কুটালীপাড়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশত আহত।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জানাগেছে, গত সোমবার (১৯জুলাই) বিকেলে পাড়াকাটা গ্রামের কিশোররা দু’ভাগে ভাগ হয়ে স্থানীয় জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলে। খেলায় জয় পরাজয় নিয়ে ওই দিন উভয় পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।
এরই সূত্র ধরে আজ বুধবার (২১ জুলাই) সকালে পাড়াকাটা গ্রামের স্বপন গাইনের ছেলে সজল গাইন (১৭) এর সাথে আজাহার মল্লিকের ছেলে জামাল মল্লিকের (৩৮) কথা কাটাকাটি হয়। এরপর দু’দল গ্রামবাসী বিভক্ত হয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা ও ভাঙ্গারহাট নৌতদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রায় ঘন্টা ব্যাপি এ সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশসহ অর্ধশতাধীক নারী পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে জগদিশ ফলিয়া (৭০) মৃদুল গাইন (৩২), শিবনাথ (৬৫, ইমন হালদার (১৩), গবিন্দ গাইন (৩২), আশুদেব গাইন(২৯), তন্ময় গাইন (৩৫), শুশান্ত গাইন(৩৯), উজ্জল গাইন (১৭), সজিব ফলিয়া(২১), নিখিল গাইন (৪১), রসময় গাইন (৪০) বিধান গাইন (৩০), নিমচাঁদ (৬০),কৌশিক গাইন (১৭), প্রদীপ গাইন (৫৫), জয় গাইন (১৫), অনিমেশ ফলিয়া (১৫) , সম্রাট গাইন (১৫), সুজিৎ গাইন (২১), বিষ্ণু গাইন (৩৫) আহত হন।
সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ভাঙ্গারহাট নৌতদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাসুদ, কনস্টেবল মহাসীন গাজী, মাহাবুবুর রহমানও বিক্ষিপ্ত ভাবে ছোরা ইট পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন, তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
হামলায় আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বুধবার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় রুস্তুম মল্লিক (৬৪),নান্নু মল্লিক (৩৫),জসিম মোল্লা (৩৫),ফায়জুল মল্লিক (২৫),বাবুল মল্লিক (২৮) এর নেতৃত্তে প্রায় অর্ধশত মানুষ দলবেধে পাড়াকাটা বাজারে হিন্দুদের দোকানে বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং প্রায় অর্ধশত হিন্দু নর নারী ও গৃহপালিত গবাদীপশুর উপরে অতর্কিত ভাবে উন্মাদের মতো হামলা চালাতে থাকে এবং পাড়াকাটা গ্রামকে হিন্দুশুন্য করার স্লোগান দিতে থাকে এবং সেই সাথে হিন্দুদেরকে ধরে ধরে কোরবানী দিবে বলে চিৎকার করতে থাকে। এমন অভিযোগের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে।
এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ থেকেই এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷