর্ঘ এক যুগেও আমাদের জমি বুঝিয়ে দেননি, টাকাও ফেরত দেননি। এ চিন্তায় চিন্তাতেই মানুষটা শেষ হয়ে গেল।’
সুনীল দাসের ছোট ভাই পঙ্কজ দাস বলেন, চিকিৎসার জন্য অল্প কিছু টাকাও তাঁরা চেয়েছিলেন, তা-ও পাননি। যে কারণে টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারেননি তাঁরা। ইউসুফ মোল্লার কাছে পাওনা টাকার জন্য বহু দেনদরবার করা হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা সালিস-মীমাংসাও করেছেন। কিন্তু ইউসুফ মোল্লা টাকা ফেরত দেননি। এই টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে করতে সুনীল দাস অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় গতকাল রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
আমি বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের পক্ষ থেকে এই পরিবারের প্রিয় মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরেও শোককে শক্তিতে পরিনত করে এই অভিনব প্রতিবাদের জন্য মৃত সুনীল দাসের পুরো পরিবার এবং স্বজনদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। সেইসাথে, স্থানীয় গণ্যমান্য সহ বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতাকর্মীদের মোঃ ইউসুফ মোল্লার কাছ থেকে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় পাওনা টাকা আদায় অথবা জমি বুঝে নেওয়া সহ, তার বিরুদ্ধে দ্রুত উপযুক্ত আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সকল এগিয়ে আসার বিনীত আহবান জানাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷